বিষয়বস্তুতে চলুন

ব্যবহারকারী:Balaram/দেবনাথ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নাথ কি জাত?

'নাথ কি জাত' এই প্রশ্নটা আজও অনেকের মনে উকি ঝুকি মারে, কারণ নাথ জাতির আচার ব্যবহার অন্যান্য সম্প্রদায়ের চেয়ে সামাজিক প্রথায় বেশ কিছু স্বাতন্ত্র্য রয়ে গেছে। যেমন- (শব-সমাধি রীতি, অন্নের পিন্ডদান,সমগোত্ রীয় দের মধ্যে বিবাহ, শালগ্রাম শিলা স্পর্শপূর্বক তাহার পূজা, দেব-দেবীকে অন্নভোগ প্রদান,চন্ডীপাঠ,শিবপূজা ইত্যাদি)। অধিকন্তু এইসব ব্যাপারে নারী পুরুষের সমান অধিকার রয়েছে। অন্যান্য সামাজিক ব্যাপারে অবশ্য সামবেদ অনুসরণ করা হয়।প্রবর পাঁচটি- শিব,শম্ভু,সরোজ,ভূধর ও আপ্লুব। এই প্রসঙ্গে উদ্ধৃতিগুলো পাঠ করিলে কোন সংশয় বা দ্বিধা থাকার কথা নয়। 'নাম যোগী পঞ্চ বিপ্র, যোগ যোগী সহস্রশঃ' অর্থাত্ যিনি শুধু নামে যোগী তিনি পাঁচজন বিপ্রের(ব্রাম্মণ) এর সমান,এবং যিনি যোগ সাধনার বলে যোগী তিনি সহস্র বিপ্রের(ব্রাম্ম ণের) সমান। গোপাল ভট্ট লিখিত ও শশীভূষণ দাশগুপ্ত মহাশয় কর্তৃক অনূদিত 'বল্লাল চরিত্র' নামক গ্রন্থে যোগ জাতির উত্পত্তি অতীব উত্তম বলিয়া বর্নিত হয়েছে। মহান রুদ্রের (শিব) ঔরসে সূর্যবতীর গর্ভে যোগনাথ জম্মগ্রহণ করেছিলেন। এই যোগনাথ হতে নাথ বংশের বিস্তার হয়েছে। বেদশাস্ত্র এবং পুরাণাদীতে মহাদেবকে মহান এবং মহারুদ্র রুপে বর্ণনা করা হয়েছে। তাই নাথ সম্প্রদায় রুদ্রজ ব্রাম্মণ,আর যোগ সাধনাই তাহাদের প্রধান ধর্ম বলিয়া তাহারা "যোগী"। নাথ সম্প্রদায়ের আরাধ্য দেবতা শিব,তাই তারা শৈব এবং শিব গোত্রীয়। jgggfhjg

নাথ জাতির পরিচয়

[সম্পাদনা]

মাধব চন্দ্র দেবনাথ ০১১৯৮০৩৭৯৮৬

উৎসর্গ

[সম্পাদনা]

মুখবন্ধ

[সম্পাদনা]

কৃতজ্ঞতা

[সম্পাদনা]

সর্ব প্রথমে পন্ডিতমন্ডলীর উক্তিগুলোর জন্য তাদেরকে আন্তরিকে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি। আর আশা করি ‘নাথ-যোগী’ সম্প্রদায় মর্য্যাদা সহকারে উক্তিগুলো পড়ে উপলব্ধি করিতে চেষ্টা করবেন এবং প্রত্যেকে নিজেদের ভূল ত্রুটি সংশোধন করতঃ জাতিটাকে যথাস্থানে প্রতিষ্টিত করতে প্রয়াসী হবেন।






ভূমিকা

[সম্পাদনা]

‘নাথ কী জাত’ এই প্রশ্নটা আজও অনেকের মনে উকি ঝূকি মারে, কারণ এঁদের আচার ব্যবহার অন্যান্য সকল সম্প্রদায়ের চেয়ে সামাজিক প্রথায় বেশ কিছু স্বাতন্ত্র্য রয়ে গেছে। যেমন ‘শব-সমাধি’ রীতি, অন্নের পিন্ডদান, সমগোত্রীয়দের মধ্যে বিবাহ, শালগ্রাম শিলা স্পর্শ পূর্ব্বক তাহার পূজা, দেবদেবীকে অন্নভোগ প্রদান, চন্ডি পাঠ, শিব পূজা ইত্যাদি। অধিকন্ত এই সব ব্যাপারে নারী এবং পুরুষের সমান অধিকার রয়েছে। অন্যান্য সামাজিক ব্যাপারে অবশ্য সামবেদ অনুসরণ করা হয়। প্রবর পাঁচটি শিব,শম্ভূ,সরোজ ভূধর ও আপ্নুবৎ। এই প্রসঙ্গে নিন্মোক্ত উদ্ধৃতি গুলো পাঠ করলে কোন সংশয় বা দ্বিধা থাকার কথা নয় যে-- নাথ--


“নাম যোগী পঞ্চ বিপ্রা, যোগ যোগী সহস্রশঃ ।” অর্থাৎ যিনি শুধু নামে যোগী তিনি পাঁচজন বিপ্রের ( ব্রহ্মণের ) সমান, ভালোনাসা অপরিসীম।

উদ্ধৃতি

[সম্পাদনা]

গোপাল ভট্ট লিখিত ও শশীভূষণ দাসগূপ্ত মহাশয় কর্তৃক অনূদিত ‘বল্লাল চরিত্র’ নামক গ্রন্থে যোগিজাতির উৎপতি অতিব উত্তম বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে- “মহান্‌ রূদ্রের ( শিব ) ঔরসে সূর্য্যবতীর গর্ভে যোগনাথ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই যোগনাথ হইতে নাথ বংশ বিস্তারিত হইয়া পড়িয়াছে। নাথ বংশ সকল পুরুষেরই নামের শেষে ‘নাথ’ শব্দ দিয়া তাঁহাদিগের নাম বলা হয়। বেদশাস্ত্র পুরাণাদিতে মহাদেবকে মহান্‌ বা মহারূদ্ররূপে বর্ণনা করা হইয়াছে। তাই তাঁরা রূদ্রজ ব্রাহ্মণ, আর যোগ সাধনাই তাঁহাদের প্রধান ধর্ম্ম বলিয়া তাঁহারা ‘যোগী’ । তাঁহাদের আরাধ্য দেবতা শিব,তাই তাঁরা শৈব, শিব গোত্রীয়।






লেখকের বক্তব্য সহ সারাংশ

[সম্পাদনা]

আশা করি নাথ কি জাত এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে উদ্ধৃতির মাধ্যমে যেসব অকাট্য তথ্য প্রমান উপস্থাপিত করা হলোতাতে আর কারও কোন সংশয় বা দ্বিধা থাকার কথা নয় যে নাথ ব্রাম্মণ-ত বটেই, তদুপরী

সুখ দুঃখ ভাই ভাই চলে পাশাপাশি। উত্থান পতন তাই চলে মিলেমিশি।।

আমাদের ভারতবর্ষেই কত রাজা বাদশা এলেন আর গেলেন, কেহই চিরস্থায়ী হলেন না। তাঁদের বংশজাত সন্তানেরা আজ হয়ত পথের ভিখারী অথবা নিম্নস্তরে বসবাসকারী। আবার এটাও ঠিক যে সব রাজা বাদশারাই ভাল মানুষ ছিলনা, তাঁদের মধ্যে অনেকেরই স্বভাব চরিত্র ছিল মন্দ। আর এই সব মন্দ স্বভাব চরিত্রের রাজাদের মধ্যে সেন বংশের স্বেচ্ছাচারী রাজা বল্লালসেনের নাম সকলেই জানেন। তাঁরাই কোপানলে ‘নাথ-যোগী’ সম্প্রদায়ের অশেষ ক্ষতি সাধিত হয়, যা আজও সম্পূর্ণরূপে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। রাজার দুর্ব্যবহারে যোগিরা নিজ বৃত্তি পরিত্যাগপূর্ব্বক ছত্রভঙ্গ হয়ে বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করতে বাধ্য হন এবং কালক্রমে দরিদ্রতা বশতঃ দুর্দ্দশার মধ্যে কালাতিপাত করতে থাকেন। জীবিকা নির্ব্বাপনের দায়ে দিশেহারা হয়ে নিজস্ব সত্তা অনেকেই হারিয়ে ফেলেন এবং কাজের তারতম্য বিচার না করে বাঁচার লড়াইয়ে আত্যনিয়োগ করতে বাধ্য হন। প্রচলিত কথাই আছে- “অভাবে স্বভাব নষ্ট, কূলনষ্ট কূভোজনে, অযাচনে মান্য নষ্ট, বূদ্ধি নষ্ট নির্ধনে।’’ তাই নাথ-জাতি সম্বন্ধে সাধারণ মানুষের মনে বিভ্রান্তি ঘটা অস্বাভাবিক নয়, কারণ




পরিশিষ্ট

[সম্পাদনা]

যদিও নাথ কি জাত জানা হয়ে গেল, আর কারও ভ্রম বা সংশয় থাকার কথা নয়, এটা নিয়ে স্বজাতিয়েরা দম্ভ বা অহংকার করার কিছু নেই, বরং সকল সম্প্রদায়ের সহিত মৈত্রি স্থাপনে আগ্রহী হওয়া বিধেয়। মানূষের মধ্যে শ্রেণী বিন্যাস করে হিংসা, নিন্দা, রেষারেষীর বিষ ছড়িয়ে দেওয়া কিছু লোকের কারসাজী ছাড়া আর কিছুই নয়। যদি



মনে রাখবেন

[সম্পাদনা]