ব্যবহারকারী:Piyali.das/বন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বন

বন হলো ঘন গাছে ঘেরা একটি এলাকা। বনের নানান ধরণের সংজ্ঞা আছে, তবে তা ঠিক করা হয় বিভিন্ন মাপকাঠির ভিত্তিতে।[1] ভূপৃষ্ঠের ৯.৪শতাংশ (বা স্থলভূমির মোট ৩০শতাংশ) এলাকার বিভিন্ন অঞ্চল জুড়ে বর্তমানে এই গাছপালার সম্প্রদায় ছড়িয়ে আছে। এই বনাঞ্চল অনেক প্রাণীর লালনক্ষেত্র হিসেবেও যেমন কাজ করে তেমনি বিভিন্ন নদী-নালার পথ পরিবর্তন, মাটি সংরক্ষণের মতো কাজ করে তারা পৃথিবীর জীবমণ্ডলের অন্যতম গুরুত্বপূ্র্ণ রূপ তৈরি করে। যদিও প্রাথমিকভাবে একটি বনের বৈশিষ্ট্য নির্দিষ্ট করা হয় তার গাছের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী। কিন্তু ছত্রাক জাতীয় গাছ বাফাংগির মতো আরও অন্যান্য প্রজাতির গাছের উপস্থিতির ফলেই তার বাস্ত্তুতন্ত্রকে আরও গভীরভাবে নির্দিষ্ট করা যায়।[3] বনভূমিতে একটি গাছের ও আরেকটি গাছের মধ্যে অনেকটা খোলা জায়গা থাকে, কিন্তু তার বাস্ত্তুতন্ত্র বনের থেকে যথেষ্টই আলাদা। শব্দের বুত্‌পত্তি ‘ফরেস্ট’ (বন) এই শব্দটি পুরোনো ফরাসী এবং মধ্যযুগীয় ল্যাটিন ‘ফরেস্টিস’ শব্দ থেকে মধ্যযুগীয় ইংরেজিতে এসেছে। আক্ষরিকভাবে যার অর্থ হলো ‘বাইরে’। এখন ইংরেজিতে ‘বন’ শব্দটিকে কোনো অবাসযোগ্য বেড়াহীন এলাকা হিসেবে ইঙ্গিত করলে তাকে সেকেলে বলে মনে করা হয়।[4] এই শব্দটিকে একটি আইনি শব্দ হিসেবে ব্যবহার করেছিলো ইংল্যান্ডের নরম্যান শাসকরা (ম্যাগনা কার্টার মতো ল্যাটিন গ্রন্থে এর উল্লেখ ছিল)। আইনি শব্দের অর্থ ছিলো সামন্ততান্ত্রিক অভিজাত সম্প্রদায়ের (দেখুন রাজকীয় বন) শিকারের জন্য আইনিভাবেই সরিয়ে রাখা অকৃষিযোগ্য এলাকা।[7][5] গাছগাছালির প্রয়োজন থাকলেও শিকারের জন্য এই বনগুলিতে, গাছগাছালি খুব একান্তভাবে প্রয়োজনীয় ছিলো না। যদিও এই শিকার ক্ষেত্রগুলিতে বেশ অনেকটা জায়গাজুড়েই গাছগাছালি থাকতো, এই ‘বন’ শব্দটির অর্থ পরে সাধারণভাবে গাছগাছালিপূর্ণ এলাকাই হয়ে দাঁড়ায়।[8] চতুর্দশ শতকের শুরুতে এর তিন ধরণের মানে নিয়েই শব্দটি ইংরেজি লেখায় গ্রন্থে এলো. তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার ছিলো, এর আইনি ব্যাখ্যা এবং সেকেলে ব্যবহার।[10] বন্টন


[11]গাছ বেড়ে উঠতে পারে এমন সব এলাকায় বন পাওয়া যায়। গাছের বেড়ে ওঠা সম্ভব এমন উচ্চতা পর্যন্ত (ট্রি লাইন) গাছ জন্মায়। তবে এর ব্যতিক্রমও আছে কয়েকটি ক্ষেত্রে। যেমন যেখানে প্রাকৃতিক কোনো কারণে বার বার আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে বা অন্যান্য ঝঞ্ঝা খুব বেশি অথবা মানুষেরই কোনো কাজের ফলে পরিবেশে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে, এমন এলাকায় বনাঞ্চল দেখা যায় না। নিরক্ষীয় অঞ্চলের ১০° উত্তর এবং দক্ষিণ অক্ষাংশ এলাকার অধিকাংশ হচ্ছে ক্রান্তীয় বৃষ্টিঅরণ্য প্রভাবিত এলাকা। আবার ৫৩°উত্তর এবং ৬৭°উত্তর দ্রাঘিমাংশের মধ্যে রয়েছে উত্তরের বন। একটি সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী, যে বন এলাকা অ্যাঞ্জিওস্পার্ম বা চওড়া পাতার গাছে পরিপূর্ণ থাকে সেই বন এলাকা জিমনোস্পার্ম (কোন সরলবর্গীয়, মন্টেন বা সূঁচোলো পাতার বন)’র তুলনায় অনেক বেশি সম্পদশালী প্রজাতির গাছের দেখা মেলে। অবশ্যই এর ব্যতিক্রম আছে। বনে একটি ছোটো এলাকার মধ্যে অনেক সময় দেখা যায় বহু প্রজাতির গাছ রয়েছে (যেমন ক্রান্তীয় বৃষ্টি এবং শীতপ্রধান পর্ণমোচী বন), অথবা বিরাট এলাকায় অপেক্ষাকৃত কম প্রজাতির (যেমন তৈগা এবং বৃষ্টিপাতহীন পার্বত্য (সরলবর্গীয় গাছের বন) গাছ রয়েছে। বহু প্রাণী এবং বিভিন্ন প্রজাতির গাছের বাসস্থান হলো বন। অন্যান্য উদ্ভিদজগতের তুলনায় এই এলাকার ইউনিট প্রতি জৈববস্তু বা বায়োমাস অনেক বেশি থাকে। মাটির নিচে শিকড় পদ্ধতিতে এবং গাছের আংশিকভাবে পচে যাওয়া বর্জ্য বস্তু থেকেই বেশিরভাগ সময়ে এই জৈববস্তু তৈরি হয়। বনের মধ্যে কাঠের যে যৌগ আছে তার মধ্যে লিগনিন থাকে। সেলুলোজ বা কার্বোহাইড্রেটের মতো জৈবপদার্থের তুলনায় এতে পচন ধরে অপেক্ষাকৃত ধিরে। বনের সঙ্গে বনভূমির পার্থক্য করা হয় তার গাছগাছালির চাঁদোয়া কতোটা দূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে। বনে অনেক সময় বিভিন্ন গাছের শাখা এবং তার পত্রসমষ্টি মিশে যায় একে অপরের সঙ্গে। যদিও বন হিসেবে যেটা উল্লেখ করা হচ্ছে তার এলাকার মাপে ফারাক থাকতে পারে। বনভূমিতে আবার বড় বড় গাছ থাকা এলাকায় একটানা অনেকটা খোলা চাঁদোয়া পাওয়া যায়, একেকটি গাছের মধ্যে জায়গাও অনেক ছড়িয়ে থাকে। যার ফলে তার মধ্যে দিয়ে মাটিতে অনেক বেশি সূর্যের আলো এসে পৌঁছতে পারে। (আরো দেখুন সাভানা) বনের বৃহত্‌ জৈববস্ত্তর মধ্যে: • বৃষ্টি অরণ্য (ক্রান্তীয় ও শীতপ্রধান) • তৈগা • শীতপ্রধান শক্ত কাঠওয়ালা গাছের বন • ক্রান্তীয় শুষ্ক বন শ্রেণীভুক্তিকরণ


