মাউসাতা
মাওসাতা রাজ্য دولة الموسطة | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
দক্ষিণ আরব সুরক্ষা অঞ্চলের রাজ্য | |||||||||
১৭৮০–১৯৬৭ | |||||||||
দক্ষিণ আরব ফেডারেশনের মানচিত্র | |||||||||
• ধরন | শেখত্ব | ||||||||
ঐতিহাসিক যুগ | ২০শ শতক | ||||||||
• প্রতিষ্ঠিত | ১৭৮০ | ||||||||
• বিলুপ্ত | ১৯৬৭ | ||||||||
|
মাউসাতা, মাওসাতা ( আরবি: الموسطة ), অথবা মাওসাতা রাজ্য ( আরবি: دولة الموسطة Dawlat Mawsaṭah ), ছিল ব্রিটিশ এডেন আশ্রিত রাজ্যসমূহের একটি রাজ্য। মাউসাতা উচ্চ ইয়াফার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে অবস্থিত ছিল। এই এলাকার প্রধান পাহাড় জাবালে দারফান। উচ্চ ইয়াফার পাঁচটি শেখত্বের মধ্যে মাওসাতা ছিল সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চল। ১৯৬৭ সালে দক্ষিণ ইয়েমেনের গণপ্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর এর শেষ শাসককে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল এবং এলাকাটি এখন ইয়েমেন প্রজাতন্ত্রের অংশ। [১]
অবস্থান এবং ভূগোল
[সম্পাদনা]মওসাতা ইয়েমেনে অবস্থিত ছিল, উচ্চ ইয়াফার পশ্চিমা ও দক্ষিণ-পশ্চিমা অংশে। এলাকার প্রধান পর্বত হল জাবেল দারফান। মওসাতার উত্তরে বেইহান, পূর্বে দাথিনা, দক্ষিণে আউধালি এবং পশ্চিমে শাইব রাজ্য সীমানা ছিল।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]মাওসাতা একসময় ইয়েমেনের উচ্চ ইয়াফার পশ্চিমা এবং দক্ষিণ-পশ্চিমা অংশে একটি বিকশিত রাষ্ট্র ছিল। মাওসাতা রাজ্য (দৌলত মাওসাতা) ১৭৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পারিবারিক কলহের কারণে ১৮৬০ সালে শাসক পরিবার দুটি বংশে বিভক্ত হয়ে যায়। ১৯০৪ সালে, মওসাতা ব্রিটিশ সুরক্ষার অধীনস্থ হয়। এর অর্থ হল রাষ্ট্রটি তার অভ্যন্তরীণ স্বশাসন বজায় রাখে কিন্তু সামরিক সুরক্ষা এবং বৈদেশিক নীতি নির্দেশনায় ব্রিটিশদের উপর নির্ভর করতো।
ব্রিটিশ সুরক্ষায় মাওসাতা কিছুটা স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা প্রদান করলেও, এটি রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ধীরে ধীরে ক্ষয় হওয়ার দিকে নিয়ে যায়। সময়ের সাথে সাথে, ব্রিটিশ প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং স্থানীয় শাসকদের ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছিল। মাওসাতা ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আরব আশ্রিত রাজ্যসমূহের অংশ ছিল। [২] ১৯৬৭ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী দক্ষিণ ইয়েমেন গঠিত হলে মওসাতা বিলুপ্ত হয়ে যায়। রাষ্ট্রের অঞ্চল নতুন গঠিত প্রজাতন্ত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল এবং এর স্বতন্ত্র পরিচয় ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যায়।
শাসকগণ
[সম্পাদনা]মাওসাতা রাজ্যের শাসক নকিব উপাধি ধারণ করতেন। [৩]
- ১৭৮০- ১৮১০ আল-কাসিম আল হারহারা
- ১৮১০ - ১৮৪০ `আলি ইবনুল কাসিম আল হারহারা
- ১৮৪০ - ১৮৬০ `আসকার ইবন `আলি আল হারহারা
বংশ ১
[সম্পাদনা]- ১৮৬০ - ১৯০৭ 'আলি ইবনে আসকার আল হারহারা
- ১৯০৭ - ১৯৪০ নাজি ইবনে আলি ইবনে আসকার আল হারহারা
- ১৯৪০ - জানুয়ারী ১৯৬৩ আহমদ ইবনে আবি বকর ইবনে আলি আল হারহারা
- ফেব্রুয়ারী ১৯৬৩ - জুন ১৯৬৭ `আয়দারুস ইবনে আহমদ আল হারহারা
বংশ ২
[সম্পাদনা]- ১৮৬০- ১৯২০ মুহসিন ইবনে আসকার আল হারহারা
- ১৯২০ - ১৯৪৬ মুহাম্মদ ইবনে মুহসিন ইবনে আসকার আল হারহারা
- ১৯৪৬ - ১৯৫৯ আল-হুসাইন ইবনে সালিহ ইবনে মুহসিন আল হারহারা
- ১৯৫৯ - জুন ১৯৬৭ সালেহ ইবনে আল-হুসেন ইবনে সালিহ আল হারহারা
অর্থনীতি ও সংস্কৃতি
[সম্পাদনা]মওসাতার অর্থনীতি ছিল কৃষি নির্ভর। প্রধান ফসল ছিল কাত, কফি এবং ফল। কাত, একটি হালকা নেশা উদ্দীপক খাদ্য যা ইয়েমেনে ব্যাপকভাবে খাওয়া হয়। এর পাতা সাধারনত খেয়ে থাকে। এটি একটি বিশেষভাবে মূল্যবান ফসল ছিল, যার সারা রাষ্ট্র উল্লেখযোগ্য আয় উৎপন্ন করেছিল। রাজ্যে কিছু খনিজ সম্পদও ছিল, যেমন সোনা এবং রূপা।
মওসাতার অধিবাসীরা প্রধানত সুন্নি মুসলিম ছিল যারা ঐতিহ্য ও সম্প্রদায়ের প্রতি গভীর অনুভূতি পোষণ করত। রাষ্ট্রের সংস্কৃতি ইসলামী মূল্যবোধ এবং অনুশীলনের দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিল।রাজ্যটি ইয়াফা আলায়ান্সের সদস্য ছিল, যা এডেনে ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতা করার জন্য ঐক্যবদ্ধ রাজ্যগুলির একটি গোষ্ঠী ছিল।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- এডেন আশ্রিত রাজ্য
- উচ্চ ইয়াফা
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Paul Dresch. A History of Modern Yemen. Cambridge, UK: Cambridge University Press, 2000
- ↑ R.J. Gavin. Aden Under British Rule: 1839-1967. London: C. Hurst & Company, 1975
- ↑ States of the Aden Protectorates