ব্যবহারকারী আলাপ:Muttalib Hoshen

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
আলোচনা যোগ করুন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

তাজমহলের সামনে ওস্তাদ জাকির হুসেন বলতেন-"ওহা! ওস্তাদ ওহা! তাজ বলিয়ে।" বাড়িতে আপ্যায়ন মানেই চা। চা মানেই বাগান। রোমান্টিক আনাগোনা । বাগান মানেই কুলি কামিন। সাগিনা মাহাতো। চা বাগান মানেই লক আউট। গলা চিরে চিৎকার- " দিনু পরছ্ । দিনু পরছ্ । হুনদই ন। হুনদই ন। মিনিমাম ওয়েজ দিনু পরছ্।

সারে চার লক্ষ শ্রমিক। প্রায় কুড়ি থেকে পঁচিশ লক্ষ পেটের পরিবার। ২৭৮টি বাগান। উত্তরবঙ্গ। ২০১৬ সালে গত ১০০ বছর থেকে চলতে থাকা রেশন বন্ধ করেছে সরকার। এমন কোন বাগান নেই যেখানে বিদ্যুৎ. লকড়ি, বিজলি,স্বাস্থ্য শিক্ষা কোনটার দায়িত্ব পালন করছে সরকার । ২০১৪ সালে শেষ ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী ১৩২ টাকা দৈনিক মজুরি। মাজাক আর কি! ১৭ তে চুক্তি শেষ। শ্রমিকেরা মেনে নেয় নি। ২০১৪ সালে থেকে চলছে জয়েন্ট ফোরামের নেতৃত্বে আন্দোলন । ২০১৮ সালে ২৩ শে জুলাই থেকে ছিল শ্রমিকদের ঘোষিত বাগান ধর্মঘট। শ্রমিকেরা থেমে যায়। সরকার অনুরোধ করে। শ্রমিক সরকারকে সময় দেয় ৩০শে জুলাই পর্যন্ত। রাজ্যে যে উন্নয়নের সরকার চলছে, মিটিং হবে উত্তর কন্যায়।

৬ই আগস্ট। আজ ছিল ত্রিপাক্ষিক বৈঠক, শিলিগুড়ির সাধের উত্তর কন্যায়। নজিরবিহীন ভাবে এই প্রথমবার কোন সরকার শ্রমিকদের সাথে কোন আলোচনা না করে করেই একতরফা ১৭২ টাকা দৈনিক মজুরি ঘোষণা করে, কোন রকম আলোচনা, সৌজন্য না দেখিয়েই, একতরফা ভাবে ত্রিপাক্ষিক সভা ভেঙ্গে চলে যায়। অতীতে যা কখনও হয়নি, কোন সরকারের আমলে।

তাহলে এবার শ্রমিকেরা কী করবে ? জয়েন্ট ফোরাম কী করবে? ঘরে ফিরবে ? সহ্যের একটা সীমা থাকে।

না। উত্তর কন্যায় অবস্থান চলছে। চলবে। চলবে যতক্ষণ পর্যন্ত, সরকার আবার ত্রিপাক্ষিক সভা পুনরায় ডেকে শ্রমিকদের সাথে আলোচনায় বসা পর্যন্ত। ততক্ষণ পর্যন্ত । অনির্দিষ্ট কালের জন্য। পেটের টানে লাগাতার আন্দোলন।

বাগানে বাগানে ধর্মঘট।

বাগানের হাজারে হাজারে কুলি কামিন, শ্রমিক মার্চ করবে উত্তর কন্যা শিলিগুড়ির দিকে।

বাকিটা ইতিহাস বলবে। খালি পেট থেকে দলা পাকানো বেরিয়ে আসা স্লোগান বলবে।

P. S উত্তরকন্যার গেট বন্ধ করে দিয়ে খাবার জল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। ভিতরে আটকে রয়েছে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে গিয়ে অবস্থান শুরু করা চা শ্রমিক নেতৃত্ব। পুরো ফ্যাসিস্ট কায়দায় আটকে ফেলা হল সব নেতৃত্বকে। কাউকে বার হতে দেওয়া হচ্ছেনা। খাবার, জল সরবরাহের ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জীবন জীবিকার যুদ্ধে চা শ্রমিকদের পক্ষ নিন। রুটি রুজির লড়াইয়ের পক্ষ নিন।Muttalib Hoshen (আলাপ) ১৩:২৭, ১১ অক্টোবর ২০১৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন

খনার বিজ্ঞান-দর্শন[সম্পাদনা]

১ টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ি ইউনিয়নের পীরগাছা বর্মণ পাড়া থেকে বাইদ জমিন দিয়ে চুনিয়া মান্দি গ্রামে যাচ্ছি। হঠাত্ দেখি পূব আকাশে রংধনু। সঙ্গী মান্দি দার্শনিক জনিক নকরেক (১০২) তখন উপরোক্ত খনার বচনটি বলেন। রঙধনুটি দেখা যায় ৪ জুলাই ২০১০ তারিখে বিকাল ৪.২০ মিনিটে। সেদিনই সন্ধ্যা ৬.৩০ থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। এভাবে ৭ জুলাই ২০১০ তারিখ পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। জনিক নকরেকের মতে, মধুপুর গড়ে সচরাচর আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে পশ্চিম আকাশে রঙধনু দেখা যায় না। দীর্ঘ অনাবৃষ্টি ও তীব্র খরাও তেমন একটা দেখা যায় না। তবে সমসাময়িককালে ইকোপার্কের বছর মানে ২০০৪ সালে আষাঢ় মাসে পশ্চিম আকাশে দুই বার পরপর রঙধনু দেখা যায় এবং খরা দেখা দেয়। বৃষ্টি কম হয়। আনারস ও কলার ফলন কমে যায়। ‘মধুপুর জাতীয় উদ্যান উন্নয়ন প্রকল্প’ স্থানীয়ভাবে ‘ইকোপার্ক’ নামে পরিচিতি পেয়েছে। প্রাকৃতিক বন ও বনভূমির আদিবাসীদের উচ্ছেদ করে সরকার এই বাণিজ্যিক বিনোদন প্রকল্প করতে চেয়েছিল। পরবর্তীতে আন্দোলনের মুখে এটি স্থগিত হয়ে যায়।

২ এ ধরণের অধিপতি চিন্তা রাষ্ট্রের প্রবল বৈষম্যের দৃষ্টিভঙ্গিকে জোড়ালো করে। এটি ‘আত্ম’ ও ‘অপরের’ রাজনীতির সাথে সম্পর্কিত। অধিপতি ও নিম্নবর্গের বোঝাপড়ার বিষয়। এ দৃষ্টিভঙ্গিই ‘শহরের মানুষ আধুনিক’ আর ‘গাইয়া বা গ্রাম্য’ হচ্ছে অনাধুনিকতা এ ধরণের বৈষম্য জিইয়ে রাখে। এ দৃষ্টিভঙ্গিই নিম্নবর্গের জগতসংসার তছনছ কি গায়েব করে আবার ‘হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার লোকসংস্কৃতি’ বলে মায়াকান্না ছড়ায়। বৈষম্যের এই মনস্তত্ব ‘যাদুঘর-মার্কা’ ধারণাকে বৈধ করে, বিষয়টি হচ্ছে কৃষি কি জুম কেড়ে নিয়ে শহরের মঞ্চে আদিবাসী নারীদের দিয়ে জুমনৃত্য আয়োজন করা কি বাঙালি মেয়েদের ধান কাটার গান পরিবেশন। জীবন থেকে, যাপন থেকে, প্রশ্ন কি পাটাতন থেকে সূত্র ও সম্পর্ককে আলাদা করে বারবার এসবকে ‘ড্রইং রুমে’ সাজিয়ে রাখার ‘জিনিস’ করে তোলা হয়। এ বিষয়ে বাংলায় আরো দেখুন : অরবিন্দ প্রধান সম্পাদিত ২০০২ সনে প্রকাশিত ‘অপর সংখ্যা’, সমাজমনস্ক পোস্টমডার্ন সাহিত্যপত্র হাওয়া ৪৯, হাওয়া ৪৯ প্রকাশনী, কলকাতা-৭০

৩ চলতি লেখাটি খনা ও খনার বচনের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও বিকাশের জোর দাবি জানায়। খনার বচন ও বিজ্ঞানসূত্রসমূহের মালিকানা দেশের নিম্নবর্গের। খনার বচনের কোনো একতরফা বাণিজ্যিক ব্যবহার বুদ্ধিজাত সম্পদ কি জ্ঞানের অধিকার লংঘন হিসেবে বিবেচনা করে দৃষ্টান্তমূলক ন্যায়বিচার দাবি করে চলতি আলাপ।

৪ পরিবেশ এবং প্রতিবেশ সম্পর্কিত বিদ্যমান দর্শন এবং চিন্তাকে ঘেঁটে নারীবাদীরা দেখিয়েছেন পরিবেশ সম্পর্কিত কোনো মতবাদেই পরিবেশ বিষয়টির নিশ্চিত সুরাহা হয় না। কারণ এইসব মতবাদ গড়ে ওঠেছে একটি পুরুষতান্ত্রিক কাঠামো এবং বলপ্রয়োগকারী প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে। এই দৃষ্টিভঙ্গি এসব ধারণা অটুট রাখে, যে পুরুষ নারীর চেয়ে প্রধান, মন শরীরের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সংস্কৃতি প্রকৃতির চেয়ে উচ্চ। বিদ্যমান ক্ষমতা কাঠামোতে কর্তৃত্ব এবং বলপ্রয়োগের জায়গায় নারীবাদীরা নারী, শিশু, সংখ্যালঘু, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং প্রকৃতিকে নিকট সম্পর্কিত এবং পারস্পরিক আহাজারির ভেতর দিয়ে ঐক্যবদ্ধ মনে করেন। পরিবেশ ডিসকোর্সে নারীবাদীদের এই চিন্তা সমপ্রতি প্রতিবেশনারীবাদ (Ecofeminism) হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। প্রতিবেশনারীবাদীরা সকল ধরনের কর্তৃত্ব ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে। বহুপাক্ষিক সম্পর্ক এবং শ্রেণীহীন দুনিয়াতে বিশ্বাসী এই মতবাদ কোনো ধরনের কর্তৃত্ব ছাড়া মানুষকে প্রকৃতির সাথে সম্পর্কিত হওয়ার আহবান জানায়। যেখানে অন্যান্য পুরুষতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কর্তৃত্ব এবং বলপ্রয়োগসমূহকে জিইয়ে রাখে। কারেন ওয়ারেন, বন্দনা শিবা, ক্যারোলিন মারচেন্ট, রুজমেরী র্যুথার, য়্যনেস্ত্রা কিং প্রতিবেশনারীবাদী ধারণার ভিন্নতা দিয়ে পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীবনযাপনের জটিল সম্পর্কের চিন্তাকাঠামোর শরীরকে অন্যান্য মতবাদের চাইতে অনেক বেশী সংগঠিত, স্পষ্ট এবং মূর্ত করে তুলেছেন।

৫ শ্রী বিজয় চন্দ্র রায়ের (সংগ্রহ ও সম্পাদনা) খনার বচন, শ্রীবাসব বিজয় দাস সম্পাদিত বৃহত্ খনার বচন (যদিও বইয়ের মলাটের ভেতরে বইটির নাম লেখা হয়েছে ‘প্রাচীন ও বিশুদ্ধ খনার বচন’) এবং পন্ডিত রামপদ ভট্টাচার্য (আচার্য) সংকলিত খনার বচন বা সরল জ্যোতিষ বচন এই তিনটি পুস্তকের কথা বলা হচ্ছে। মৌখিক জ্ঞানবিনিময়ের বাইরে, উল্লিখিত ধরণের পুস্তক এবং বাংলা পঞ্জিকা থেকেই এখনও গ্রামীণ সমাজে খনার বচনের চর্চা চলে। ‘বাংলার প্রবাদ প্রবচন সমগ্র বা প্রবাদ প্রবচনে বাংলার আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট মার্কা’ কোনো শহুরে মধ্যবিত্তীয় প্রকাশনা থেকে এখনও খনার বচন চর্চার চল শুরু হয়নি।--Muttalib Hoshen (আলাপ) ১৩:৩৯, ১১ অক্টোবর ২০১৮ (ইউটিসি) Muttalib Hoshenউত্তর দিন

সোনার তরী – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর /// Sonar Tori (The Golden Boat)Translated by the poet himself, taken from The Fugitive.[সম্পাদনা]

গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা। কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা। রাশি রাশি ভারা ভারা ধান কাটা হল সারা, ভরা নদী ক্ষুরধারা খরপরশা। কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা।

     একখানি ছোটো খেত, আমি একেলা,

চারি দিকে বাঁকা জল করিছে খেলা। পরপারে দেখি আঁকা তরুছায়ামসীমাখা গ্রামখানি মেঘে ঢাকা প্রভাতবেলা– এ পারেতে ছোটো খেত, আমি একেলা।

     গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে,

দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে। ভরা-পালে চলে যায়, কোনো দিকে নাহি চায়, ঢেউগুলি নিরুপায় ভাঙে দু-ধারে– দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।

ওগো, তুমি কোথা যাও কোন্‌ বিদেশে, বারেক ভিড়াও তরী কূলেতে এসে। যেয়ো যেথা যেতে চাও, যারে খুশি তারে দাও, শুধু তুমি নিয়ে যাও ক্ষণিক হেসে আমার সোনার ধান কূলেতে এসে।

     যত চাও তত লও তরণী-‘পরে।

আর আছে?– আর নাই, দিয়েছি ভরে। এতকাল নদীকূলে যাহা লয়ে ছিনু ভুলে সকলি দিলাম তুলে থরে বিথরে– এখন আমারে লহ করুণা করে।

     ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই– ছোটো সে তরী

আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি। শ্রাবণগগন ঘিরে ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে, শূন্য নদীর তীরে রহিনু পড়ি– যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।


The rain fell fast. The river rushed and hissed. It licked up and swallowed the island, while I waited alone on the lessening bank with my sheaves of corn in a heap.

From the shadows of the opposite shore the boat crosses with a woman at the helm. I cry to her, ‘Come to my island coiled round with hungry water, and take away my year’s harvest.’

She comes, and takes all that I have to the last grain; I ask her to take me. But she says, ‘No’-the boat is laden with my gift and no room is left for me.Muttalib Hoshen (আলাপ) ১৩:৫৬, ১১ অক্টোবর ২০১৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন