ব্যবহারকারী:Mamundu/খেলাঘর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশ[সম্পাদনা]

ইয়ং এ্যাথলেট প্রোগ্রাম ( আই. কে. ই. এ)[সম্পাদনা]

[১]স্পেশাল অলিম্পিকস ইয়াং অ্যাথলেটস শিশুদের জন্য এমন একটি ক্রীড়া ও খেলা বিষয়ক কার্যক্রম যা ২ থেকে ৭ বছর বয়সী যে কেউ এমনকি বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতার শিকার বিশেষ শিশুরাও খেলতে পারে । [২]ইয়াং অ্যাথলেটস কার্যক্রমে সাধারণ ক্রীড়া দক্ষতা যেমন দৌড়ানো , লাথি দেওয়া, নিক্ষেপ করা এসব শেখানো হয় । এই কার্যক্রম পরিবার , শিক্ষক, সেবাদানকারী, কাছের মানুষ ও সমাজের সবাইকে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলার আনন্দ ভাগাভাগি করার সুযোগ দেয়। সব ধরনের সক্ষমতা শিশু এতে অংশ নেয় এবং উপকৃত হয় । শিশুরা শেখে কীভাবে সবার সঙ্গে খেলতে হয় এবং শেখার জন্য দরকারি দক্ষতাগুলোর বিকাশ ঘটায় ।  এছাড়া শিশুরা ভাগাভাগি করতে শেখে , ঘুরতে শেখে এবং নির্দেশনা অনুসরণ করতে শেখে । এসব দক্ষতা পরিবার , সমাজ ও স্কুলের কার্যক্রমে শিশুদের সাহায্য করে। ইয়াং অ্যাথলেটস শিশুদের সুস্থ রাখার একটি আনন্দদায়ী কার্যক্রম । শৈশব থেকেই শিশুদের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি । এগুলো শিশুদের শারীরিক কসরত, বন্ধুত্ব ও শিক্ষা গ্রহণে সারাজীবন কাজে লাগে । ইয়াং অ্যাথলেটস কার্যক্রমটি সহজ ও সবার জন্য মজার । এটা ঘরে, স্কুলে কিংবা মহল্লায় হতে পারে। কিছু সাধারণ সামগ্রী থাকলে ইয়াং অ্যাথলেটস কার্যক্রম গাইড মেনে এটি যে কোনও জায়গায় পরিচালনা করা সম্ভব । ইয়াং অ্যাথলেটসের মাধ্যমে সব শিশু, তাদের পরিবার ও মহল্লার মানুষ যেন একটি দলের অংশ হয়ে ওঠে

বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর শতকরা ২ জন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী । সেই হিসাবে প্রায় ৩২ লক্ষ মানুষকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হিসেবে গণ্য করা যায় ।এই বিশাল জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে এবং পুনর্বাসনে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন । ক্রীড়া কার্যক্রমের মাধ্যমে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি সম্মানজনক অবস্থা তৈরির লক্ষ্যে স্পেশাল অলিম্পিকস[৩] নামে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা ১৯৬৮ সনে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ১৯৯৪ সনে স্পেশাল অলিম্পিকস[৪] বাংলাদেশ[৫][১] নামে এই কার্যক্রম শুরু হয় । বিগত দিনে ৯ বৎসর ও তদুর্ধ্ব শিশু ও বালক - বালিকাদের ক্রীড়া প্রশিক্ষণ , অনুশীলন ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে । জন্মের ২ বৎসরের মধ্যে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীতা সনাক্ত হয়ে যায় । তাই ২ বৎসর থেকে ৭ বৎসর পর্যন্ত এই শিশুদের ক্রীড়া কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে শারীরিক যোগ্যতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন । স্পেশাল অলিম্পিকস[৬] তাই অনুর্ধ্ব ৭ বৎসরের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য ইয়াং এ্যাথলেট প্রোগ্রাম[৭] নামে একটি ইভেন্ট স্পেশাল অলিম্পিকসের[৮] কার্যক্রমে যুক্ত করেছে ।

”আমার সন্তান জন্মের সময় যখন আমি বুঝতে পারি সে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী , তখন আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। তবে ইয়াং অ্যাথলেটসে দেওয়ার পর আমি দেখি সে চলাফেরা করছে, হাসছে , অন্যদের সঙ্গে মিশছে , আমার স্কার্ট আকড়েঁ ধরে থাকছে না । এটা দেখে আনন্দে আমার চোখে জল এসে যায় । আমার আবার বিশ্বস জন্মে একদিন সেও স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারবে । আমি এখন স্বপ্ন দেখার সাহস পাই এবং পরিকল্পনা করি যখন সে বড় হবে তখন তার সঙ্গে আমি বেসবল খেলবো ”