বিভিন্নভাবে এবং বিশেষত্বের বিভিন্ন মাপকাঠিতে বনগুলিকে শ্রেণীভুক্ত করা হয়। তারই একটার পরিভাষা হলো ‘বায়মে, প্রজাতির অধিকাংশের পাতার দীর্ঘজীবনের সঙ্গে কীভাবে গাছপালা টিকে থাকে তাকেই প্রকাশ করা হয় এই পরিভাষা দিয়ে (এই প্রজাতিগুলি চির হরিতনা পর্ণমোচী তা বোঝা যায়)। আরেকটা স্বাতন্ত্রও আছে, যেখানে বনগুলি বড় পাতার গাছ, সরলবর্গীয় (সূঁচালো পাতা) গাছ অথবা মিশ্র ধরনের গাছ দিয়ে সাজানো।

• উপমেরু অঞ্চলে উত্তরের অরণ্য রয়েছে। এগুলি সাধারণত চির হরিত ও সরলবর্গীয় ধরণের হয়। • শীতপ্রধান এলাকায় বড় পাতার পর্ণমোচী গাছের বন (যথা, শীতপ্রধান পর্ণমোচী বন) এবং চির হরিত সরলবর্গীয় বন (যথা, শীতপ্রধান সরলবর্গীয় বন ও শীতপ্রধান বৃষ্টি অরণ্য) উভয় ধরনের বনই হতে পারে। গ্রীষ্মপ্রধান এলাকায় আবার জলপাই জাতীয় বৃক্ষের চিরসবুজ পাতাওয়ালা গাছের বনসহ বড় পাতার চিরহরিত অরণ্য টিকে থাকতে পারে। • ক্রান্তীয় এবং প্রায় ক্রান্তীয় বনের অন্তর্ভুক্ত হলো ক্রান্তীয় এবং প্রায় ক্রান্তীয় আর্দ্র বন, ক্রান্তীয় এবং প্রায় ক্রান্তীয় শুষ্ক বন এবং ক্রান্তীয় এবং প্রায় ক্রান্তীয় সরলবর্গীয় বন। • কোনো জঙ্গলের সাধারণ বৈশিষ্ট্য তাদের সামগ্রিক প্রাকৃতিক কাঠামো অথবা উন্নয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের অবস্থার ভিত্তিতে শ্রেণী বিন্যস্ত হয়। (যথা ওল্ড গ্রোথ বনাম সেকেন্ড গ্রোথ) • জলবায়ু ও কোন প্রজাতির গাছ বেশি রয়েছে, তার ভিত্তিতেও বনগুলিকে আরো নির্দিষ্টভাবে শ্রেণী বিন্যস্ত করা যায়, ফলস্বরূপ বহু ধরনের বনের ধরন পাওয়া যায় (যথা, পোন্দেরোসা পাইন/ডগলাস ফার বন) গোটা বিশ্বে বহু সংখ্যক বন প্রকারভেদ ব্যবস্থার প্রস্তাব করা হয়েছে, কিন্তু কোনোটাই সর্বজনীন স্বীকৃত নয়।[13] অন্যান্য জটিল ব্যবস্থার থেকে UNEP-WCMC-এর বন প্রকারভেদ ব্যবস্থা একটা সরলীকৃত ব্যবস্থা (যথা,UNESCO -র জঙ্গল ও বনভূমি সাবফর্মেশন)। বিশ্বজুড়ে এই ব্যাবস্থাটি বনগুলিকে 26 টি মূল শ্রেণীতে ভাগ করেছে, যাতে জলবায়ু এলাকার পাশাপাশি প্রধান গাছপালার চরিত্র তুলে ধরে। এই 26 টি মূল শ্রেণীকে আবার 6 টি বড় শ্রেণীতে নতুন করে ভাগ করা যায়: শীতপ্রধান সূঁচালো পাতা, শীতপ্রধান বড় পাতা এবং মিশ্র, গ্রীষ্মমন্ডলীয় শুষ্ক, ঘন নয় এমন গাছ এবং বনসৃজন। প্রত্যেকটি শ্রেণীর বর্ণনা নিচে দেওয়া হলো। শীতপ্রধান সূঁচালো পাতা শীতপ্রধান সূঁচালো পাতাওয়ালা গাছের বনের বেশিরভাগটাই রয়েছে উত্তর গোলার্ধের মেরু অঞ্চলের পাশাপাশি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অতি উচ্চ এলাকা এবং কিছু গ্রীষ্মপ্রধান এলাকাতেও, বিশেষত পুষ্টির অভাব অথবা অন্যথায় প্রতিকূল মাটি. এই বনগুলির গোটাটাই কিংবা আংশিক তৈরি হয় পাইন জাতীয় প্রজাতির গাছ (কনিফেরোফাইটা) দিয়ে. উত্তর গোলার্ধে পাইন পিনাস, বড়ো আকারে ফার পিচিয়া, লার্চেস ল্যারিক্স, সিলভার ফার অ্যাবিয়েস ডগলাস ফার সিউডটসুগা — হেমলক সুগা আচ্ছাদনের কাজ করে তবে অন্যান্য টাক্সাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ. দক্ষিণ গোলার্ধে বেশিরভাগ সরলবর্গীয় গাছ, আরাউকেরিয়াসিস ও পোডোকারপাসিয়ের সদস্য, এগুলি বড় পাতার সংমিশ্রণ যাকে বড় পাতা ও মিশ্র জঙ্গল. শীতপ্রধান সূঁচালো ও মিশ্র পাতা শীতপ্রধান সূঁচালো পাতাওয়ালা ও মিশ্র গাছের বনের মধ্যে অ্যান্থাফাইটার পর্যাপ্ত উপাদানের গাছপালা থাকে। সাধারণত এগুলি উষ্ণ অক্ষাংশের বৈশিষ্ট্য, তবে ঠান্ডাতেও এই গুণ লক্ষ্য করা যায়, বিশেষ করে দক্ষিণ গোলার্ধে।শ এগুলির মধ্যে এমন ধরনের বন থাকে যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিন-জাপানের মিশ্র পর্ণমোচী জঙ্গলে দেখা যায়, জাপান, চিলি ও তাসমানিয়ার বড় পাতার চির হরিত বৃষ্টি বন এবং অস্ট্রেলিয়া, মধ্য চিলি, ভূমধ্য সাগরীয় অঞ্চল এবং ক্যালিফোর্নিয়ার স্ক্লেরোফিলাস বনেও একই বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। তাছাড়া চিলি ও নিউজিল্যাণ্ডের দক্ষিণ উপকূলীয় নোথোফাগুস বনেরও একই বৈশিষ্ট্য। ক্রান্তীয় আর্দ্রতা [14] ক্রান্তীয় আর্দ্রতার বনাঞ্চলে রয়েছে বহু ধরণের বন। এই ধরণের বনের মধ্যে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ এবং বিস্তৃত বনভূমি হল নিম্ন এলাকার চিরহরিত চওড়া পাতার বৃষ্টি অরণ্য। উদাহরণসহ বলা যেতে পারে, মরসুমে প্লাবিত হয়ে পড়া ভেরজিয়া এবং জগাপো বন এবং আমাজন উপত্যকার টেরা ফার্মা বন; এছাড়া স্যাঁতস্যাতে জলাভূমি এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার আর্দ্র ডিপটেরোকার্প বন এবং কঙ্গো উপত্যকার উপরের বনে এই ধরণের গাছ দেখা যায়। ক্রান্তীয় পাহাড়ি এলাকার বনও এই বৃহত্‌ শ্রেণীর অন্তর্গত। এই বনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য যা উচ্চতার ভিত্তিতে পরিবর্তিত হয় তা উচ্চ এবং নিম্ন পার্বত্য এলাকায় সাধারণত বিভক্ত। এই পার্বত্য বনের মধ্যে রয়েছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় মেঘ থেকেই জল নিয়ে বেড়ে ওঠা মাঝারি বা উচ্চ উচ্চতার বন, মেঘ বনাঞ্চল। একইসঙ্গে এই বনাঞ্চলে রয়েছে নলিযুক্ত বা নলিবিহীন এপিফাইট ধরণের গাছের অতিপ্রাচুর্য। মধ্য আমেরিকার ক্রান্তীয় সরলবর্গীয় বনের মতোই এই বৃহত্ শ্রেণীর মধ্যে রয়েছে ম্যানগ্রোভ জাতীয় বনও। ক্রান্তীয় শুষ্ক ক্রান্তীয় শুষ্ক অরণ্য হলো মরসুমি খরায় প্রভাবিত ক্রান্তীয় অঞ্চলের পরিচয়বাহী। বৃষ্টিপাতের ঋতুনির্ভরতা সাধারণভাবে প্রতিফলিত হয় গাছের আচ্ছাদনের পাতা ঝরার মাধ্যমে, যেখানে বছরের বেশ কয়েক মাস বেশির ভাগ গাছগুলি পাতাহীন হয়ে পড়ে থাকে। যদিও কম উর্বর জমি অথবা খরার কম আন্দাজের মতো কিছু শর্তের নিরিখে চিরহরিত প্রজাতির অনুপাত বেড়ে যায় এবং সেই বনের চরিত্রায়ন হয় ‘স্‌ক্লেরোফিলাস’ বলে। কাঁটার জঙ্গল, বড় সংখ্যায় কাঁটা বা গুল্ম প্রজাতির উদ্ভিদের উপস্থিতিতে কম উচ্চতার গভীর জঙ্গল দেখা যায় যেখানে খরা দুর্ঘস্থায়ী হয়, বিশেষ করে যেখানে প্রচুর গবাদি পশু থাকে। এই খারাপ জমিতে যেখানে দাবানল প্রায়শই লেগেই থাকে, যেমন জঙ্গলাকীর্ণ সাভানা (স্পার্স ট্রিস অ্যান্ড পার্কল্যাণ্ড দেখুন) বিরল গাছ এবং উদ্যান

বিরল গাছপালা এবং উদ্যান হলো এমন বনাঞ্চল যেখানে 10-30শতাংশ হচ্ছে মুক্ত চাঁদোয়া বিশিষ্ট একটি ক্রাউনের আচ্ছাদন। তারা মূলত বনভূমি এলাকা বা বনভূমি নয় এমন এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে রূপান্তরিত হয়। যে দুটি বৃহত্‌ অঞ্চলে এই ধরণের বাস্ত্তুতন্ত্র দেখা যায় সেগুলি হলো উত্তরের অঞ্চল এবং মরসুমে শুষ্ক ক্রান্তি অঞ্চল। উচ্চ অক্ষাংশে উত্তরের বনভূমি বা তৈগার প্রধান এলাকায় সবসময়ের জন্য বনের একটি নিবিড় আচ্ছাদনে গাছেদের বেড়ে ওঠার পর্যাপ্ত পরিবেশ নেই। সেইজন্য গাছগুলির আচ্ছাদন যথেষ্ট পাতলা এবং ছড়ানো ছেটানো। এই ধরণের বিভিন্ন উদ্ভিদকে মুক্ত তৈগা, মুক্ত লিচেন, বনাঞ্চল এবং তুন্দ্রা বন বলে অভিহিত করা হয়। এতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কম আছে, ব্রায়োফাইট’র আচ্ছাদন আছে এবং এখানে আগুন লেগে যায় খুব ঘন ঘন। বনসৃজন সাধারণত কাঠ ও বাঁশ উত্পাদনের জন্যই বনসৃজন করা হয় যার ফলে বিশ্বজুড়ে বনের মোট এলাকা বেড়েছে। সাধারণভাবে এক ধরনের এবং কিংবা অনেক ধরনের গাছপালার সমষ্টিতে এই বাস্তুতন্ত্র সহযোত্পন্ন জীববৈচিত্রের আবাসভূমির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নয়। যদিও এই উপায়ে এরা জলাভূমি ও ভুমি কাঠামো রক্ষার পাশাপাশি কার্বন ভাণ্ডার গড়ে এদের জীববৈচিত্র্য কার্যকারিতা বাড়াতে সক্ষম হয়। এরা কাঠ ও জ্বালানির কাঠের জন্য প্রাকৃতিক বনের ওপর চাপ কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। জঙ্গলের শ্রেণী


28 শ্রেণীর বন আছে যা জাতীয় এবং আঞ্চলিক শ্রেণী থেকে একটা পৃথিবীব্যাপী সাদৃশ্যবিধানকারী ব্যাবস্থায় রূপান্তর ঘটাতে সক্ষম: শীতপ্রধান ও উত্তরের বনের ধরন 1. চিরহরিত সূঁচালো পাতা বিশিষ্ট গাছের বন — 30%-র বেশি গাছপালার চাঁদোয়া সহ প্রাকৃতিক বন, এক্ষেত্রে এই আচ্ছাদনের 75%-র বেশি অংশ জুড়েই থাকে চিরহরিত সূঁচালো পাতা। 2. পর্ণমোচী সূঁচালো পাতা বিশিষ্ট গাছের বন — 30%-র বেশি গাছের চাঁদোয়া সহ প্রাকৃতিক বন, এক্ষেত্রে এই আচ্ছাদনের 75%-র বেশি অংশজুড়েই থাকে পর্ণমোচী সূঁচালো পাতা। 3. চওড়া আকৃতির পাতা / সূঁচালো পাতা বিশিষ্ট গাছের মিশ্র বন — 30%-র বেশি গাছপালার আচ্ছাদন সহ প্রাকৃতিক বন, এক্ষেত্রে চওড়া আকৃতির পাতা ও সূঁচালো পাতার মিশ্রণ দেখা যায় (কোথাও কোথাও 50:50, আবার কোথাও এই অনুপাত 25:75 শতাংশ)। 4. চওড়া আকৃতির পাতার চিরহরিত বন — 30%-র বেশি গাছের চাঁদোয়া সহ প্রাকৃতিক বন, এক্ষেত্রে আচ্ছাদনের 75%-র বেশি অংশজুড়েই থাকে চিরহরিত ও চওড়া পাতা। 5. পর্ণমোচী চওড়া আকৃতির পাতার বন — 30%-র বেশি গাছপালার আচ্ছাদন সহ প্রাকৃতিক বন, এর মধ্যে 75%-র বেশি অংশ জুড়েই থাকে পর্ণমোচী চওড়া আকৃতির পাতা। 6. স্বচ্ছ জলের জলাভূমির বনাঞ্চল — 30%-র বেশি গাছপালার আচ্ছাদন সহ প্রাকৃতিক বন, এখানকার গাছগুলিতে নানা ধরনের ও আকৃতির পাতা দেখা যায়, ঋতু নির্ভর এই বনাঞ্চলের পরিবেশগত বৈশিষ্ট্যই হল এখানকার মাটির জলধারণের ক্ষমতা থাকে। 7. স্ক্লেরোফাইলাস শুষ্ক বনাঞ্চল — 30%-র বেশি গাছপালার আচ্ছাদন সহ প্রাকৃতিক বন, এক্ষেত্রে গাছপালার চাঁদোয়া তৈরি হয় বড় আকৃতির স্ক্লেরোফাইলাস পাতা দিয়ে (আচ্ছাদনের 75%-ই থাকে এই চিরহরিত পাতায় মোড়া)। 8. বিশৃঙ্খল প্রাকৃতিক অরণ্য — যে বনাঞ্চলের অভ্যন্তরীণ তাত্পর্য হল মানুষের দ্বারা বনের শান্তি বিঘ্নিত করা, যেমন বন কেটে সাফ করা, কাঠ জোগারের জন্য গাছ কাটা, অ্যানথ্রোপোজেনিক আগুন, রাস্তা নির্মাণ ইত্যাদি। 9. বিরল গাছ ও উদ্যান— প্রাকৃতিক বন যাতে ১০-৩০শতাংশ গাছের আচ্ছাদন থাকে, যেমন বিশ্বের তৃণহীন অঞ্চলে থাকে। এখানে গাছপালা যে কোনো ধরনের হতে পারে (যথা, সূঁচালো পাতা, চওড়া পাতা, বাঁশজাতীয়)। 10. বিচিত্র প্রজাতির বৃক্ষ রোপন—রোপন— 30% -এর বেশি গাছের আচ্ছাদন নিয়ে ব্যাপকভাবে রক্ষিত বন, সাধারণত দেশে প্রাকৃতিকভাবে যে প্রজাতির গাছপালা পাওয়া যায় সেগুলি রোপন করে মানুষই এই বন তৈরি। 11. দেশীয় প্রজাতির বৃক্ষ রোপন— 30% -এর বেশি গাছের আচ্ছাদন নিয়ে ব্যাপকভাবে রক্ষিত বন, সাধারণত দেশে প্রাকৃতিকভাবে যে প্রজাতির গাছপালা পাওয়া যায় সেগুলি রোপন করে মানুষই এই বন তৈরি। 12. *স্বতন্ত্র করা যায় না এমন বন সৃজন— ব্যাপকভাবে বনসৃজনের তথ্য তুলে ধরে তবে এর বাইরে ঐ ধরনের বন সম্পর্কে আর কোনো তথ্য থাকে না. এই তথ্য বর্তমানে কেবল ইউক্রেনের কথা তুলে ধরে। 13. *শ্রেণীভুক্ত নয় এমন বন সংক্রান্ত তথ্য— বন সংক্রান্ত ডেটা যা কেবল বনের কেবলমাত্র সম্প্রসারণের তথ্যই তুলে ধরে যদিও এর বাইরে ঐ ধরনের বন সম্পর্কে আর কোনো তথ্য থাকে না। যেগলি *চিহ্নিত তা এমন তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে যা কোনো বনের প্রকারভেদকে বোঝায় না, তাই 26টি শ্রেণীর কথা বলা হচ্ছে, 28টি দেখানো হচ্ছে না। ক্রান্তীয় বনের ধরণ


