ব্যবহারকারী:Mithunsaha7wiki/তপন ঘোষ

জন্ম এবং পরিচয়

পশ্চিম বাংলার বাস্তুহারা, প্রান্তিক এবং নির্যাতিত হিন্দুদের অবিংসবাদী নেতা ভারতের বীরপুত্র, শ্রী তপন কুমার ঘোষ , ১৯৫৩ সালের ১১ই,মে পশ্চিমবঙ্গর, মুর্শিদাবাদ জেলার দক্ষিনখন্ড গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা স্বর্গীয় শ্রী গঙ্গাধর ঘোষ, মাতা স্বর্গীয়া শ্রীমতি অনিমা ঘোষ।

• 
  তপন ঘোষ, ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে কলকাতায়, ভারত সভা হল।

শিক্ষা এবং সংগঠন জীবনের শুরু

তার সংগঠন জীবনের শুরু জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবকের প্রচারকের মাধ্যমে। মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকে তিনি এর সাথে যুক্ত হন, পড়াশুনোর পাশাপাশি সর্বক্ষণের রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবকের বিস্তারক হিসাবে বাংলা তথা ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিস্তারকের কাজে ঘুরে বেড়িয়েছেন। স্কুল জীবন শেষ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন, তখন থেকে "সারা ভারত বিদ্যার্থী পরিষদের" সাথে উনি যুক্ত হন এবং সম্মানের সাথে তার কাজ সম্পন্ন করেন।

হিন্দু সংহতি স্থাপনা

এরপরে বাংলায় বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে বাস্তুচ্যুত, গরীব ,অসহায়, নির্যাতিত প্রান্তিক হিন্দু জনগনের হয়ে সামাজিক কাজ শুরু করেন, কিন্তু একটা সময় পরে ওনার মনে হয়েছিল আরো স্বাধীন ভাবে কাজ করতে ওনার একটি নিজের সংগঠন দরকার। তাই ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ওনার নেতৃত্বে জন্ম নিল "হিন্দু সংহতি"। ওনার নিষ্ঠা, সততা এবং বাগ্মিতার জোরে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মানুষের মধ্যে আশা জাগাল "হিন্দু সংহতি"। কাজের মধ্যে ডুবে থাকায় তিনি বিবাহ করেননি, নিজেকে ভারতবাসীর জন্য উৎস্বর্গ করে দিয়েছিলেন অকৃতদার এই মানুষটি। বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং অসাধু মানুষের বাধা সত্বেও হিন্দু সংহতি তার নেতৃত্বে কাজ করে গেছিল। এর জন্য তিনি মিথ্যে অপবাদে কারাবরণ পর্যন্ত করতে হয়েছিলেন, যদিও আদালতে তার মুক্তি মেলে।

দেশ বিদেশ থেকে আমন্ত্রণ

উনি নিজে প্রচারের আলোয় থাকতে পছন্দ না করলেও বিভিন্ন সময়, দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন সময়ে ওনাকে বক্তৃতার জন্য আমন্ত্রণ জানাত। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের 'কমিটি রুমে' বক্তৃতা রাখেন ব্রিটিশ এম.পি. বব ব্লাকম্যানের ডাকে , পরবর্তী সময়ে ইস্রাইল এবং বেশ কয়েকবার আমেরিকা যান এবং পাবলিক এবং সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন।

মৃত্য

২০২০ সালে পৃথিবী ব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাসের আক্রমনের স্বীকার হন তপন বাবু, নিজের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা না করে মানুষের সাহায্য করার জন্য এদিক ওদিক ঘুরতে থাকেন এবং যথারীতি করোনায় আক্তান্ত হন, প্রায় ১৫ দিন কলকাতা মেডিকা নার্সিংহোমে চিকিৎসা চলার পরে ১২ই জুলাই, ২০২০ পরলোক গমন করেন।

বক্তব্য

"মাটি কারও বাপের নয়, দাপের হয়।"

"উঠতি সূর্য কে নমস্কার করো ডুবন্ত সূর্যকে নয়, আর যৌবনকে স্বীকৃতি দাও ও সম্মান করো সাদা মাথাকে নয়।"

মৃত্যুর আগে ওনার অনুগামী এবং ভালোবাসার মানুষদের প্রতি জন্য ওনার শেষ বক্তব্য ছিল- "মেডিকা হাসপাতালের ডাক্তার এবং নার্সরা প্রচুর চেষ্টা করেছেন, কিন্তু মনে হচ্ছে ঠাকুরের ইচ্ছা, মা কালীর ইচ্ছা অন্যরকম।তাই, আমি এখন স্বামী বিবেকানন্দ, ডাক্তারজী (হেডগেওয়ারজী), গুরুজী(গোলওয়ালকরজী),কে এন গোবিন্দচারিয়াজী এবং আমার মা ও বাবার আশীর্বাদ নিয়ে পৃথিবীর থেকে বিদায় নিতে চাই। কোন মৃত্যু ভয় নেই, বার বার আসব এই ভারত মায়ের কোলে ফিরে। ভারত মাতা কি জয়।"