বিষয়বস্তুতে চলুন

ব্যবহারকারী:Pilgrim5498/অ্যালুমিনিয়ামের ইতিহাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

অ্যালুমিনিয়ামের ইতিহাস[সম্পাদনা]

প্রকৃ্তিতে সোনা, রূপো ও প্লাটিনাম যেমন ধাতু হিসেবে পাওয়া যায়, সে রকম ভাবে অ্যালুমিনিয়াম পাওয়া যায় না, এবং আকরিক থেকে অ্যালুমিনিয়াম নিষ্কাশনের পদ্ধতিও খুব জটিল। এই জন্য মানব ইতিহাসের এক দীর্ঘ সময় অ্যালুমিনিয়াম ধাতু আমাদের কাছে অজানা থেকে গিয়েছে, যদিও কাপড় রঙ করার জন্য অ্যালুমিনিয়ামের এক যৌগ, ফিটকিরির (alum) ব্যবহার সেই খ্রীষ্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দী থেকে আমাদের জানা ছিল। মধ্যযুগে এই ব্যবহার এত ব্যাপক হয় যে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ফিটকিরি তখন এক মূল্যবান সামগ্রী হয়ে ওঠে। রেনেশাঁর বিজ্ঞানীরা ফিটকিরিকে এক নতুন ধরণের মৃত্তিকার লবণ বলে মনে করতেন। পরবর্তীকালে সপ্তদশ শতকে ও অষ্টাদশ শতকের প্রথম ভাগে যখন সমগ্র ইউরোপে এক নতুন চেতনার উন্মেষ হয়, যে সময়টাকে আমরা বলি নব চেতনার যুগ বা Age of enlightenment, সেই সময়ে নতুন মৃত্তিকাকে সনাক্ত করাও সম্ভব হয় - দেখা যায় এই নতুন মৃত্তিকাটি হল অ্যালুমিনা (alumina) এবং এটি হল এক নতুন অনাবিষ্কৃত ধাতু ও অক্সিজেনের মিলিত যৌগ বা অক্সাইড। ১৮১২ সালে ইংল্যান্ডের বিখ্যাত বিজ্ঞানী হাম্ফ্রি ডেভি (Humphry Davy) এই অনাবিষ্কৃত নতুন ধাতুর নাম দেন অ্যালুমিনিয়াম এবং ১৮২৫ সালে ডেনমার্কের পদার্থবিদ হান্স ক্রিশ্চিয়ান ওরস্টেড (Hans Christian Oersted) অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড লবণের সংগে সোডিয়াম ধাতুর বিক্রিয়া করে প্রথম এই ধাতুটিকে নিষ্কাশন করতে সক্ষম হন, কিন্তু তাঁর পদ্ধতি পুরোপুরি নিখুঁত ছিল না। কয়েক বছর পরে জার্মান রসায়নবিদ ফ্রেডেরিক ভোলার (Frederich Wohler) পদ্ধতিটিকে আরও নিখুঁত করে তোলেন।