1. নিচু ভূমিতে চিরহরিত চওড়া পাতার বৃষ্টি অরণ্য — 30%-র বেশি গাছের আচ্ছাদনসহ প্রাকৃতিক অরণ্য, কম[17] উচ্চতার এই বনাঞ্চল আয়তনে খুব বড় নয়, ঋতু নির্ভর নয়, যে গাছপালা আকাশকে কার্যত ঢেকে রাখে সেই গাছের পাতার 75%-র বেশি প্রশস্ত বা চওড়া ও চিরহরিত। 2. কম উচ্চতায় মনটেন অরণ্য — 30%-র বেশি গাছপালার আচ্ছাদনসহ প্রাকৃতিক অরণ্য, 1200-1800 মিটার উচ্চতায় যে কোনো ঋতুতেই এই বনাঞ্চল গড়ে ওঠে এবং বিভিন্ন মাপের পাতা দেখা যায়। 3. অধিক উচ্চতায় পার্বত্য অরণ্য — 30%-র বেশি গাছপালার আচ্ছাদনসহ প্রাকৃতিক অরণ্য, বেশি [18]উচ্চতায় যে কোনো ঋতুতেই এই বনাঞ্চল গড়ে ওঠে এবং বিভিন্ন মাপের পাতা দেখা যায়। 4. স্বচ্ছ জলের জলাভূমির বনাঞ্চল — 30%-র বেশি গাছের চাঁদোয়া সহ প্রাকৃতিক অরণ্য, নিচু[19] জায়গাতেই সাধারণত দেখা যায়, এখানকার গাছগুলিতে নানা ধরনের ও আকৃতির পাতা দেখা যায়, ঋতু নির্ভর এই বনাঞ্চলের পরিবেশগত বৈশিষ্ট্যই হলো এখানকার মাটির জলধারণের ক্ষমতা থাকে। 5. প্রায় চিরহরিত আর্দ্র চওড়া পাতার অরণ্য — 30%-র বেশি গাছপালার আচ্ছাদন সহ প্রাকৃতিক অরণ্য, সাধারণত নিচু[20] জায়গাতেই হয়, এক্ষেত্রে পাতার যে চাঁদোয়া তৈরি হয় তার 50-75%-ই চিরহরিত, 75% পাতাই চওড়া আকৃতির এবং ঋতুভেদে ফল ও ফুল হয়। 6. মিশ্র প্রশস্ত পাতা / সূঁচালো পাতার অরণ্য — 30%-র বেশি গাছপালার আচ্ছাদনসহ প্রাকৃতিক অরণ্য, সাধারণত নিচু[21] জায়গাতেই হয়, মিশ্র প্রশস্ত পাতা এবং সূঁচালো পাতার মিশ্রণেই তৈরি হয় গাছের চাঁদোয়া (কোথাও এর অনুপাত 50:50, আবার কোথাও 25:75শতাংশ)। 7. সূঁচালো পাতার অরণ্য — 30%-র বেশি গাছপালার আচ্ছাদন সহ প্রাকৃতিক অরণ্য, সাধারণত নিচু[22] জায়গাতেই হয়, এক্ষেত্রে আচ্ছাদনের 75%-ই সূঁচালো পাতা দিয়ে মোড়া। 8. ম্যানগ্রোভ — 30%-র বেশি গাছের চাঁদোয়া সহ প্রাকৃতিক অরণ্য, ম্যানগ্রোভ জাতীয় উদ্ভিদ, সাধারণত দেখা যায় ঈষত লোনা মাটির উপকূলীয় অঞ্চলে, সমুদ্র উপকূলে। 9. বিশৃঙ্খল প্রাকৃতিক অরণ্য — যে বনাঞ্চল যেখানে মানুষের দ্বারা অরণ্যের শান্তি বিঘ্নিত হয়, যেমন বন কেটে সাফ করা, কাঠ জোগাড়ের জন্য গাছ কাটা, অ্যানথ্রোপোজেনিক আগুন, রাস্তা নির্মাণ ইত্যাদি। 10. পর্ণমোচী / আধা পর্ণমোচী চওড়া পাতার বনাঞ্চল — 30%-র বেশি গাছপালার আচ্ছাদনে মোড়া প্রাকৃতিক অরণ্য, সাধারণত নিচু[23] জায়গাতেই হয়, এক্ষেত্রে আচ্ছাদনের 50-100%-ই পর্ণমোচী ও বড় আকৃতির পাতা দিয়ে মোড়া (প্রায় 75%)। 11. স্‌ক্লেরোফাইলাস শুখনো বনাঞ্চল — 30%-র বেশি গাছপালার আচ্ছাদন সহ চিরহরিত প্রাকৃতিক অরণ্য, সাধারণত নিচু[24] জায়গাতেই হয়, এক্ষেত্রে গাছপালার চাঁদোয়া তৈরি হয় বড় আকৃতির স্কেরোফাইলাস পাতা দিয়ে (আচ্ছাদনের 75%-ই থাকে এই পাতায় মোড়া)। 12. কণ্টকময় গুল্ম গাছের বনাঞ্চল — 30%-র বেশি গাছপালার আচ্ছাদন সহ প্রাকৃতিক অরণ্য, সাধারণত নিচু[25] জায়গাতেই হয়, এক্ষেত্রে ক্যানোপি বা গাছপালার আচ্ছাদনটি তৈরি হয় মূলত গুল্ম জাতীয় পর্ণমোচী বৃক্ষ ও সুপুষ্ট কান্ড বিশিষ্ট রসালো, ফাঁপালো গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের দ্বারা। 13. বিরল গাছ ও পার্কল্যান্ড — প্রাকৃতিক অরণ্য, এখানে গাছপালার আচ্ছাদন থাকে 10-30%-র মধ্যে, পৃথিবীতে সাভানা এলাকা এমনই একটি অঞ্চল। সব ধরনের পাতার গাছ দেখা যায় (যেমন সূঁচালো পাতা, বড় আকৃতির পাতা, পামজাতীয় গাছের পাতা)। 14. বিভিন্ন ভিনদেশী প্রজাতির উপবন — গভীর অরণ্য, এখানে গাছপালার আচ্ছাদন থাকে 30%-র বেশি, দেশে দেখা মেলে না এমন প্রজাতির গাছ যা বপন করে মানুষই। 15. দেশীয় প্রজাতির গাছের উপবন — গভীর অরণ্য, এখানে গাছপালার আচ্ছাদন থাকে 30%-র বেশি, দেশেই দেখা মেলে এমন প্রজাতির গাছ যা বপন করে মানুষই। বন বিনষ্ট ও ব্যবস্থাপনা মূল নিবন্ধ: ফরেস্ট্রি , লগিং অ্যাণ্ড ডিফরেস্টেশন


