মহিলাদের ভোটাধিকারের জন্য নতুন সাংবিধানিক সমিতি
গঠিত | ১৯১০ |
---|---|
বিলীন হয়েছে | ১৯১৮ |
ধরন | শুধুমাত্র নারীদের রাজনৈতিক আন্দোলন |
উদ্দেশ্য | নারীদের ভোট |
সদরদপ্তর | হোয়াইটচ্যাপেল |
পদ্ধতিসমূহ | বিক্ষোভ |
মূল ব্যক্তিত্ব | অ্যাডলিন চ্যাপম্যান (সভানেত্রী) |
মহিলাদের ভোটাধিকারের জন্য নতুন সাংবিধানিক সমিতি (এনসিএস) একটি ব্রিটিশ সংস্থা, যারা মহিলাদের ভোটাধিকার দেওয়ার জন্য প্রচারণা চালিয়েছিল। সংসদের লিবারেল সদস্যদের লবি করার জন্য নির্বাচনের পর ১৯১০ সালের জানুয়ারিতে এটি গঠিত হয়েছিল। সংগঠনটি জঙ্গি ছিল না এবং এটি ভোটাধিকারীদের ক্রিয়াকলাপকে সমর্থন (বা নিন্দা) করে না।[১] এর উদ্দেশ্য ছিল "...সরকার বিরোধী নির্বাচনী নীতিতে বিশ্বাসী সকল ভোটাধিকারীকে ঐক্যবদ্ধ করা, যারা সাংবিধানিক উপায়ে কাজ করতে চায়, এবং যাদের বিবেক তাদেরকে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে পরিচালিত করে সেইরকম অন্যান্য ভোটাধিকারীদের প্রকাশ্য সমালোচনা থেকে বিরত থাকা"।[২] জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯১৮, যা প্রথমবারের মতো ৩০ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের ভোট দেওয়ার অধিকার দিয়েছিল, সেটি পাস হওয়ার পর ১৯১৮ সালের জুন মাসে এনসিএস বিলুপ্ত হয়ে যায়।[৩]
উল্লেখযোগ্য সদস্য
[সম্পাদনা]ভোটাধিকারীদের জঙ্গিবাদের বিরোধী অ্যাডলিন চ্যাপম্যান এনসিএস-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং জাতীয় কমিটিতে এর সভাপতি ও প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সমাজ কর্মী হেলেন ওগস্টন, যিনি তাঁর ক্রোধের জন্য পরিচিত ছিলেন, তিনি ১৯১০ সালে এখানে একজন কর্মচারী ছিলেন। বেশ কিছু বছর আগে তিনি একজন নেতৃস্থানীয় ভোটাধিকার কর্মী ছিলেন।[৪] কেট ফ্রাই পূর্ব অ্যাংলিয়ার একজন সংগঠক ছিলেন।[৫] ১৯১৪ সালে তিনি এই সংস্থার সচিব হন।[৬] ১৯১৬ সালে তাঁরা মেরি ফিলিপসকে নিযুক্ত করেন, যিনি ছিলেন আরেক প্রাক্তন মহিলা সামাজিক ও রাজনৈতিক ইউনিয়ন (ডব্লিউএসপিইউ) সদস্য (অন্যদের মধ্যে)।[৭]
উত্তরাধিকার
[সম্পাদনা]১৯১৮ সালে, যখন কিছু ব্রিটিশ নারী প্রথম ভোট দেওয়ার অধিকার পান, তখন সংগঠনটি বন্ধ হয়ে যায়। সংগঠনের সমস্ত কাগজপত্রই নষ্ট হয়ে গেছে, তবে সংগঠনের সেক্রেটারি কেট ফ্রাইয়ের ডায়েরি আবিষ্কৃত হয়েছে[৬] এবং সেই ডায়রির প্রাসঙ্গিক অংশগুলির সম্পাদনা ও প্রকাশ করা হয়েছে।[৮]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Morton, Tara। "Suffrage Societies Database Guide"। Women's Suffrage - school resources। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "New Constitutional Society"। Spartacus Educational। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৫।
- ↑ Elizabeth, Crawford। "Chapman [née Chapman; former married name Guest], Adeline Mary (1847–1931)"। অক্সফোর্ড ডিকশনারি অব ন্যাশনাল বায়োগ্রাফি (অনলাইন সংস্করণ)। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। (সাবস্ক্রিপশন বা যুক্তরাজ্যের গণগ্রন্থাগারের সদস্যপদ প্রয়োজন।)
- ↑ Crawford, Elizabeth (২০০৩-০৯-০২)। The Women's Suffrage Movement: A Reference Guide 1866-1928 (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। আইএসবিএন 978-1-135-43402-1।
- ↑ Liddington, Jill; Crawford, Elizabeth (২০১১-০৩-০১)। "'Women do not count, neither shall they be counted': Suffrage, Citizenship and the Battle for the 1911 Census" (ইংরেজি ভাষায়): 98–127। আইএসএসএন 1363-3554। ডিওআই:10.1093/hwj/dbq064 ।
- ↑ ক খ Brooke, Mike। "Diary of Whitechapel suffragette Kate Frye discovered 100 years later"। East London Advertiser (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১২-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৫।
- ↑ "Mary Phillips"। Spartacus Educational (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৫।
- ↑ Frye, Kate Parry (২০১৩)। Campaigning for the Vote: Kate Parry Frye's Suffrage Diary (ইংরেজি ভাষায়)। Francis Boutle Publishers। আইএসবিএন 978-1-903427-75-0।