ভেরি ইয়াং গার্লস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভেরি ইয়াং গার্লস
পরিচালকডেভিড শিসগাল এবং নিনা আলভারেজ
পরিবেশকশোটাইম
মুক্তি২০০৭
দেশযুক্তরাষ্ট্র
ভাষাইংরেজি

ভেরি ইয়াং গার্লস (অর্থ: কম বয়সী মেয়েরা) হল মানব পাচার ও এর উন্মোচন নিয়ে ২০০৭ সালে তৈরি একটি তথ্যচিত্র। শোটাইমে সম্প্রচারিত এবং ডেভিড শিসগাল এবং নিনা আলভারেজ পরিচালিত, এই অনুষ্ঠানটিতে দেখানো হয় ১৩ এবং ১৪ বছর বয়সী আফ্রিকান-মার্কিন মেয়েদেরকে কীভাবে প্রলুব্ধ ও নির্যাতিন করে পিম্পরা এদের নিউ ইয়র্কের রাস্তায় বিক্রি করে দিত এবং পুলিশরা কীভাবে এদেরকে প্রাপ্তবয়স্ক অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করে এদের সাথে আচরণ করত।

চলচ্চিত্রটি বাস্তবে সবেমাত্র কৈশোরে পা দিয়েছে এমন মেয়েদের অনুসরণ করে, তাদের সাথে বাস্তব পরিবেশে এবং অন্তরঙ্গ সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে দেখানো হয় তারা কীভাবে প্রথমে রাস্তায় প্রলুব্ধ হয় এবং পরবর্তীতে যে যে ঘটনাগুলি ঘটে। চলচ্চিত্রটিতে নির্লজ্জ পিম্পদের তোলা চমকপ্রদ কিছু ফুটেজও দেখানো হয়, যাতে অনেক মহিলার রাস্তার জীবনে চক্র কীভাবে শুরু হয় তার কিছু চিত্র দেখা যায়।[১][২]

চলচ্চিত্রটিতে, রাচেল লয়েড দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত, গার্লস এডুকেশনাল এন্ড মেন্টরিং সার্ভিসেস (জিইএমএস) নামক যৌন শোষণ থেকে বেঁচে যাওয়াদের একটি পুনরুদ্ধার কেন্দ্রের কাজ দেখানো হয়। তিনি এবং তার কর্মীরা রাস্তায় পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত মেয়েদের ও আদালত কর্তৃক তাদের কাছে পাঠানো মেয়েদের সাহায্য করে। প্রামাণ্যচিত্রটিতে দেখা যায় যে, এসব মেয়েরা, তাদের টুকরো হয়ে যাওয়া জীবনকে জোড়া দেবার সুযোগ পাবার পরেও কীভাবে দুটি ভিন্ন জগতের প্রান্তে দাঁড়িয়ে দোদুল্যমান অবস্থায় রয়েছে। অনেকে সেই শক্তির সাথে লড়াই করার পরও তাদের আগের জীবনে ফিরে গিয়েছেন।[৩] মেয়েদের এবং পিম্পদের জগতে অভূতপূর্ব প্রবেশাধিকার ব্যবহারের মাধ্যমে, প্রামাণ্যচিত্রের নির্মাতারা এই আশা ব্যক্ত করেন যে "আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, গণমাধ্যম এবং সমাজ একযোগে যৌন শোষণ, রাস্তার পতিতাবৃত্তি, এবং মানব পাচারের একটা পরিবর্তন আনবে যা কিনা আমাদের নিজেদের সামনেই ঘটে চলেছে।"[৪]

মুক্তি[সম্পাদনা]

চলচ্চিত্রটি টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, ২০০৮ সালে এডিনবার্গ চলচ্চিত্র উৎসব, ২০০৮ সালে বোস্টনের স্বাধীন চলচ্চিত্র, ২০০৮ সালে সত্য/মিথ্যা চলচ্চিত্র উৎসব, ২০০৮ সালে মিয়ামি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, ২০০৮ এ জেরুজালেম চলচ্চিত্র উৎসব, ২০০৮ সালে জ্যাকসন হোল চলচ্চিত্র উৎসব, এবং ২০০৮ এ ইন্ডি স্পিরিট চলচ্চিত্র উৎসবে অফিসিয়ালি নির্বাচিত হয়।[৫] ক্যাবল নেটওয়ার্ক শোটাইম তথ্যচিত্রটি সম্প্রচার ও বিতরণ করে।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. New York Times review, "Children Without Childhoods"
  2. AALBC review
  3. IMDb review
  4. GEMS Official Web site
  5. "GEMS Press Kit" (পিডিএফ)। ১৩ মে ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০২১ 
  6. Showtime Official Site listing

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]