বনের বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালাকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যবেক্ষণ এবং পরিবেশের সঙ্গে তার যোগাযোগ বনের বাস্তুতন্ত্র হিসাবেই চিহ্নিত, বনের ব্যবস্থাপনা বা পরিচালনাকে বলা হয় অরণ্যবিদ্যা। গত কয়েক শতাব্দী হলো বন পরিচালন ব্যবস্থায় ধীরে ধীরে বদল এসেছে, 1980 সালের পর থেকে এই পরিবর্তন দ্রুত হয়েছে এবং বর্তমানে তা নিরবচ্ছিন্নভাবেই একটা টেকসই বন ব্যবস্থাপনার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বন বাস্তুবিদ্যানর ছাত্ররা নকশার মাধ্যমে বনকে সাজাচ্ছেন এবং এই প্রক্রিয়াকে বাস্তব রূপ দিতে মনোনিবেশ করছেন, সাধারণত কারণ ও সম্পর্কের বিচার বিশ্লেষণ করাই এর লক্ষ্য. বনপালরা মূলত বাস্তুবিদ্যা , সামাজিক ও অর্থনৈতিক মূল্যবোধের সংহতিকে টিকিয়ে রাখতেই বন পরিচালন ব্যবস্থাকে দেখভাল করে থাকেন, এমনকি এই কাজে তাঁরা স্থানীয় মানুষ ও অন্যান্যদের পরামর্শও নিয়ে থাকেন। মানবজাতির উদ্ভব সংক্রান্ত বিদ্যা সম্পর্কিত বিষয়গুলি বনের ওপর প্রভাব ফেলেছে, গাছের গুঁড়ি কাটা, নগরের বিস্তার, মানুষের তৈরি দাবানল, অ্যাসিড বৃষ্টি, বিভিন্ন আক্রমণকারী প্রজাতি এবং সুইডেনের ছাঁটা ও আগুন জ্বালানো কৃষির ধরন ও কৃষিকাজের দিকে মানুষের যাওয়ার ফলে সভ্যতার সাথে সাথে বনের ক্ষতি হয়েছে। বনভূমির ক্ষতি ও তার নতুন করে বিকাশের থেকে দুধরনের বনের শ্রেণীর পার্থক্য করা যায়, প্রাথমিক অথবা ওল্ড গ্রোথ বন এবং সেকেণ্ডারি বন। সময়ে সময়ে আরো কিছু প্রাকৃতিক বিষয় রয়েছে যা বনে পরিবর্তন এনেছে, যেমন দাবানল, কীটপতঙ্গ, রোগ, আবহাওয়া, বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে প্রতিযোগিতা প্রভৃত। 1997-এ দ্য ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউট লিপিবদ্ধ করেছিল যে বিশ্বের আসল অরণ্যের মাত্র 20 শতাংশ এখনও নির্বিঘ্নে অক্ষত রয়েছে।[26] এই অক্ষত বনগুলির 75% —এর বেশিই রয়েছে তিনটি দেশে— রাশিয়া ও কানাডার উত্তরে বন ও ব্রাজিলের বৃষ্টি বন। 2006-এ এই অক্ষত বনের তথ্য সর্বশেষ উপগ্রহ ছবির মাধ্যমে সংশোধিত করা হয়। কানাডাতে এমন[27] বনভূমি রয়েছে। এই বনভূমির 90% –র বেশিটাই সরকারের মালিকানায় রয়েছে এবং মোট বনভূমির প্রায় 50% –এ ফসল ফলানোর কাজ চলে। একটা টেকসই বন ব্যাবস্থাপনার নীতিকে ব্যবহার করেই এই বরাদ্দ জমিগুলি নিয়ন্ত্রণ করা হয়, স্থানীয় দাবিদারদের সঙ্গে বিস্তর আলোচনা করেই একাজ করা হয়। কানাডার বনভূমির প্রায় আট শতাংশকে সম্পদ উন্নয়ন থেকে আইনিভাবে রক্ষা করা হচ্ছে (Global Forest Watch Canada)(Natural Resources Canada)। এর থেকে ঢের বেশি বনভূমি— মোট বনভূমির প্রায় 40 শতাংশের রক্ষণাবেক্ষণের মাত্রা বদল হতে পারে, এবং তা হয় স্বীকৃত বনভমির মতো সুসংহত জমি ব্যবহার পরিকল্পনা অথবা নির্দিষ্ট রক্ষণাবেক্ষণ এলাকায় http://web.archive.org/web/20080115024558/http://www.nrcan.gc.ca/cfs-scf/national/what-quoi/sof/sof06/overview_e.html (Natural Resources Canada)। 2006–এর ডিসেম্বরের মধ্যে কানাডার 1,237,000 বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি বনভূমি (গোটা বিশ্বের প্রায় অর্ধেক)(Canadian Sustainable Forestry Certification Coalition)-এর মাধ্যমে বিধিসম্মত বলে ঘোষিত হয়েছে। ফসল তোলা হয়েছে এমন জমিগুলির পুনর্বিকাশ নিশ্চিত করতে আইনগতভাবে ক্লিয়ারকাটিং পদ্ধতিকে সাধারণভাবে ব্যবহার করা হয়। কানাডার বেশিরভাগ প্রদেশেরই সুস্পষ্ট নির্দিষ্ট মাপ[28] নিয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম আছে, যদিও পুরোনো কিছু সুস্পষ্ট নির্দিষ্ট মাপকাঠি যা বহু বছর ধরে কাটা হচ্ছে আরো বাড়ানো যেতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঐতিহাসিকভাবেই বেশিরভাগ বন কিছুটা মানুষের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে আসছে, যদিও সাম্প্রতিক কালে বনসৃজনের চর্চা বেড়ে যাওয়ায় বড় মাত্রার বা মারাত্মক ধরনের ক্ষয়ক্ষতিতে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হয়েছে। ইউনাইটেড স্টেটস ফরেস্ট সার্ভিসের হিসেব হলো 1997 থেকে 2020সালের মধ্যে প্রায় 2মিলিয়ন হেক্টর (4,942,000 একর) বনভূমি লুপ্ত হয়েছে। এই হিসেবের মধ্যে নগরায়ন এবং শহরতলীর উন্নয়নসহ অন্যান্য কাজে বনভূমির রূপান্তরের বিষয়টি যুক্ত রয়েছে। পাশাপাশি জঙ্গল কাটা এবং পড়ে থাকা আবাদী জমি ও পশুচারণভূমিকে ফের বনে পরিবর্তন করার হিসেবও যুক্ত আছে এতে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ এলাকায় বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু প্রদেশে বন এলাকা সুস্থিতই আছে অথবা বাড়ছে। ওল্ড গ্রোথ বন মূলত সেরাল ধরনের জীব বৈচিত্রের প্রাকৃতিক ধরনগুলির গাছপালা নিয়ে তৈরি হয়, এবং তাতে মূলত থাকে ঐ অঞ্চলের ও লালন ক্ষেত্রের জাতক প্রজাতি। এর ফলে প্রাকৃতিক কাঠামো ও লালন ক্ষেত্রের উপাদান বদলের লাগাতার চেষ্টা না থাকায় এর প্রাকৃতিক গঠন ও প্রক্রিয়া মোটেই মানুষের দ্বারা প্রভাবিত হয় না। সেকেণ্ডারি বনে বেশ কিছু লক্ষ্যণীয় প্রজাতির উদ্ভদ থাকে যা মূলত অন্য অঞ্চলের অথবা লালনক্ষেত্রের। শহরে আরো ছোট বনভূমির রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় নগর বনসৃজনের মাধ্যমে, কখনও এগুলি জনসাধারণের জন্য তৈরি পার্কের মধ্যেও হতে পারে। এগুলি প্রায়শই মানুষের উপকারে আসে, মনোযোগ পুনরুদ্ধার তত্বের যুক্তি হল প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটালে তা চাপ কমায় এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, ফরেস্ট স্কুল ও কিণ্ডারগার্টেনগুলি শিশুদের সামাজিক দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি বনের মধ্যে বৈজ্ঞানিক দক্ষতাও বাড়াতে সাহায্য করে। এই বৈশিষ্ট্যগুলি ব্যবহারিক বিদ্যার জন্য শিশুরা যেখানে থাকে তার জন্য জরুরী। প্রদর্শশালা (গ্যালারি)


