ব্যবহারকারী:DelwarHossain/ছোট হলুদিয়া এক গম্বুজ মসজিদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ছোট হলুদিয়া এক গম্বুজ মসজিদ

সরকার বাড়ি জামে মসজিদ
অবস্থান সরকার বাড়ি, ছোট হলুদিয়া, মতলব উত্তর, চাঁদপুর।
প্রশাসন ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দ, মুঘল আমল
মালিকানা রূপ সরকার
পরিচালনা





সভাপতি:
মনির হোসেন সরকার (মনু)

স্থাপত্য তথ্য
ধারণক্ষমতা ৪-৫
উচ্চতা (সর্বোচ্চ) ২৫ ফুট
গম্বুজ
ভবনের উপকরণ ইট, সুরকি ও পাথর
পাদটীকা সর্বাধিক ক্ষুদ্র আকৃতির মসজিদ, যার প্রথম মুসল্লি ৪ জন।

ছোট হলুদিয়া এক গম্বুজ মসজিদ বাংলাদেশের প্রাচীন আমলের একটি মসিজদ। এটি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের ছোল হলুদিয়া সরকার বাড়িতে অবস্থিত। স্থানীয়ভাবে এটি সরকার বাড়ি জামে মসজিদ নামেও পরিচিত। ১৬ শতকের দিকে রূপ সরকার মসজিদটি নির্মাণ করেন।[১]


ইতিহাস[সম্পাদনা]

রুপ সরকারসহ আরও ৩ জনের পরিবার মিলে প্রথম ৪জনের পরিবার দিয়ে মতলব উত্তর উপজেলার ছোল হলুদিয়া সরকার বাড়ির যাত্রা শুরু হয়। বাড়ির বাসিন্দাদের নামাজের জন্যে এই এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি নির্মাণ করেন রূপ সরকার। মেঘনার নদীর একটি চর ভেসে উঠার এখানে প্রথম মানবের বসবাস শুরু। তখন গ্রামের চারপাশে জলজ প্রাণী কুমিরের আনাগোনা ছিল এবং গ্রামের কয়েকজন ব্যাক্তিকে কুমির আক্রমণ করে। কুমিরের ভয় উপক্ষো করে ৪ অঞ্চলের ৪টি পরিবার এসে বসবাস শুরু করেন। এখানে এসে বাড়ি করে তার নাম দেন সরকার বাড়ি। এরপর তাদের পরিবারের ৪ প্রধান পুরুষের নামাজের জন্য জামে মসজিদটি নির্মাণ করেন। অনেকটা ছোট হওয়ায় ৪-৫ জনের বেশি মানুুষ নামাজ পড়তে পারে না।

বিবরণ[সম্পাদনা]

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা থেকে এই ১ গম্বুজ মসজিদ এর দূরত্ব প্রায় ১৭ কিলোমিটার। বড় হলুদিয়া গ্রাম এর পরেই এর অবস্থান। মসজিদ টি ১২নং ফরাজিকান্দি, ছোট হলুদিয়া ৩ নং ওয়ার্ডের সরকার বাড়িতে অবস্থিত। মসজিদের পাশে বড় আকৃতির পুকুর রয়েছে। পুকুরের অপর প্রান্তে আরেকটি বড়াকৃতির মসজিদ আছে। ওই স্থানীয় মুসল্লিগণ নামাজ আদায় করে। মসজিদটি পূর্বের তুলনায় অনেকে ডেবে গিয়েছে (মাটির নিচে চলে গিয়েছে) । মসজিদ এর গম্বুজটির চারপাশে নানা রকম কারুকাজ করা ছিল, যা এখন নেই। বেশ কয়েকটি নিশান ছিল, যা বর্তমানে নেই। ১ গম্বুজ মসজিদটিতে কাঠের তৈরি ১ দরজা ও একটি জানারা রয়েছে। মসজিদ এর দরজা বন্ধ থাকে। ভেতরে ৫-৬ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে। পর্যটক মুসল্লিগণের মধ্যে অনেক নারী এতে নামাজ পড়েছেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "প্রত্নস্হলের তালিকা"archaeology.gov.bdপ্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০১৯