মিত্রদেব মহন্ত
মিত্রদেব মহন্ত | |
---|---|
জন্ম | ১৩ জুন ১৮৯৪ সর্বাইবান্ধা, যোরহাট, আসাম |
মৃত্যু | ২৬ মার্চ ১৯৮৩ |
পেশা | লেখক, সক্রিয় কর্মী |
ভাষা | অসমীয়া |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারত |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | সংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার |
মিত্রদেব মহন্ত বা মিত্রদেব মহন্ত অধিকারী আসামের একজন বিখ্যাত কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার এবং অভিনেতা। তিনি বেশ কিছু গ্রন্থ, শিশুসাহিত্যের বই এবং নাটকের লেখক। তিনি তার অভিনয়ের জন্য ১৯৬১ সাধারণাব্দে সঙ্গীত নাটক একাডেমি পুরস্কার জিতেছিলেন। তিনি দুবার আসাম সাহিত্য সভার সহ-সভাপতি এবং চার বছর অসম সাহিত্য সভার সহকারী সম্পাদক ছিলেন।
জীবনী
[সম্পাদনা]মিত্রদেব মহন্ত ১৩ জুন ১৮৯৪ সাধারণাব্দে আসামের জোড়হাটের লেটুগ্রাম ক্ষেত্রের সর্বাইবান্ধায় জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার পিতার নাম নিরঞ্জন দেবগোস্বামী এবং মাতার নাম বগীতারা দেবী।[২]
শিক্ষাজীবন
[সম্পাদনা]মিত্রদেব মহন্তের প্রথামিক শিক্ষা শুরু হয়েছিল যোহহাটের হেজারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার পর ১৯০৪ সনে তিনি যোরহাট সরকারি উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯১২ সনে যোরহাট সরকারি উচ্চ ইংরেজি বালক বিদ্যালয় হতে সুনামের সাথে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কটন কলেজে আইএ শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯১৪ সনে সুনামের সাথে আইএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কটন কলেজে সংস্কৃত বিষয়ে অনার্সে ভর্তি হন। কিন্তু আর্থিক অনটনের কারণে কটন কলেজের শিক্ষা অর্ধ সমাপ্ত রেখেই যোরহাট সরকারি উচ্চ ইংরেজি বালক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা আরম্ভ করেন। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সময়ে ১৯২৫ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলটি পরীক্ষায় সুনামের সাথে উত্তীর্ণ হন। [৩]
কর্ম জীবন
[সম্পাদনা]আর্থিক অনটনের কারণে কটন কলেজের বিএ লেখাপড়া অসমাপ্ত রেখেই তিনি ১৯১৫ সালের ৫ জানুয়ারী যোরহাটের সরকারি উচ্চ ইংরেজি বালক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। এরপর তিনি ১৯৩৭ সনে যোরহাট নর্মাল স্কুলের সহকারী সুপার পদে নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে ১৯৪৭ সনে তিনি গোলাঘাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৪৯ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত এক বছর গোলাঘাট গুরু ট্রেনিং স্কুলের সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং সেই পদ থেকে ১৯৫০ সনে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৫০ সালে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী "লেটুগ্রাম সত্র"-এর সত্ত্বাধিকার গ্রহণ করে সেটি পরিচালনার দায়িত্ব নেন।
সাহিত্যিক অবদান
[সম্পাদনা]- লেকলৌ লানি, ১৯১৫
- বিয়া বিপর্যয়, ১৯২৪
- জ্ঞান লহরী ১৯২৪,
- চন্দ্রহার, ১৯২৫
- ধ্রুব, ১৯২৫
- মৌ মহাভারত, ১৯২৫
- মোহনভোগ, ১৯২৫
- নিবোকা রাজা, ১৯২৮
- অসমীয়া ধর্মাচার্যের উপাধি, ১৯৩০
- ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ইতিহাস, ১৯৩১,
- প্রহ্লাদের ক-খ, ১৯৩৫,
- টেঙর-ভেঙর, ১৯৩৫
- একটি চুরুট, ১৯৩৫
- বহাগ বিহুর সোহাগী নাম, ১৯৩৬
- বলিছলন, ১৯৪৬,
- ভোটের তামাশা, ১৯৪৬,
- ভাকুট-কুট, ১৯৪৮,
স্বীকৃতিসমূহ
[সম্পাদনা]- ১৯৩২-১৯৩৫: অসম সাহিত্য সভার সহঃ সম্পাদকের কার্যভার গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে দুইবার অস্ম সাহিত্য সভার উপ-সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হন।
- ১৯৫৫ সনে অসম সাহিত্য সভার গুয়াহাটি অধিবেশনের সংগীত শাখার সভাপতি।
- ১৯৬১ সনে অভিনয়ের জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতি প্ৰয়াত ড. রাজেন্দ্র প্রসাদের মাধ্যমে সংগীত নাটক একাডেমী পদক গ্রহণ করেন।
- ১৯৬৪ সনে অসম সাহিত্য সভার ডিগবৈ অধিবেশনের সভাপতির পদে অধিষ্ঠিত হন[৪]।
- ১৯৭০ সনে “যোরহাট প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত হন।
- ১৯৭২-৭৭ সনে যোরহাট সমিতির অধ্যক্ষ পদে কাজ করেন।
- ১৯৮২ সনে অসম সাহিত্য সভার দ্বারা “সাহিত্যাচার্য” সম্মানে ভূষিত হন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Mitradev Mahanta?s compilation of writings released"। The Sentinel। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৪।
- ↑ অসমীয়া প্ৰতিদিন, তাং: ১৩-০৬-২০১২, পৃষ্ঠা নং: ৪, তাং: ১৩-০৬-২০১২, প্ৰবন্ধ: বহুধা-ব্যক্তিত্ব প্ৰতিভাৰ আকৰ, লেখক: ড॰ কৰবী ডেকা হাজৰিকা
- ↑ "ghy_13062012"। Issuu.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৩-২৫।
- ↑ ১৯১৭ চনৰ পৰা অসম সাহিত্য সভাৰ সভাপতিসকলৰ তালিকা ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৩-০১-২৯ তারিখে অসম সাহিত্য সভাৰ ৱেবছাইট, আহৰণ: ১৮ নৱেম্বৰ, ২০১২।