ব্যবহারকারী:Shobhanlal mukherjee150/খেলাঘর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

টেমপ্লেট:ছত্রভোগ ছত্রভোগ দক্ষিণ 24 পরগনার ডায়মণ্ড হারবার মহাকুমার অন্তর্গত মথুরাপুর ব্লক-I এর কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ একটি গ্রাম। ডায়মণ্ড হারবার মহাকুমা শহর থেকে ডায়মণ্ড হারবার- রায়দিঘী রোড দ্বারা যুক্ত ।অতীতে গঙ্গা নদীর ত্রিবেণী থেকে বিভক্ত তিনটি ধারার মধ্যবর্তী শাখা হুগলী যেটি কলকাতার কালীঘাটের পাশ দিয়ে বোরাল, মাহিনগর (মালঞ্চ)বারুইপুর, সূর্যপুর, জয়নগর, বিষ্ণুপুর (পূর্ব) প্রভৃতি স্থানের পাশ দিযে ছত্রভোগের পাশ দিয়ে সাগর সঙ্গমে মিশেছিল। এই নদী পথের বর্ণনা পাওয়া যায় বেশ কিছু মঙ্গল কাব্যে এবং চৈতন্যভাগবত গ্রন্থে । পূর্বোক্ত গ্রন্থ সমূহ তে বিভিন্ন বণিকদের যাত্রা পথের ভৌগলিক বর্ণনা পাওয়া যায় তাতে এই স্থান যে উল্লেখযোগ্য নদী বন্দর তথা বানিজ্য কেন্দ্র এবং তীর্থ স্থান রূপে পরিগণিত হত । উত্তর 24 পরগনার বাদুড়িয়ার কবি বিপ্রদাস পিপলাই (১৪৯৫ ইং) মনসামঙ্গল কাব্য রচনা করেছিলেন । তাঁর কাব্য মনসাবিজয় শিরোনামে নামে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশ করেছিলেন সুকুমার সেন । মূল বর্ণনাতে পাওয়া যায় “কালীঘাটে চাঁদরাজা কালীকা পূজিয়া ।/ চূড়া ঘাট বাহিয়া যায় জয়ধবনি দিয়া॥/ধনস্থান এড়াইল বড় কুতূহলে।/ বাহিল বারুইপুর মহাকোলাহলে।/হুলিয়ার গাঙ বাহি চলিত ত্বরিত /ছত্রভোগ গিয়া রাজা চাপায় বূহিত॥ তীর্থ কার্য্য চাঁদরাজা করিল তথায়/বদরিকা কুণ্ড জল লইল নৌকায়॥“<ref Bangala Sahityer Itihas, Vol. I, (Bengali),Sukumar Sen, Kolkata: Ananda Publishers, {{আইএসবিএন|81-7066-966-9}}, pp.171> উপরোক্ত বর্ণনা অনুযায়ী ছত্রভোগে চাঁদ সদাগর নৌকার মালপত্র ওঠান এবং নামানোর পাশাপাশি তীর্থ কার্য্য ও সম্পন্ন করে নিয়েছেন।একথা কারুর অজানা নয় যে তিনি ছিলেন শিবের উপাসক তাই তিনি অম্বুলিঙ্গ শিব কেই পূজা দিয়েছিলেন।

বর্ধমানের বাসিন্দা মুকুন্দ রাম চক্রবর্তী (১৫৯৫ ইং) রচনা করেছিলেন চণ্ডী যা কবিকঙ্ক্ণ চণ্ডী নামেও পরিচিত । তাঁর রচনা থেকে আমরা জানতে পারি বণিক ধনপতি সদাগর ও তার পুত্র শ্রীমন্ত সদাগর এই ছত্রভোগে ও অম্বুলিঙ্গে এসেছিলেন , এখানে দেবী ত্রিপুরা এবং নীলমাধবকে পূজা দিয়েছেন । মূল বর্ণনা,” ডাইনে অনেক গ্রাম রাখে সাধুবালা/ ছত্রভোগ উত্তরিল অবসান বেলা॥/ত্রিপুরা পুজিয়া সাধু চলিল সত্বর।/অম্বুলিঙ্গে গিয়া উত্তরিল সদাগর॥ উত্তর 24 পরগনার নিমতার (বেলঘড়িয়ার নিকট) কবি কৃষ্ণ রাম দাস সুন্দরবনের বাঘের দেবতা দক্ষ্মিনা রায়কে নিয়ে যে মঙ্গল কাব্য রচনা করেছিলেন তা রায়মঙ্গল নামে পরিচিত। রায়মঙ্গল কাব্যের রচনা কাল (১৬৮৬ ইং)। এখানে পাওয়া যায়॰ সারি গায় জুড়ি জুড়ি কাকদ্বীপ গজখড়ি / ছাড়াইল বনিকের রাজে। টীয়া খোল পাছুয়ান গঙ্গাধারায় করি স্নান।/উপনীত হইল ছ্ত্রভোগে।।/ অম্বুলিঙ্গ মহাস্থান নাহি যার উপমান।/বন্দিল তথায় বিশ্বনাথ।/বাদ্য বাজে সুমধুর বাহিয়া হাজা বিষ্ণুপুর/ জয়নগর করিলা পশ্চাত্।।“ ছত্রভোগ গেলা প্রভু অম্বুলিঙ্গ ঘাটে/ শতমুখী গঙ্গা দেখিল নিকটে।