                                                                                                   --------------------- মিসাই, [৯]জাপান

ইয়াং অ্যাথলেটস শিশু ও তাদের পরিবারকে স্পেশাল অলিম্পিকসের ভুবনে স্বাগত জানায় । এই কার্যক্রমের কয়েকটি লক্ষ্য রয়েছে ।

১. স্বাভাবিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুরা একসঙ্গে খেলবে এবং পরস্পরকে জানবে ও বুঝবে ।

২. সমাজের অংশ হিসেবে সবাই যেন স্কুল , মহল্লা ও বাসায় একসঙ্গে খেলতে পারে তার ব্যবস্থা করা ।

৩. দক্ষতা ও যোগ্যতার ধাপ অনুযায়ী শিশুদের কাজ ও খেলা শেখানো ।

৪. স্পেশাল অলিম্পিক কীভাবে পরিবারকে সহায়তা করতে পারে সেটি সবাইকে বোঝানো ।

৫. দেখানো যে সব শিশুদের তাদের প্রতিভা ও দক্ষতা অনুযায়ী মূল্যায়ন করা উচিত ।

৬. সুস্বাস্থ্যের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া  এবং কীভাবে সক্রিয় থাকা যায় , স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া যায় ও বিশুদ্ধ পানি পান করা যায় সে বিষয়ে শিশুদের শিক্ষা দেওয়া ।

[১০]স্পেশাল অলিম্পিকস ইয়ং অ্যাথলেটস এর মাধ্যমে সবাই উপকৃত হয় ।

ইয়ং এ্যাথলেটের মডেল :[সম্পাদনা]

থাম্ব|ইয়ং এ্যাথলেট প্রোগ্রাম |200x200পিক্সেলইয়ং এ্যাথলেট প্রোগ্রাম মূলত ৩ টি মডেলে হয়ে থাকে । যেমন:

  • স্কুল মডেল
  • হোম মডেল
  • কমিউনিটি মডেল
১. স্কুল মডেল :[২][সম্পাদনা]
স্কুল মডেল ইয়াং অ্যাথলেট প্রোগ্রাম

বাংলাদেশে প্রায় ৪০০ স্কুলে এই ইয়ং এ্যাথলেট প্রোগ্রাম পরিচালিত হচ্ছে । সব স্কুলগুলোকে ১ সেট করে খেলনা ব্যাগ দেয়া হয়েছে । বাচ্চারা এই খেলনা দিয়ে খুবই আনন্দের সাথে বিভিন্ন মজার মজার ইভেন্ট খেলছে আর মানসিক ও শারীরিকভাবে যোগ্য হয়ে উঠছে । স্কুলের টিচাররা ,মা ,বাবা, সবাই মিলে মিশে এই খেলায় অংশগ্রহণ করছে বলে খেলাটা খুবই মজার করে তুলছে বাচ্চাদের নিকট ।স্কুলের প্রশিক্ষকদের নেতৃত্বে এই কার্যক্রম চলবে । স্কুলের সময়ই এটি পরিচালনা করা হয় । সপ্তাহে ১ দিন হলেও এটি চলবে । সবচেয়ে ভাল হয় ৩ দিন পরিচালনা করলে । এটা প্রাক প্রাথমিক পর্যায়ের পাঠ্যক্রমেও থাকতে পারে ।

২. হোম মডেল :[সম্পাদনা]
হোম মডেল ইয়াং অ্যাথলেট প্রোগ্রাম

এই মডেলে বাচ্চারা মা, বাবা, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে গেমটি খেলে থাকে । ফলে তাদের মানসিক ও শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি পায় । এভাবে প্রাকটিস করতে করতে সে হয়ে ওঠে একজন আদর্শ এ্যাথলেট । তাই হোম মডেলের গুরুত্ব ইয়ং এ্যাথলেটের প্রোগ্রামে অপরিহার্য ।বাবা- মা , ভাই- বোন  ও বন্ধুরা বাড়িতে একসঙ্গে খেলতে পারে । এই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এই মডেল খুবই ভাল । পারিবারিক কর্মসূচির বাড়ির ভেতরে সপ্তাহে অন্তত তিনদিন পরিচালনা করা যেতে পারে । এই কার্যক্রম একজন – একজন কিংবা ছোট  গ্রুপেও করা যেতে পারে ।

