ব্যবহারকারী:Mayeenul Islam/তথ্যাগার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এই পাতাটি তথ্যকে সাময়িক সংরক্ষণ করার জন্য তৈরি। অন্যত্র স্থানান্তরিত হলেই পাতাটি খালি করা হবে:

১৭৩ দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ পঞ্চম[সম্পাদনা]

নিউজ লিংক
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এখনও তিমিরে

মিথুন মাহফুজ, অক্টোবর ১৪, ২০১২

প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ ১৭৩ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। ইউনাইটেড নেশনস ইউনিভার্সিটি ও দ্য নেচার কনজারভেন্সির যৌথ উদ্যোগে গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। জলবায়ু পরিবর্তনই এর জন্য দায়ী বলে মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের। উন্নত দেশগুলোর কাছে এ জন্য ক্ষতিপূরণও দাবি করেছে সরকার। মিলেছে কোটি কোটি টাকাও। নেওয়া হয়েছে নানা প্রকল্প। কিন্তু দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতিতে এখনও বড় ধরনের গলদ রয়ে গেছে, সম্প্রতি আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী উপকূলীয় জেলাগুলোর বেহাল চিত্র সে কথাই জানান দিচ্ছে। এত উদ্যোগ-আয়োজনের পরও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এখনও সেই তিমিরে!

বিস্ময়কর হল, এক দশক ধরে বাংলাদেশ দুর্যোগ ঝুঁকিতে থাকলেও ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন’ পাশ হয়েছে সংসদের গত অধিবেশনে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির অন্যতম সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি গতকাল আমাদের সময়কে বলেছেন, এমন একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন পাস হতে এত সময় কেন লাগল জানি না। এ আইন অনেক আগেই পাস হওয়া উচিত ছিল।

তিনি বলেন, আইনটি না থাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কেউই জবাবদিহিতার আওতায় ছিলেন না। সরকারি কর্মকর্তারা কর্তব্য পালনে অবহেলা করতেন।

জানা গেছে, আন্তর্জাতিক জলবায়ু সংলাপে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এরই মধ্যে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড, অ্যাডাপ্টেশন ফান্ড বোর্ড, সিডিএম এক্সিকিউটিভ বোর্ড, কমপ্লায়েন্স কমিটি ও কনসালটেটিভ গ্রুপ অব এক্সপার্টসের সদস্যপদ লাভ করেছে।

ইয়ুথ ইন অ্যাকশন অন ক্লাইমেটের (ওয়াইএসি) সমন্বয়কারী শরিফুজ্জামান শরিফ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আমরা সভা-সেমিনার, প্রকল্প প্রণয়ন নিয়েই আছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। গত ২০ সেপ্টেম্বর ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ডের অধীনে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টি বোর্ড। এসব প্রকল্পের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির তেমন কোনও সম্পর্ক নেই। অথচ একেবারে সাগরপাড়ের মানুষ যারা, তারা এখনও আবহাওয়ার সতর্কতা সংকেত পান না। তাদের স্বার্থে কমিউনিটি রেডিও চালু হলেও এর ফ্রিকোয়েন্সি সাগরপাড় অবধি পৌঁছে না।

ওয়াইএসির সমন্বয়কারী শরিফুজ্জামান শরিফ এ প্রসঙ্গে বলেন, ক্লাইমেট চেঞ্জের নামে আনা টাকা হরিলুট হচ্ছে। গত বছর বুড়িগঙ্গার তলদেশের ময়লা পরিষ্কারে ১৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে এ ফান্ড থেকে। অথচ এর সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের কোনও সম্পর্ক নেই। পাবনার সুজানগরে এ ফান্ডের টাকা থেকে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। অথচ ওই অঞ্চল এ ধরনের ঝুঁকিতে নেই। প্রকৃত ঝুঁকিতে থাকা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

এ মুহূর্তে করণীয় কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে ক্লাইমেট চেঞ্জের নামে আনা টাকা সদ্ব্যবহার করতে হবে। একই সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা প্রাকিশল্পায়ন যুগের চেয়ে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বাড়তে দেওয়া যাবে না। ক্ষতিকর গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ ৩৫০ পিপিএমের (পার্টস পার মিলিয়ন) নিচে নামিয়ে আনতে হবে। ২০১৫ সালের পর কোনোভাবেই গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ বাড়তে দেওয়া চলবে না। তিনি উল্লেখ করেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এনেক্স-১ দেশগুলোকে এ মুহূর্তে বছরে কমপক্ষে ২০০ বিলিয়ন ডলার দিতে হবে।