আরো দেখুন [29]


• কৃষি বনসৃজন বা কৃষি সৃজিত বনভূমি • প্রাচীন বনভূমি, ইউনাইটেড কিংডাম-এ প্রাচীন বনভূমির একটি সরকারী শ্রেণীবিভাগ. • জীবভর বা কোনো নির্দিষ্ট স্থানের সমগ্র জীবসমষ্টি • জীবভর সংক্রান্ত বাস্তুসংস্থান বিদ্যা(বাস্তব্যবিদ্যা) • জীবপদার্থ • জীবমণ্ডল • উত্তরের অরণ্য • গাছের আচ্ছাদন বা চাঁদোয়া • বাদল বন • পিছু নেওয়া (জমি) • অরণ্য বিনাশ • বাস্তুসংস্থান সংক্রান্ত পর্যায় • বন ব্যবস্থাপনা • ভূমিরূপ • বন (তরাই) • কেল্‌প্‌ বন (একটি বন যার পুরোটা নাহলেও বেশিরভাগটাই কেল্প বা বৃহদাকৃতির সামুদ্রিক গুল্মাদি দিয়ে তৈরি, একটি জলের তলার বন) • প্রাকৃতিক পরিবেশ • প্রাকৃতিক দৃশ্য • ওল্ড গ্রোথ ফরেস্ট (প্রাচীন বন, আদিম বন, আদি বন) • পার্মাফরেস্ট্রি • প্রত্নঅরণ্য, ওল্ড গ্রোথ ফরেস্টের সঙ্গে এই পরিভাষা ব্যবহৃত হয় • বৃষ্টি অরণ্য • লাল অরণ্য (কয়েক ধরনের গাছ যেগুলো থেকে লালচে রঙের কাঠ পাওয়া যায় এমন গাছে অরণ্য) • রেড-প্লাস • সিলভিকালচার • তৈগা,(তুন্দ্রা ও স্টেপের মধ্যবর্তী সাইবেরীয় পাইন-অরণ্য), সরলবর্গীয় অরণ্যের একটি জীব-পরিসংখ্যানগত চরিত্র • নাতিশীতোষ্ণ চওড়া পাতা ও মিশ্র বন • নাতিশীতোষ্ণ সরলবর্গীয় বন • ক্রান্তীয় বৃষ্টি অরণ্য • ক্রান্তীয় ও উপ ক্রান্তীয় সরলবর্গীয় বন • ক্রান্তীয় ও উপ ক্রান্তীয় সরলবর্গীয় বন • ওয়াইল্ডক্র্যাফ্টিং • বনভূমি ব্যবস্থাপনা

উল্লেখপঞ্জি উল্লেখ্পঞ্জি -> উল্লেখপঞ্জি there was spelling mistake so i have corrected this -bengali monalisa 12/15/09 2:14 PM [30] আরও পড়ার জন্য • 2006-01-13, Sciencedaily: Deep-rooted Plants Have Much Greater Impact On Climate Than Experts Thought উল্লেখ করছে : "...নলাকৃতি মূল বৃষ্টির জলকে ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূগর্ভের জলাধারে পাঠিয়ে তা ফের বন্টন করে...সালোকসংশ্লেষ বাড়ায় এবং জলের বাষ্পীভবন বাড়ায়... শুখা মরসুমে 40শতাংশের মতো...আর্র্দ্র মরসুমে, এই গাছপালাগুলি বছরে যত জল পায়[31] তার থেকে 10শতাংশ বেশি জল ভূগর্ভে পাঠাতে পারে, শুখা সময়ে গাছগুলির মূল পাইপের মতো কাজ করে যাতে দ্রুত জল নিচে চলে যেতে পারে না হলে এই জলকে মাটি চুঁইয়ে নিচে যেতে হত। বহিঃসুত্রাবলীবহিঃসুত্র -> বহিঃসুত্রাবলী it was grammatical error so i corrected this -bengali monalisa 12/15/09 2:15 PM [32]