৩. কমিউনিটি মডেল :[সম্পাদনা]
কমিউনিটি মডেল ইয়াং অ্যাথলেট প্রোগ্রাম

এই মডেলে এলাকার সবাই অংশগ্রহণ করে । প্রতিবেশীরা খুবই সাহায্য করে এই প্রোগ্রামে বিশেষ করে মহিলারা খুবই সাহায্য করে কমিউনিটি বেসড প্রোগ্রাম গুলোতে ।কমিউনিটি বা সমাজ : ইয়াং অ্যাথলেটস কোচ ও সেচ্ছাসেবকদের নেতৃত্বে  এই কার্যক্রম পরিচালনা হবে । এতে করে অভিভাবক , ভাইবোন ও বন্ধুরা সবাই একত্রিত হওয়ার সুযোগ পায় । এটি কোন স্পোর্টস ক্লাব , বিনোদোন কেন্দ্রতেও হতে পারে । প্রতি সপ্তাহে একবার এমন কার্যক্রম চলতে পারে । বাকি দুইদিন বাসাতেই অনুশীলন করতে পারে শিশুরা

মোটর দক্ষতা :[৩][সম্পাদনা]

বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিছু শিশু ইয়াং অ্যাথলেটস এর আট সপ্তাহের পাঠ্যক্রমে অংশ নিয়েছিল । এতে দেখা যায় , মোটর দক্ষতায় তাদের সাত মাসের উন্নতি হয়েছিল । আর যারা এই কার্যক্রমে অংশ নেয়নি তুলনা করে দেখা গেছে , মোটর দক্ষতায় তাদের উন্নতি হয়েছিল তিন মাস ।

সামাজিক , আবেগগত ও শিখন দক্ষতা:

যেসব বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশু  ইয়াং অ্যাথলেটস এর কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিল তাদের ববা – মা ও শিক্ষকরা বলেছেন, শিশুরা এখানে যে দক্ষতাগুলো অর্জন করেছে সেগুলো তাদের প্রাক – প্রাথমিক বিদ্যালয় কাজে লাগবে । এই কার্যক্রমে শিশুরা ছিল বেশ  আগ্রহী ও আত্মবিশ্বাসী । তারা অন্য শিশুদের সঙ্গে ভালো খেলা[৪] করেছে ।

প্রত্যাশা :[সম্পাদনা]

পরিবারের সদস্যরা জানান , ইয়াং অ্যাথলেটস কার্যক্রম সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের আশা জুগিয়েছে ।

খেলাধুলার প্রস্তুতি : ইয়াং অ্যাথলেটস শিশুদের দরকারি নড়াচড়া করতে ও ক্রীড়া দক্ষতা তৈরিতে সাহায্য করে । এসব দক্ষতা বড় হওয়ার সঙ্গে তাদের আরও বেশি করে খেলাধুলা করতে সাহায্য করবে ।

গ্রহণযোগ্যতা:[সম্পাদনা]

বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছাড়াও সব শিশুদের জন্য দলীয় খেলাধুলা[৫] মঙ্গলজনক ।এতে করে তাদের বোঝাপোড়া ভালো হয় ও গ্রহণ করার মানসিকতা তৈরি হয় ।

মৌলিক দক্ষতা :[৬][সম্পাদনা]

মৌলিক বিষয়গুলোতে শিশুরা নিজেদের ও চারপাশের সম্পর্ক নিয়ে অবগত হয় । তারা নিজেদের ও চারপাশের সম্পর্ক নিয়ে অবগত হয় । তারা নিজেদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা নিয়েও সচেতন হয়। শরীরের প্রতি সচেতনতা , শক্তি, নমনীয়তা, সমন্বয় ও সহনশীলতা সামাজিক জীবনে খুবই প্রয়োজন । মৌলিক বিষয়গুলো এই গুণই শিশুদের মধ্যে গড়ে তোল । বাড়ি , স্কুল ও সমাজের জন্য এটি খুবই প্রয়োজন ।

রুমাল খেলা :[সম্পাদনা]

এই খেলায় শিশুদের মাথা ও চোখের সামনে রুমাল ঘোরাতে হবে এবং তাদের রুমালটির দিকে নজর দিতে বলতে হবে । হঠাৎ এই রুমালটি ফেলে দিতে হবে এবং তাদের বলতে হবে রুমালটি ধরো । সে তার হাত, মাথাম পা বা শরীরের যে কোন অংশ দিয়ে রুমালটি ধরতে পারবে

দলগত খেলা :[সম্পাদনা]

ইয়ং এ্যাথলেট প্রোগ্রামের নমুনা

শিশুরা একে অপরের দিকে রুমাল ছুড়ে মেরে খেলাটি খেলতে পারে । সেক্ষেত্রে একজন অপরজনের ছুড়ে মারা রুমালটি ধরবে । একসময় সংখ্যা , রং, কিংবা প্রাণীর নাম শিখিয়ে খেলাটি পরিচালনা করা যায়

