মিরপুর মুক্তকরণ যুদ্ধ
মিরপুর মুক্তকরণ যুদ্ধ হল ১৯৭২ সালের ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি মিরপুরকে পাকহানাদার মুক্ত করার জন্য সংগঠিত যুদ্ধ। মিরপুর ছিল মুক্তিযুদ্ধের শেষ রণক্ষেত্র। এই যুদ্ধের মাধ্যমে ৩১ জানুয়ারি ঢাকার মিরপুর এলাকা মুক্ত হয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৭২ সালের ২৭ জানুয়ারি মেজর হায়দারসহ মুক্তিযোদ্ধারা মিরপুরে প্রবেশ করে। ৩০ তারিখ ছিল অস্ত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ, তাই মিরপুরকে শত্রুমুক্ত করতে ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী মিরপুর ঘিরে রাখে এবং "মিরপুরকে মুক্ত করার প্রস্তুতি" শুরু করে। এই দিন, বাঙালি চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হান তার নিখোঁজ ভাই শহীদুল্লাহ কাইসারকে খুঁজতে মিরপুর এলাকা যান। শহীদুল্লাহ কায়সারকে আল-বদরের সদস্যরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অপহরণ করেছিল। জহির রায়হান ভাইয়ের সন্ধানে মীরপুরে যান এবং সেখান থেকে আর ফিরে আসেন নি। ৩১ তারিখ ছিল অবাঙালিদের অস্ত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। তাই সৈন্যরা অস্ত্রের জন্য মিরপুর ও মোহাম্মদপুর থানায় অনুসন্ধান শুরু করে এবং এ অঞ্চলে কারফিউ আরোপ করা হয়। এক পর্যায়ে মোহাম্মদপুর ও মিরপুরে অবস্থানরত বিহারি ও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে গুলিবর্ষণ ঘটে। এতে জিয়াউল হক লোদী, লে. সেলিমসহ ৪১ জন সামরিক বাহিনীর সদস্য, শতাধিক পুলিশ এবং মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।[১][২] ৩১ জানুয়ারি সকালে রাজধানীর ঢাকার মিরপুর এলাকা মুক্ত হয়।[১][৩]
স্মরণ
[সম্পাদনা]প্রতিবছর ৩১ জানুয়ারিকে মিরপুর মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "মিরপুর মুক্ত দিবস আজ"। www.prothom-alo.com। ৩১ জানুয়ারি ২০১২। ২০১৯-০৩-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-২০।
- ↑ "মিরপুর মুক্ত দিবস স্মরণ, জল্লাদখানা পরিদর্শন এবং …"। কালের কণ্ঠ। ৩১ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "When Mirpur stood liberated"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ জানুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৯।