মামা শপ
একটা মামা শপ অথবা মামাক শপ (তামিল மாமா শব্দের অর্থ চাচা বা অগ্রজ অর্থে) হল সুবিধাজনক স্টোর বা কতিপয় দোকান, যে গুলো সিঙ্গাপুরে প্রায়ই একটি সুউচ্চ এপার্টমেন্টের নিচে অবস্থিত এবং গৃহায়ন ও উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃক নির্মিত। ঐতিহ্যগতভাবে, এই দোকানগুলো ভারতীয় মালিকানাধীন এবং ভারতীয়রাই পরিচালনা করে। সেভেন-ইলেভেনের মতো, মামা শপগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নয় এবং তাদের সীমিত জায়গার মধ্যে প্রায় ৯ বর্গমিটার (৯৭ ফু২) বিভিন্ন মালামাল বিক্রয় করে।
স্থানীয় বাসিন্দারা প্রায়শই অবস্থান চিহ্নিতকারী হিসাবে মামার শপ ব্যবহার করেন।[১]
এটি দাবি করা হয় যে, স্টোরের অল্প জায়গার মধ্যে বিস্তৃত পণ্যগুলো সাজানোর পদ্ধতি নিশ্চয় স্থাপত্য মানের একটি ইঙ্গিত বহন করে।[২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]প্রথম দিকের মামা শপগুলো প্রধানত ভারতীয় অভিবাসীদের দ্বারা শুরু হয়েছিল। বিশ শতকের গোড়ার দিকে অনেকেই শেষ পর্যন্ত সেরানগুন রোডের ছোট দোকানদার হয়েছিলেন। প্রারম্ভিক দিনগুলোতে, মামা শপ প্রধানত আশেপাশের গ্রামবাসীদের সেবা করত। যেহেতু দোকানি নিজেই দোকানের মালিক হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি তাই বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ব্যক্তিগত ভিত্তিতেই পরিষেবাটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরবরাহ করা হত। প্রাচীনতম এম মামা শপের অন্যতম মালিক উবিদ বিন ইব্রাহিমের মতে আগে অনেক গ্রাহককে সীমাহীন বাকী দেওয়া হত।[৩] দর কষাকষি, মূল্য ছাড় এবং পণ্য পৌঁছে দেওয়া সাধারণ ছিল।[৪] সময়ের সাথে সাথে দোকানদাররা গ্রাহকদের সাথে পরিচিত, বিশেষত চীনারা যারা পারস্পরিক প্রতিদানের রীতিনীতি পর্যবেক্ষণ করে। যেহেতু ইংরেজি সচরাচর কথ্য ভাষা না, তাই মালয় ভাষাই চীনাদের সাথে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠে।
১৯৬০-এর দশকে যখন সিঙ্গাপুরের একটা বিশাল জনসংখ্যা গ্রাম থেকে উচ্চ-উত্থিত ফ্ল্যাটে পুনর্বাসন করা হয়েছিল,[৫] অনেক মামা শপ তখন এইচডিবি ফ্ল্যাটগুলোর নিচতলায় খোলা অঞ্চলের শূন্য ডেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। গ্রামে থাকা অবস্থায় তারা বেশিরভাগ গৃহিনীদের কাছেই বিক্রি করত, তারা এখন শিশুদের কাছে কমিক্স,[৬] স্বল্প দামের মিষ্টি এবং সস্তা স্টেশনারির মাধ্যমে বিক্রি করে। যাইহোক, পুনর্বাসনের ফলে গ্রামে গ্রামে প্রতিষ্ঠিত জনগোষ্ঠীর কঠিন মানসিকতা দুর্বল হয়ে পড়েছিল এবং অনেক মামা শপ লোকশানে পড়েছিল এবং অনুগত পৃষ্ঠপোষকতায় ঘন ঘন ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছিল। সময়ের সাথে সাথে এবং ক্রমবর্ধমান আধুনিকীকরণের ফলে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মিনি-মার্ট এবং নানা সুবিধাযুক্ত চেইন স্টোরগুলো সাথে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী মামা শপ আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।[৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Brenda S. A. Yeoh; Lily Kong, সম্পাদকগণ (১৯৯৫), Portraits of Places: History, Community and Identity in Singapore, Singapore: Times Editions, আইএসবিএন 978-981-204-604-8 .
- ↑ The world of the 'mama' shop.
- ↑ ক খ Ida Bachtiar (১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯২), "The oldest mama-shop", The Straits Times, পৃষ্ঠা 4 .
- ↑ Koh Buck Song (২০০০), Toa Payoh: Our Kind of Neighbourhood, Singapore: Times Media for the Housing and Development Board, আইএসবিএন 978-981-232-124-4 .
- ↑ A Brief Background – HDB's Beginnings.
- ↑ Old-fashioned discipline best way to curb teen misbehaviour.