• ফরেস্ট ইন ডেঞ্জার • রোডম্যাপ টু রিকভারি: দ্য ওয়ার্ল্ডস লাস্ট ইনট্যাক্ট ফরেস্ট ল্যান্ডস্কেপ • গ্লোবাল ফরেস্ট রিসোর্স অ্যাসেসমেন্ট 2005 ফাও FAO প্রকাশিত • CoolForests.org - কনসার্ভেশন কুলস দ্য প্ল্যানেট বনাঞ্চল

আবাসভূমি

গাছ

প্রতিবেশসংস্থান

[33] [34] [35] [36] [37] [38] [39] [40] [41] [42] [43] [44] [45] [46] [47] [48] [49] [50] [51] [52] [53] [54] [55] [56] [57] [58] [59] [60] [61] [62] [63] [64] [65] [66] [67] [68] [69] [70] [71] [72] [73] [74] [75] [76] [77] [78] [79] [80] [81] [82] [83] [84] [85] [86] [87] [88] [89] [90] [91] [92] [93] [94] [95] [96] [97] [98] [99] [100] [101] [102] [103] [104] [105] [106] [107] [108] [109] [110] [111] [112] [113] [114] [115] [116] [117] [118] [119] [120] [121] [122] [1] ^ লুন্দ, এইচ. গাইদ (কোঅর্ড.) 2006 'ডেফিনেশন অব ফরেস্ট, ডিফরেস্টেশন, অ্যাফরেস্টেশন, অ্যান্ড রিফরেস্টেশন'. গাইনেসভিল্লে, ভিএ: ফরেস্ট ইনফরমেশন সার্ভিস. পাওয়া যাবে: কমকাস্টনেট-গাইড. [3] ^ [2] [7] ^ [6] [10] ^ [9] [13] ^ জেনকিন্স মার্টিন ডি. , গ্রুমব্রিজ ব্রায়ান, ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাস অব বায়োডাইভার্সিটি: আর্থস লিভিং রিসোর্স ইন দ্য টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি, ওয়ার্ল্ড কনসারভেশন মনিটরিং সেন্টার, ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম, রিট্রিভড 20 মার্চ 2007 [12]. [16] ^ ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম, ওয়ার্ল্ড কনসারভেশন মনিটরিং সেন্টার, ব্যাকগ্রাউন্ড টু ফরেস্ট ম্যাপিং অ্যান্ড ডেটা হারমোনাইজেশন, রিট্রিভড 20 মার্চ 2007 [15] [26] ^ ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউট, 1997. দ্য লাস্ট ফ্রন্টিয়ার ফরেস্ট: ইকোসিস্টেম অ্যান্ড ইকোনমিকস অন দ্য এজ HIDDEN TEXT This section contains tooltips, titles and other text that are usually hidden in the body of the HTML page. This text should be translated to bring the entire page into your language. HTML ATTRIBUTES তাসমানিয়ার হেলার গিরিখাতের চিরহরিৎ বনকে গন্ডোয়ানা অবশেষ হিসেবে গণ্য করা হয়. বুলগেরিয়ার স্টারা পানিনায় মিশ্র পর্ণমোচী বন বুলগেরিয়ার স্টারা পানিনায় মিশ্র পর্ণমোচী বন ব্রাজিলের আমাজন চির হরিৎ অরণ্য ব্রাজিলের আমাজন চির হরিৎ অরণ্য মাদাসকারের ইফাতিতে কাঁটা বন, বিশেষত রয়েছে বিভিন্ন আদানসোনিয়া (বায়োবাব) প্রজাতি, আল্লুদিয়া প্রসেরা (মাদাগাসকার ওসোটিল্লো) এবং অন্যান্য গাছপালা রয়েছে. সমতল, ঘন ওল্ড গ্রোথ মানের বিচফল গাছ (ফাগাস সিলভাটিকা) তৈরি হয়েছে পুনর্বিকাশের জন্য তাদের চারা গাছের মাধ্যমে. নিচে সোনিয়ান ফরেস্টের ব্রাসেলস অংশে এর বর্ণনা রয়েছে. উত্তর-পূর্ব উরাল পর্বতের সারানপলের কাছে তৈগা বন, খান্তি-মান্সি অটোনোমাস ওকরুগ, রাশিয়া. পিচিয়া ওবাভাতা (দক্ষিণ পাড়ে প্রভাবশালী) সহ গাছপালা, লারিক্স সিবিরিকা এবং বেতুলা পেন্ডুলা. একটি উষ্ণতা পর্ণমোচী বড় পাতার গাছের বন, জার্মানির সোয়াবিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব কিরিচিয়াম আন্টারটেকের হ্যাসেনহোল পিচিয়া ওবাভাতা (দক্ষিণ পাড়ে প্রভাবশালী) সহ গাছপালা, লারিক্স সিবিরিকা এবং বেতুলা পেন্ডুলা. একটি উষ্ণতা পর্ণমোচী বড় পাতার গাছের বন, জার্মানির সোয়াবিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব কিরিচিয়াম আন্টারটেকের হ্যাসেনহোল ক্যালিফোর্নয়ার মেরিন কাউন্টির মুইর উডস ন্যাশনাল মনুমেন্টে প্রাচীন অরণ্যের লাল কাঠ. পলিনেশিয়ার ফাতু হিভা চির হরিৎ অরণ্য. উত্তর ওরিগনে উপকূলবর্তী ডগলাস দেবদারুজাতীয় গাছের বন ক্যালিফোর্নিয়ার রেডউড বনের লাল কাঠের গাছ, এখানে বহু লাল কাঠের গাছ কাঠ উৎপাদনের বদলে সংরক্ষণ ও দীর্ঘায়ুর জন্য বাঁচিয়ে রাখা হয়. স্লোভেনিয়ার একটি পর্ণমোচী (বীচ বা মসৃণ কাণ্ড ও পত্রবিশিষ্ট একজাতীয় লম্বা গাছ)বড় পাতার বন ওয়াশিংটনেরসান জুয়ান দ্বীপের এক বন উকেরমুন্ডের হেইদে (পুসজা ওয়াকারজাঁসকা), জার্মানি/পোল্যান্ড শীতের সময় উইসকনসিনের ম্যাপেল ও ওক (বড় পাতা, পর্ণমোচী) বন জাপানের ওসাকার বন ফ্রান্সের আলাস্কার বন ড্রাওনো জাতীয় উদ্যান, পোল্যান্ড পিনাস বাঁকসিয়ানা বন Piyali5998 (আলাপ) ১৩:২৪, ৬ জানুয়ারি ২০১১ (ইউটিসি)