স্বাস্থ্যকর খেলা :[৭][সম্পাদনা]

যতবার রুমাল অন্যকে ছুড়ে মারবে ততবার একটি ফল বা সবজির নাম বলার জন্য শিশুদের উৎসাহিত করা যেতে পারে ।

আই স্পাই :[সম্পাদনা]

শিশদের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা  বাড়ানোর জন্য এই খেলার আয়োজন করা হয় । তাদের বলা হয় চারপাশে ভালো করে খেয়াল করতে । এরপর কোন নির্দিষ্ট বস্তুর নাম বলা এবং শিশুরা সেটা নিয়ে আসে । আস্তে আস্তে খেলার সঙ্গে রঙ ও আকৃতির ব্যাপারও যুক্ত করা হয় । কখনও কখনও স্বাস্থ্যসম্মত বস্তু নিয়ে এটি খেলা হয়।

সুড়ঙ্গ ও সেতু :[সম্পাদনা]

বড় ও শিশুরা মাটিতে হাত দিয়ে চাপ দিয়ে পিঠ উঁচু করে সুড়ঙ্গ তৈরি করবে । অন্য শিশুরা এর ভিতর দিয়ে যাবে । হাত ও হাটু দিয়ে সেতুও তৈরি করতে পারে বড়রা । শিশুরা সেই সেতুতে ওঠার চেষ্টা করবে ।

অ্যানিমেল গেমস :[সম্পাদনা]

এই খেলাই শিশুদের বিভিন্ন প্রাণীর মতো হাঁটতে বা অঙ্গভঙ্গি করতে বলতে হবে ।

ব্যাঙের মত :[সম্পাদনা]

ব্যাঙ লাফ

ব্যাঙ যেভাবে লাফিয়ে চলে সেভাবে লাফাতে হবে বাচ্চাদের । এই খেলার মাধ্যমে শিশুরা বাথরুমে বসতে পারবে কারো সাহায্য ছাড়াই , অর্থাৎ নিজে নিজেই বাথরুম করতে পারবে । তাই এই গেমস খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে বাচ্চাদের জন্য ।

ভাল্লুকের মতো:[সম্পাদনা]

শিশুরা পা ও হাতের ওপর ভর করে মাটিতে ভাল্লুকের মতো হাটবে । খেয়াল রাখতে হবে যেন হাটু মাটিতে না লাগে । আরও মজার জন্য ভাল্লুকের মতো ডাকতেও পারে ।

কাঁকড়ার মতো :[সম্পাদনা]

শিশুরা হাটু ভেঙ্গে মাটিতে বসে থাকবে । তারপর হালকা করে শরীর পেছনের দিকে হেলে হাতের ওপর ভর করে পিঠ ও কোমর ওপরে তুলবে । ধীরে ধীরে এভাবে চারপাশে চলতে থাকবে ।


শেষ কথা[সম্পাদনা]

২/৩ বয়সেই শিশুদের বুদ্ধি প্রতিবন্ধীতা চিহ্নিত হওয়ার পর পরই তাদেরকে ইয়ং এ্যাথলেট প্রোগ্রামের [১১]অধীনে এনে তাদের শারীরিক যোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য কিছু আনন্দদায়ক খেলার ছলে শেখাটাই হচ্ছে ইয়ং এ্যাথলেট প্রোগ্রাম । অভিভাবক , স্কুলের শিক্ষক, ভলান্টিয়ার ও ক্রীড়া প্রশিক্ষক সকলেই এই শিশুদের নিয়ে ইয়ং এ্যাথলেট প্রোগ্রাম করতে পারেন । ঘরে , বারান্দায়,উঠানে,মাঠে, স্কুলের যে কোন স্থানে ইয়ং এ্যাথলেট প্রোগ্রাম ইভেন্টটি করা যেতে পারে । স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশ[৮][১২] ২০১৬ সনে ২০০০ এবং ২০১৭ সনে ১০০০০(দশ হাজার) শিশুকে ইয়ং এ্যাথলেট প্রোগ্রামে[১৩] সম্পৃক্ত করেছে । ২০১৮ সনেও ১০০০০ শিশুকে ইয়ং এ্যাথলেট প্রোগ্রামে[১৪] সংযুক্ত করা হচ্ছে । ২/৩ বৎসর পর পরই এই শিশুদের মধ্য থেকেই শারীরিক যোগ্যতা সম্পন্ন এ্যাথলেট নির্বাচন করে তাদেরকে বিভিন্ন ক্রীড়ায় প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। স্কুলে, সংস্থায়, কমিউনিটিতে এবং পরিবারে স্পেশাল অলিম্পিকস[১৫] এর ইয়ং এ্যাথলেট প্রোগ্রামের[১৬] কার্যক্রমকে সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য নিম্নে বর্ণিত নীতিমালা অনুসরণ করা হবে ঃ

