ব্যবহারকারী:JS Alam/নতুন নিবন্ধ শুরুকরণ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

একাত্তরের মুক্তাঞ্চল: তেঁতুলিয়া[সম্পাদনা]

মুক্তাঞ্চল হলো সে অঞ্চল যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর নিয়ন্ত্রনের বাইরে ছিল। বাংলাদেশের চারটি সীমান্তবর্তী উপজেলা মুক্তিযুদ্ধকালে মুক্তাঞ্চল হিসেবে পরিচিত ছিল। এর একটি হলো পঞ্চগড় জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের উপজেলা “তেঁতুলিয়া” । মোট ৭৪ বর্গমাইল আয়তনের এই থানা এলাকার পুরোটাই ছিল পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত। এখান থেকে উত্তরাঞ্চলে মুক্তুদ্ধের সার্বিক কর্মকাণ্ড পরিচালনাসহ রিক্রুটিং, প্রশিক্ষণ, অস্ত্রের জোগান দেয়া হতো।

তেঁতলিয়ার অবস্থান[সম্পাদনা]

পঞ্চগড় জেলায়

সাবসেক্টর হেডকোয়াটার[সম্পাদনা]

৬ নম্বর সেক্টরের অধীন ৬/ক সাব-সেক্টরের হেডকোয়ার্টার হিসেবে তেঁতুলিয়ায় কার্যক্রম চলত।  মুক্তিযুদ্ধের সময় এখানে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ.এইচ.এম কামরুজ্জামানকর্নেল ওসমানী এসেছেন। যুদ্ধের প্রস্তুতি এবং মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজখবর নিয়েছেন। সেক্টর কমান্ডার এম কে বাশার, সাব-সেক্টর কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার সদরুদ্দীন, ক্যাপ্টেন নজরুল হক, ক্যাপ্টেন শাহরিয়ার, লে. মাসুদ ও লে. মতিন তেঁতুলিয়া থেকেই যুদ্ধ পরিচালনা করতেন।

স্বাধীন দেশের মত[সম্পাদনা]

পূর্ব পাকিস্তানের সার্কেল অফিসার (উন্নয়ন) মতিউর রহমান মুজিবনগর সরকারের আনুগত্য ও হলফনামা প্রদান করেন। মুজিবনগর সরকার এর অধীনে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হেসেবে কাজ করেন। মুক্তাঞ্চলের থানা তেঁতুলিয়া বিদেশি সংবাদমাধ্যমের ব্যাপক দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ফলে বিপুলসংখ্যক বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী তেঁতুলিয়ায় এসে ফ্রন্টে গিয়ে সরাসরি মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং এখানে শংকাহীনভাবে মুক্তিযুদ্ধের খবর সংগ্রহন করেন। তারা শরণার্থী ও মুক্তাঞ্চলের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। মার্ক টালিউইলিয়াম ক্রলি র মতো বিখ্যাত সাংবাদিকেরা এখানে আসেন। তারা তেঁতুলিয়ার আওয়ামী লীগের নেতা আবদুল জব্বারের সঙ্গে কয়েক দিন ধরে ঘুরে ঘুরে দেখেন তেঁতুলিয়ার নিকটে ভজনপুর এলাকার যুদ্ধক্ষেত্র। === স্বাভাবিক জীবন যাপন যুদ্ধের সময় এখানকার জীভনযাত্রা অনেকটাই স্বাভাবিক ছিলো। এখানকার লোকজন ক্ষেত খামারে কাজ করতেন নির্বিঘ্নে। মূলত তিন দিক দিয়ে ভারত দ্বারা বেস্টিত হওয়া এবং এখানকার চাওয়াই নদীর ব্রিজ ধ্বংস করে দেয়ার কারণে পাকিস্তানি বাহিনী এর ভেতরে প্রবেশ করার সাহস দেখায়নি।

মুক্তিযুদ্ধের সময় এখান থেকে এমদাদুল হকের সম্পাদনায় প্রকাশিত হতো সাপ্তাহিক সংগ্রামী বাংলা নামের একটি পত্রিকা। এই পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধের নানা খবর থাকতো। থাকতো মুক্তিযোদ্ধাদের সফল অপারেশন এর গল্প সেগুলো পড়ে আবার অন্য মুক্তিযোদ্ধারা অনুপ্রানীত হতেন।

তেঁতুলিয়া থানার পাশে একটি লম্বা টিনের ঘরে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য স্থাপন করা হয় ফিল্ড হাসপাতাল। পঞ্চগড় থানা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও তেঁতুলিয়া থানার দাতব্য হাসপাতালের সীমিত সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে ১০টি শয্যা চালু করা হয়। পঞ্চগড় থানা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জিপ গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহূত হতো। পঞ্চগড় চিনিকলের চিকিৎসক আতিয়ার রহমানের তত্ত্বাবধানে এখানে সেবিকা হিসেবে রোকেয়া, সালমা, সহকারী তফিজ, চালক ইউনুস ও টেকনিশিয়ান সেলিম রেজা কাজ করতেন। একসময় এই হাসপাতালে যোগ দেন ইন্টার্নি ডা. হাসিনা বানুডা. শামসুদ্দিন দম্পতি

http://www.banglanews24.com/national/news/bd/19049.details