ব্যবহারকারী আলাপ:Artheeta Sarker/খেলাঘর
আলোচনা যোগ করুন
চাটনী[সম্পাদনা]
বাঙালির শেষ পাতের প্রিয় খাদ্যর মধ্যে অন্যতম হল চাটনী। কিন্তু বাঙালির চাটনীর সঙগে অবাঙলি চাটনীর তফাৎ টা হয় স্বাদের। বাঙালি বাড়ির চাটনী টা হয় প্রধানত মিষ্টি। যদিও রকমফেরে ঝাল বা টক চাটনী ও পাওয়া যায়। চাটনী কে বিভিন্ন নামে ডাকা ও হয়ে থাকে অনেক সময়ে। কখনও সে হয়ে ওঠে টক, কখনও অম্ব্ল, কখনও অম্ল-মধুর বা কখনও আচার।
চাটনীর হরেক রকম[সম্পাদনা]
মোটামুটি বিভিন্ন ধরনের ফল বা সবজি দিয়ে তৈরী করা যায় এই সুস্বাদু পদটি। মরসুমি ফলের আধিক্য দেখতে পাওয়া যায় চাটনী তৈরীতে। যেরকম গরম কালে কাঁচা আমের চাটনী, শীতকালে আনারসের, এবং সারাবছরই ট্মেটো, আমস্বত্ত-খেজুর-কিশমিশ, ও পেঁপেঁর পাওয়া যায়। এসব চাটনীর প্রনালী সহজ ও চট করেই বানিয়ে ফেলা সম্ভব। তারপর আসে আরেক্টু শৈলপিক রন্ধ্ন প্রনালী নিরভর চালতা ও খসলার চাটনী। চালতা ফলটি প্রথমত সহজ লভ্য নয়, ও দ্বিতীয়ত ফলটি কাটা একটু ক্ঠিন। খসড়া ফল টাও খুঁজে পাওয়া সহজ নয়, প্রধানত রাড়বঞগে পাওয়া যায়। সেই খসলা দিয়ে বড়া বানিয়ে সেটা দিএ বানানো হয় চাটনী। <রেফ>https://en.wikipedia.org/wiki/Chutney</রেফ>
আচার[সম্পাদনা]
চাটনীর-ই আরেক্টা ধরন হল আচার। চাটনীর মতন বাঙালির আচারও খানিক্টা মিশটির দিকেই। আম, লেবু, কুল, তেতুল, এমনকি লনকার ও আচার হয়। আচারের সাথে চাটনীর তফাৎ টা এখানেই যে আচার তৈরী করে প্রায় এক বছর ধরে খাওয়া যায় কিন্তু চাটনী তে তা সম্ভব হয় না, কারন আচারে জৈবিক প্রক্রিয়া তে সুরয্যের আলো ও বিভিন্ন প্রকারে সংরক্ষন করা হয়। যেটা চাটনী তে করা হয় না। নুন, তেল, ও মশলা সহযোগে প্রধান উপকরন টাকে মজানো হয়। সেখান থেকে তৈরী হয় আচার।
আচারের উপকারিতা[সম্পাদনা]
আপাত ভাবে চাটনী বা আচার কে খুবি নগন্য এক্টি খাদ্য মনে হলেও দৈননদিন জীবনে আচারের উপকারিতা অনেক। আচারের মাধ্যমে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রবেশ করে যা হজমে সাহায্য করে, লিভার ভাল রাখে, সুগার কমাতে সাহায্য করে ও আলসার কমাতেও। আচারের মাধ্যমে অনেক কিছু সংরক্ষন ও করা হয়ে থাকে। এছারাও সবথেকে প্রচলিত উপকারিতা টা হল শেষ পাতে স্বাদ বদল ও মিস্টি মুখ। চাটনী বা আচার খানিক্টা হলেও খিদে বাড়াতে সাহায্য করে। বাংআলীর পঞ্চ ব্যাঞ্জনের অন্যতম পদ চাটনী। ষোড়শোপচার খাদ্যর মধ্যে বেশ সম্মানীয় স্থান অধিগ্রহন করে আছে চাটনী। তাই চাটনী না হলে অনুস্ঠান বাড়ির ভুরিভোজ ও শেষ হয় না। <রেফ>https://www.vegrecipesofindia.com/punjabi-mango-pickle/</রেফ>
চাটনীর প্রনালী[সম্পাদনা]
বাংআলীর কাছে কাঁচা আমের চাটনী ছাড়া গরম কাল অসম্পুরন। কাঁচা আমের চাটনী বানাতে প্রথমেই লাগে কাচা আম, এক্টি ৩০০ গ্রাম ওজনের আমের জন্য চিনি লাগবে মোটামুটি এক কাপ, অল্প খানিক্টা আদা(মিহি করে বাঁটা, হাফ চামচ), সরিষার তেল (এক চামচ), দুই কাপ জল, শুকন লনকা(দুটো), কালো সরষে (এক চামচ), হাফ চামচ নুন, এক চিমটে হলুদ, হাফ চামচ শুকনো লনকার গুড়ো ও এক বড় চামচ ভাজা মশ্লা। প্রথমে আম গুলি কে ভাল করে ধুয়ে, জল ঝরিয়ে রাখতে হবে। তার পর ইচ্ছে মচন ছোটো ছোটো টুকড়োতে কেটে নিয়ে তাতে নুন ও লনকার গুড়ো ছড়িয়ে ভাল করে মেখে নিতে হবে। তারপর এক্টি পাত্রতে তেল গরম করে গোটা মশ্লা গুলো দিয়ে ভাল করে নাড়িয়ে নিতে হবে। আগে থেকে মশ্লা মাখানো আম গুলি তেলে দিয়ে দুই মিনিট নাড়িয়ে নিয়ে আদা অ হলুদ দিতে হবে। জল দিয়ে মিশ্রন্টিকে ফুটতে দিতে হবে মিনিট বারোর জন্য। আমগুলো ফুটে খানিক্টা নরম হয়ে এলে চিনিটা দিয়ে ইচ্ছে মতন ঘনত্ত না হওয়া ওব্ধি ওভেনে রাখতে হবে। তারপর ওভেন বন্ধ করে এক্টি পাত্রতে ঢেলে ওপরে ভাজা মশ্লা ছড়িয়ে দিতে হবে। ঠান্ডা হয়ে গেলেই তৈরী আমের চাটনী। ভাতের শেসে পরিবেশন করুন কাচা আমের চাটনী।
রেফেরেনশএসঃ[সম্পাদনা]
<<রেফ্লিস্ত>> <রেফ>https://en.wikipedia.org/wiki/Chutney</রেফ>
<রেফ>https://www.vegrecipesofindia.com/punjabi-mango-pickle/</রেফ>