১। প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ২ দিন ১৫ জন ছাত্র / ছাত্রী / শিশুকে নিয়ে (অনুর্ধ্ব ৭ বৎসর) ইয়ং এ্যাথলেট প্রোগ্রাম চালাতে হবে।

২। ইয়ং এ্যাথলেট প্রোগ্রাম পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ট্রেইনার / শিক্ষককে দায়িত্ব দিতে হবে এবং তিনি প্রতি সপ্তাহে ইয়ং এ্যাথলেট প্রোগ্রাম[১৭] চালাবেন ও প্রতি মাসে স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশ[৯][১৮] এর অফিসে ইয়ং এ্যাথলেট প্রোগ্রামে[১৯] অংশগ্রহণকারীদের ছবিসহ রেজিষ্ট্রেশন ফর্ম জমা দিবেন । একজন ট্রেইনার কমপক্ষে ১০০ জন ইয়ং এ্যাথলেটকে ইয়ং এ্যাথলেট প্রোগ্রামে[২০] অন্তর্ভুক্ত করবেন ।

৩। দায়িত্বপ্রাপ্ত ইয়ং এ্যাথলেট ট্রেইনার স্কুল/সংস্থা/ কমিউনিটি/ পরিবারের সহযোগিতায় প্রতিমাসে ইয়ং এ্যাথলেটদের ছোট খাট শারীরিক যোগ্যতা যাচাই এর জন্য ১ টি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করবেন ।

৪। সমাজে ইয়ং এ্যাথলেট প্রোগ্রাম সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনে স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশ[২১] কর্তৃক বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত সেমিনার ওয়ার্কশপ আয়োজন করা হবে । এতে শিক্ষক , প্রশিক্ষক, ভলান্টিয়ার ও পরিবারের সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন ।

আমাদের প্রত্যাশা স্কুল / সংস্থা/ কমিউনিটি / ভলান্টিয়ার / পরিবারের সক্রিয় অংশগ্রহণে ও সহযোগিতায় বাংলাদেশের ইয়ং এ্যাথলেট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী ছাত্র/ ছাত্রী / শিশুদের যোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে এবং ভবিষ্যতে তারা এ্যাথলেট হিসাবে স্পেশাল অলিম্পিকস[২২] এর ক্রীড়া কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা অর্জন করবে ।

ইয়ং এ্যাথলেট প্রোগ্রাম সম্পর্কিত তথ্যাদির জন্য স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশের[২৩] নিম্ন বর্ণিত ঠিকানায় যোগাযোগ করা যেতে পারে ঃ

স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশ[২৪]

বাড়ি নং- ৩২, রোড - ৯/ডি, সেক্টর-৫,উত্তরা, ঢাকা

ইমেইল: ‍sobangla@gmail.com/ sobd.ya@gmail.com

রেফারেন্স :[সম্পাদনা]

http://www.specialolympicsbd.com/

https://www.specialolympics.org/programs/asia-pacific/bangladesh

https://resources.specialolympics.org/Stories/Asia_Pacific/Programs/Bangladesh_Stories.aspx

  1. "Bangladesh emerge unbeaten champion in Special Olympics Mena Games"Dhaka tribune 
  2. After School Games & Activities Integrating STEM। CreateSpace Independent Publishing Platform। আইএসবিএন 978-1482327083 
  3. Early Childhood Motor Skills Games & Activities (English ভাষায়)। CreateSpace Independent Publishing Platform;। ২০১৩। পৃষ্ঠা 106 pages। আইএসবিএন 1482317184 
  4. Early Childhood Movement Games & Activities (English ভাষায়)। CreateSpace Independent Publishing Platform;। ২০১৩। আইএসবিএন 1482316439 
  5. Simplexity Simple to Complex Adapted Physical Education Book। CreateSpace Independent Publishing Platform। ২০১২। আইএসবিএন 1475016999 
  6. FUNdamental Games & Activities Book। CreateSpace Independent Publishing Platform। আইএসবিএন 978-1466388031 
  7. K-5 Health & Nutrition Games & Activities। CreateSpace Independent Publishing Platform। আইএসবিএন 1482320134 
  8. "Bangladesh won 54 medals in Special Olympic"banglanews24.com 
  9. "Bashundhara Group stands by Special Olympics Bangladesh"Daily sun