বিষয়বস্তুতে চলুন

ব্যবহারকারী:Dr. Rehan Dastagir

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ক্যাপ্টেন এ.জি. মোহাম্মদ খুরশীদ[সম্পাদনা]

ক্যাপ্টেন খুরশীদ তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান নৌবাহিনীর একজন অফিসার হিসেবে কর্মরত অবস্থায় আর্থসামাজিক বৈষম্য ও অবিচারের হতে দেশ মাতৃকার মুক্তির লক্ষ্যে ষাটের দশক থেকে নৌবাহিনীর সদস্যদের সাথে গোপনে মতবিনিময় শুরু করেন এবং নিজের জীবনকে নিবেদন করেন। তিনি আগরতলা মামলার ১৮ নং অভিযুক্ত হিসেবে তৎকালীন নৌবাহিনীর সদস্যদের সংগঠিত হতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। উল্লেখ্য যে, ঐতিহাসিক আগরতলা মামলার প্রধান অভিযুক্ত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য ৩৪ জন সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীর অভিযুক্তদের জেল থেকে মুক্তি কেন্দ্রিক আন্দোলনই স্বাধীনতা সংগ্রামের পথিকৃৎ ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি করে। ক্যাপ্টেন খুরশীদ, আগরতলা মামলার অন্যতম সংগঠক লে: কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে দীর্ঘ এক দশক কাজ করেন এবং সংগঠনের সামরিক ও রাজনৈতিক সমন্বয় রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।

‘৭১এর ২৫শে মার্চের পর ক্যাপ্টেন খুরশীদ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে আসা সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর সৈনিক, শ্রমিক ও কৃষকদের সংগঠিত করতে থাকেন। এ সময় তিনি ক্যাম্প কমান্ডারের দায়িত্ব গ্রহণ করে নৌবাহিনীর একটি কমান্ডো ইউনিট গঠন করেন। ১৯৭১ সালের ৭ই জুলাই প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণা জেলার বশিরহাটে নবম সেক্টর হেডকোয়ার্টার টাকিতে সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিলের আওতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি কমান্ডো ইউনিট “বঙ্গবন্ধু স্কোয়াড্রন বা নৌবহর” গঠিত হয়। তদানন্তিন মাননীয় স্বরাষ্ট্র, ত্রান ও পুনর্বাসনমন্ত্রী এ, এইচ, এম, কামারুজ্জামান এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্যবৃন্দ, মিত্রবাহিনীর অফিসার, কূটনীতিকবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। ক্যাপ্টেন খুরশীদের ওপর “বঙ্গবন্ধু স্কোয়াড্রন”, বাংলাদেশ নেভীর কমান্ডেন্ট, মোডিফাইড গান বোটের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। গান বোটগুলোর নামকরণ করা হয়েছিল যথাক্রমেঃ ১) বঙ্গশার্দূল ২) বঙ্গঅসি ৩) বঙ্গবিদ্যুৎ ৪) বঙ্গবীর্য ৫) বঙ্গশৌর্য। এই পাঁচটি মোডিফাইড গানবোটে ০.৫০ এম.এম. ব্রাউনিং বিমান বিধ্বংসী কামান সংযুক্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ সমরে “বঙ্গবন্ধু স্কোয়াড্রন বা নৌবহরের” অতুলনীয় অবদান রাখে।