মাশওয়ানি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মাশওয়ানি (উর্দু: مشوانی) (মিশওয়ানি, মেশওয়ানি, বা মোশওয়ানি) আরব বংশোদ্ভূত পাখতুন উপজাতিটি মূলত দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বসতি স্থাপন করেছে। তারা গৃহীত হয়ে আফগান এবং বংশোদ্ভুতভাবে আরব। তারা মাশওয়ানি, বনুরি, লুডিন, কাজমী (আলী আল কাজিম বিন ইসমাইল আরজের কারণে), রোগানী, জাফরি তাদের উপাধি হিসাবে ব্যবহার করে। মাশওয়ানিরা শিখ খালসা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল এবং তাদের সময়ের নায়ক হিসাবে পরিচিত।

জনমিতি[সম্পাদনা]

মাশওয়ানিরা মূলত আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরান এবং ভারতের কিছু জায়গায় বসতি স্থাপন করেছে।[১][২][৩]

  • আফগানিস্তানে তারা কনার এবং গজনি প্রদেশে বাস করে।
  • তারা পাকিস্তানের সব প্রদেশের বিভিন্ন শহরে বসতি স্থাপন করেছে। তাদের বেশিরভাগই খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সোয়াবি, মর্দান, পেশোয়ার, সিরিকোট, দির, কোহাত, গাদওয়ালিয়ান, ডি আই খানে; বেলুচিস্তান প্রদেশের পাঞ্জপাই, পাঞ্জগুর, চমন ও কোয়েটা শহর; পাঞ্জাব শহরের শকরগড়, ফয়সালাবাদ এবং সারগোদায় এবং সিন্ধু প্রদেশের করাচি শহরে বসবাস করে।
  • ইরানে মাশওয়ানিরা সিস্তান ও বালুচেস্তান প্রদেশের জাহেদান শহরে বাস করে। ভারতে তারা চন্ডীগড় ও দিল্লিতে বাস করে।

সংস্কৃতি[সম্পাদনা]

মাশওয়ানিরা খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ এবং আতিথেয়তার জন্য বিখ্যাত। মাশওয়ানিদের বেশিরভাগই পশতু কথক, সুতরাং পাখতুন সংস্কৃতি অনুসরণ করে এবং পাখতুনওয়ালি রীতি মেনে চলে। তারা পশতুনের ঐতিহ্যবাহী পোশাক সালোয়ার কামিজ পরিধান করে। মহিলারা শাল দিয়ে মাথা ঢেকে রাখে এবং পুরুষরা সাধারণত কুফি, পেশোয়ারী টুপি, পাগড়ি, সিন্ধি ক্যাপ বা পাকুলকে ঐতিহ্যবাহী পাগড়ি হিসাবে এবং পেশোয়ারী চপল জুতা হিসাবে পরে। তারা মুসলমান এবং তাদের ধর্ম হিসাবে ইসলামকে অনুসরণ করে।

হরি সিং নলওয়ার পরাজয় (শিখ খালসা সেনাবাহিনী)[সম্পাদনা]

উল্লেখযোগ্য মাশওয়ানি[সম্পাদনা]

শেখ সৈয়দ আদম বানুরি ষোড়শ শতাব্দীর একজন বিখ্যাত সুফি পণ্ডিত ছিলেন, যিনি বেনুরি গোত্রের অন্যতম পূর্বপুরুষ। শেখ আদম বানুরী কালিমাতুল মা'আরিফ শিরোনামে মুজাদ্দিদ ও নকশবন্দিয়ার শিক্ষার উপর একটি বই লিখেছিলেন, তাঁর আরও দুটি রচনা, খুলাসাতু মা'আরিফ ও নিকাতুল আসরার, সূফী শিক্ষা এবং নকশবন্দিয়া তরিকার গুরুতের উপর অন্যান্য সুপরিচিত রচনা। সৈয়দ আদম বানুরী হিজাজে সর্বপ্রথম মুজাদ্দিদ শিক্ষার প্রচার করেছিলেন। তিনি "নিকাতুল আসরার" নামে তাঁর নিজের বইতে মাশওয়ানিতে তাঁর নিজের শিকড় সন্ধান করেছেন। মুহাম্মদ ইউসুফ বানুরী তাঁর এক নাতি ছিলেন, তিনি ছিলেন বিখ্যাত ইসলামী পণ্ডিত, জামিয়া উলূম-উল-ইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা এবং পাকিস্তানের ওয়াইফাক উল মাদারিস আল-আরাবিয়ার সাবেক সভাপতি। বিখ্যাত হাদিস পণ্ডিত মুহাম্মদ ইউসুফ বানুরির সম্মানে করাচি শহরের একটি শহর আল্লামা বানুরি শহর হিসাবে নামকরণ করা হয়েছে।

  • সিরাজুল হক, একজন বিখ্যাত পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ।
  • পীর সাবির শাহ, খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং একজন বিখ্যাত পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ।
  • ইফতিখার আলী মুশওয়ানি, একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :2 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  2. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :3 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  3. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :4 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি