ব্যবহারকারী:Anulekha/যোধা আকবর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

যোধা আকবর

[0] [1]

যোধা আকবর (হিন্দি: जोधा-अकबर, উর্দু: [2]) ১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮-এ মুক্তি পাওয়া ভারতেতৈরী একটা মহাকাব্যমূলক চলচ্চিত্র।[4] অ্যাকাডেমি পুরষ্কার-এর জন্য মনোনীত লাগান (২০০১)ছবির পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকর এই ছবিটার পরিচালনা করেছিলেন। এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন হৃথিক রোশন এবং ঐশ্বর্য্য রাই বচ্চন।এই ছবিতে নতুন অভিনেতা আবির আবরার প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন।ছবিটি তৈরীর জন্য প্রচুর গবেষণা করা হয়েছিল। কারজাতে ছবির চিত্রগ্রহণ হয়েছিল।[6]

এই ছবির মূল বিষয় হল (হৃথিক রোশন অভিনিত ) মুসলমান মোঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে তাঁর হিন্দু স্ত্রী যোধাবাই (যে ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ঐশ্বর্য্য রাই বচ্চন)-এর প্রেম।এই ছবির সঙ্গীত সৃষ্টি করেছেন প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমান।১৯শে জানুয়ারি,২০০৮-এ এই ছবিটির সঙ্গীত মুক্তি পায় ।[8]এই ছবিটি সাওপাওলো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-এ দর্শকের পছন্দের বিদেশী ভাষায় নির্মিত শ্রেষ্ঠ ছবির পুরস্কার পায়।[9]গোল্ডেন মিনবার আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে দুটি পুরস্কার,[11]সাতটি স্টার স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড এবং পাঁচটি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পায়। এর সঙ্গে অবশ্য ছিলো তৃতীয় এশিয়ান ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস-এর জন্য দুটি মনোনয়ন।[13]২০০৮-এ সারা পৃথিবী জুড়ে মুক্তি পাওয়া ছবি থেকে বেছে নেওয়া সেরা দশটি ছবির মধ্যে দ্য শার্লট অবজারভার যোধা আকবর-কে # ২ স্থান প্রদান করেছিল।[14]

সংক্ষিপ্তসার

যোধা আকবর, ষোড়োশ শতাব্দিতে ঘটা এক প্রেমকাহিনী। রাজনৈতিক সমঝোতার অঙ্গ হিসেবে যে বিবাহ ঘটানো হয়েছিল তা কীভাবে মহান মোঘল সম্রাট আকবর এবং রাজপুত রাজকন্যা যোধার মধ্যে প্রেমের জন্ম দিয়েছিল, সেটা ঘিরেই ছবির গল্প গড়ে উঠেছে। সম্রাট আকবর (হৃথিক রোশন) তাঁর রাজনৈতিক সাফল্যকে কোনো সীমার মধ্যে রাখার মানুষ ছিলেন না।হিন্দু কুশ জয় করার পর তিনি তাঁর রাজ্যের সীমা বিস্তারের জন্য যুদ্ধযাত্রা করেছিলেন। তার রাজত্বের বিস্তৃতি ছিলো আফগানিস্তান থেকে বঙ্গোপসাগর এবং হিমালয় থেকে নর্মদা নদী পর্যন্ত।রাজনৈতিক কূটকৌশল, ভীতি প্রদর্শণ এবং পেশীশক্তির সাহায্যে আকবর রাজপুতদের বশ্যতা জয় করেছিলেন।তবে সবাই তাঁর কাছে বশ্যতা স্বীকার করেননি।মহারাণা প্রতাপ সহ অনন্য অনেক রাজপুত রাজাই আকবরকে বিদেশী হানাদার ছাড়া আর কিছুই ভাবতেন না। মহারাণা প্রতাপ, যে সব রাজপুত গোষ্ঠী মোঘলদের সঙ্গে বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হয়েছিল এবং যাঁরা বিবাহ দেননি এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাহ নিষিদ্ধ করেছিলেন। যখন আকবর স্বাভিমানী রাজপুত রাজকন্যা যোধা(ঐশ্বর্য্য রাই) কে বিবাহ করার সময় তাঁর উদ্দেশ্য ছিলো রাজপুতদের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করা। তখন তিনি আন্দাজ করতে পারেননি যে এবার তিনি অন্য এক জয়যাত্রায় সামিল হতে চলেছেন-এক সত্যিকারের ভালবাসার জয়যাত্রা।

আজমেরের রাজা ভারমলের মেয়ে যোধা রাজনৈতিক সমঝোতার পাশাখেলায় শুধু এক ঘুঁটি হয়ে থাকতে চায়নি। সেইজন্য আকবরের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় যুদ্ধ নয় যোধার মনের গহনে ঘৃণা এবং অন্ধবিশ্বাসে জড়িয়ে থাকা প্রেম জয় করা।'যোধা-আকবর' তাঁদের না বলা একটি প্রেমকথা।[16]

ঐতিহাসিক শুদ্ধতা

পরিচালক স্বীকার করেছেন যে ছবির ৭০ শতাংশই তাঁর কল্পনা প্রসূত।যদিও ছবিটিতে দেখানো অনেক ঘটনাই বাস্তবে ঘটেছিল।কয়েকটি রাজপুত গোষ্ঠী দাবি করে যে যোধার বিয়ে হয়েছিল আকবরের সঙ্গে নয়, আকবরের পুত্র জাহাঙ্গিরের সঙ্গে।তারা এই ভুল তথ্য পরিবেশনের জন্য আশুতোষ গোয়ারিকরের কাছ থেকে প্রকাশ্যে ক্ষমাপ্রার্থনা দাবি করে।রাজস্থানের ৩০টি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটিকে দেখাতে দেওয়া হয়নি।[18]

বেশ কয়েকজন ঐতিহাসিক দাবি করেছেন যে মোঘল আমলে আকবরের রাজপুত স্ত্রী "যোধা বাই" নামে পরিচিত ছিলেন না। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ঐতিহাসিক অধ্যাপক শিরিন মুসভির মতে, আকবরনামা (আকবরের জীবনী যা আকবরের আজ্ঞানুসারে রচিত হয়েছিল)বা সেই সময়ের কোনো ঐতিহাসিক গ্রন্থ তাঁকে "যোধা বাই" হিসেবে চিহ্নিত করেনি।[20]মুসভি আরো জানান যে অষ্টাদশ এবং উনবিংশ শতকের ঐতিহাসিক রচনাগুলোতে "যোধা বাই"-কে আকবরের স্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল।[21]তুজুক-এ-জাহাঙ্গিরি গ্রন্থে তাঁকে মারিয়াম জামানি নামে উল্লেখ করা হয়েছে।[22]

পাটনার খুদা বক্স অরিয়েনটাল পাবলিক লাইব্রেরির নির্দেশক ঐতিহাসিক ইমতিয়াজ আলির বক্তব্য অনুসারে "যোধা" নামটি আকবরের স্ত্রীর নাম হিসেবে প্রথম ব্যবহৃত হয় লেফটেনেন্ট কর্নেল জেমস টড রচিত এন্যালস অ্যান্ড অ্যানটিকুইটিজ অফ রাজস্থান গ্রন্থে।আহমেদের মতে টড পেশাদার ঐতিহাসিক ছিলেন না।[24]এন আর ফারুকির মতে যোধা বাই আকবরের রাজপুত মহিষী ছিলেন না; এটা জাহাঙ্গিরের রাজপুত পত্নীর নাম ছিলো।[26]

এর উত্তরে আশুতোষ গোয়ারিকর জানান,[27]

প্রতিবাদ এবং আইনি সমস্যা

ছবিতে রাজপুত জাতিকে যেভাবে দেখানো হয়েছে তার বিরুদ্ধে রাজপুত গোষ্ঠীর মানুষজন প্রতিবাদ জানান। তাদের মতে এই চিত্রায়ণ ভুল এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ইতিহাসকে পুনর্নির্মাণ করে তাঁদের গৌরবময় অতিতকে ছোট করে দেখানো হয়েছে এবং তাদের নেতিবাচক তকমা দিয়ে বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে http://www.ibosnetwork.com/newsmanager/templates/template1.aspx?articleid=21147&zoneid=4। এই গোষ্ঠিভুক্ত মানুষেরা এই ছবির প্রদর্শণের বিরুদ্ধে কয়েকটি রাজ্যে তাঁদের প্রতিবাদ ব্যক্ত করেন। উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং উত্তরাখন্ডে ছবির প্রদর্শণ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়।ছবির প্রযোজক এর প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টও গিয়েছিলেন।[29][31] পরে ভারতবর্ষের সুপ্রিম কোর্ট উত্তর প্রদেশ এবং উত্তরাখন্ড এবং হরিয়ানার কয়েকটি শহরে এই ছবিটি প্রদর্শণের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। উত্তর প্রদেশ সরকারের জারি করা নিষেধাজ্ঞা, উত্তরাখন্ডের দেরাদুন এবং হরিয়ানার আম্বালা, সোনপত এবং রেওয়ারির কর্তৃপক্ষের দ্বারা জারি করা নিষেধাজ্ঞা আদালত নাকচ করে দেন।[33] অভিনেতা-অভিনেত্রী

[34] [35] হৃথিক রোশন ... জালালুদ্দিন মহম্মদ আকবর ঐশ্বর্য্য রাই ... যোধা বাই কুলভূষণ খারবান্দা ... রাজা ভারমল সোনু সুদ ... রাজকুমার সুজামল সুহাসিনী মূলে ... রানী পদ্মাবতী সাজি চৌধুরী..আধাম খান পুনম এস সিনহা … মাল্লিকা হামিদা বানু বেগম দিগ্বিজয় পুরোহিত …রাজকুমার ভাগয়ান্ত দাস/1} প্রদীপ শর্মা …শেখ মুবারক রাজীব সেহগল…রাজা বিরাট গুরমিত সিংহ …রাজা শুন্দী বলরাজ…রাজা বলরাজ সিংহ …ইউরিবৈরম খান দিশা ভাকানি …মাধবী ইন্দ্রজিত সরকার …মহেশদাস / বীরবল সুধাংশু সিংহ …রাজা শিমলগড় নিকিতিন ধীর …শরিফুদ্দিন হুসেন রাজেশ বিবেক…চুগতাই খান সুরেন্দ্র পাল …রানা উদয় সিংহ [36] রাজা মুরাদ …শামসুদ্দিন অতাগা খান ইলা অরুণ…মহাম অঙ্গা প্রমোদ মৌথো…রাজা তদর মল প্রমথেশ মেহতা …চন্দ্রভান সিংহ বিশ্বা বাদোলা …সাদির আদাসি মানব নাইক…নীলাক্ষী সইদ বদরুল হাসান …মোল্লা দো পিয়াজা দিলনাজ ইরানি …সেলিমা তেজপাল সিংহ রাওয়াত…নিমত রাজু পন্ডিত …রাজা ভাটি ভরত কুমার …রাজা চৌহান জস্সী সিংহ …রাজা ভদ্র উল্লাস বার্ভে…রাজা মানকেশ্বর আবির আবরার …বকশী বানু বেগম অমন ধালিয়াল…রাজকুমার রতন সিংহ শেহজর আলি …রাজা হেমু সঞ্চিতা কৌর ... বিশেষ ভূমিকায় অমিতাভ বচ্চন...ভাষ্যকার [37] কলাকুশলী

গল্প: হায়দর আলি চিত্রনাট্য: হায়দর আলি এবং আশুতোষ গোয়ারিকর সংলাপ: কে পি সাক্সেনা রূপসজ্জা: জেমি উইলসন প্রযোজনা রূপায়ণ: নিতিন চন্দ্রকান্ত দেশাই ভিজুয়াল এফেক্টস: পঙ্কজ খন্ডপুর (টাটা ইএলএক্সএসআই - ভিজুয়াল কমপিউটিং ল্যাবস ) প্রধান সহকারী পরিচালক:করণ মালহোত্র চলচ্চিত্র নির্মান: কিরণ দেওহানস প্রযোজনা

আশুতোষ গোয়ারিকর নয়া দিল্লি, আলিগড়, লক্ষ্ণৌ, আগ্রা এবং জয়পুর থেকে ঐতিহাসিক এবং বিদ্বান ব্যক্তি সম্বলিত একটি গবেষক দল নিয়োগ করেন যাতে ছবির ঐতিহাসিক সত্যতা বজায় রাখতে তাঁরা তাঁকে সাহায্য করতে পারেন। তিনি পরিষ্কারভাবে জানান যে, যদিও গণমাধ্যমের একটা অংশ ছবিটার নাম, আকবর-যোধা বলছে কিন্তু আসলে ছবির আসল নাম 'যোধা-আকবর'। ছবিতে ৮০টিরও বেশি হাতি, ১০০টি ঘোড়া এবং ৫৫টি ঊট ব্যবহার করা হয়েছিল।ঢাল তলোয়ার হাতে তত্কালীন সাজসজ্জায় সজ্জিত প্রায় এক হাজার নর্তক-নর্তকীকে নিয়ে কারজাত-এর একটি ময়দানের প্রেক্ষাপটে ছবির প্রধান গান "আজিম-ও শান শাহেনশাহ"-এর চিত্রগ্রহণ করা হয়েছিল। ছবির বাজেট ছিলো ৩৭ কোটি টাকা (প্রায় ৭.৪২ মিলিয়ন USD)। ৯ই ডিসেম্বর ২০০৭-এ টেলিভিশনে প্রথম বিজ্ঞাপনী প্রদর্শণ করা হয়েছিল।

ছবিতে তানিস্কের তৈরী প্রায় ৪০০০ কেজি ওজনের সোনার গয়না ব্যবহার করা হয়েছিল।[39]

গ্রহনীয়তা

বক্স অফিস

US এবং UK-এর বক্স অফিসে এই ছবিটি অভাবনীয় সাড়া ফেলেছিল।http://www.rediff.com/movies/2008/feb/19jodhaa.htm উত্তর আমেরিকার বক্স অফিসে প্রথম সপ্তাহন্তে এই ছবিটির রোজগার দাঁড়ায় ১.৩ মিলিয়ন ডলার।দেশি বাজারে যতদিন এই ছবিটি চলেছে তার থেকে রোজগার হয়েছে ৩,৪৪০,৭১৮ ডলার।[40]প্রথমদিকে ভারতীয় বক্স অফিসে ছবিটি তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি কিন্তু দর্শকদের একবার ভালো লেগে যাওয়ার পর মুখেমুখে ভালো প্রচার পাওয়ায় ছবিটি ৬২ কোটি টাকার ব্যবসা করে এবং সুপারহিট বলে ঘোষিত হয়।[42][44] সমালোচনা

দ্য শার্লট অবজারভার-এর ফিল্ম সমালোচক লরেন্স টপম্যান ২০০৮-এ সারা পৃথিবী জুড়ে মুক্তি পাওয়া তার পছন্দের প্রথম দশটি ছবির তালিকায় যোধা আকবরকে #২ স্থান দিয়েছিলেন।[46] রটেন টম্যাটোজ এই ছবিকে ৭৫% রেটিং দেয় যার মধ্যে ছিলো ৮টে তাজা এবং ২টো পচা টম্যাটো।[47] দ্য টাইমস-এর অনিল শিনানন এই ছবিকে মোট পাঁচটির মধ্যে চারটি তারা প্রদান করেন। তিনি বলেন, "অস্কার-মনোনীত লাগান-এর পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকরের এই দারুণ ঐতিহাসিক ছবিতে সিসিল ডি মেলির মনোরঞ্জক ছবির মতো সব মনোরঞ্জক উপাদান উপস্থিত[...]ছবিটি শেষ হয় ভারতবর্ষের সব ধর্মের প্রতি সহনশীলতার একট আকুল অনুরোধ দিয়ে, যা আধুনিক ভারতের ক্ষেত্রেও একটা উপযোগী বার্তা বহন করেছিল।"[48] CNN-IBN-এর রাজীব মাসান্দ এই ছবিটিকে পাঁচটির মধ্যে চারটি স্টার দিয়ে মন্তব্য করেন, এরকম অনুভূতি অন্য কোনো ছবি দেখতে গিয়ে আমার মনে জাগেনি। নিজের জায়গায় বসে যোধা-আকবর দেখার সময় নিজেকে বেশ সম্মাননীয় দর্শক মনে হচ্ছিলো।আমি সম্মানীত এই কারণে যে আমাদের সময়েই এমন একটা ছবি তৈরী হয়েছে। এই ছবিটার ওপর আমাদের আগের প্রজন্মের মতামতের ওপর ভিত্তি না করেই, যেটা কোন পুরনো ক্ল্যাসিক ছবির ক্ষেত্রে সম্ভব নয়, নিজেদের স্বাধীন মতামত প্রকাশ করতে পারি ।"[49] BBC-র তেজপাল রাঠৌর ছবিটিকে পাঁচটির মধ্যে চারটি স্টার দিয়ে বলেন যে, "যদিও ছবিটির বিষয়বস্তু, ষোড়শ শতাব্দীর এই প্রেমকথা সবাই ভুলে গেছেন কিন্তু তার উপস্থাপনার আকার এবং আয়তনের জন্যে স্মৃতিতে গেঁথে যায় [...] হাতের সময় বেরিয়ে গিয়ে এই মহাকাব্যিক কাহিনীটা না দেখতে পেয়ে যেন লজ্জিত না হতে হয়।"[50]

দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া-র নিখাত কাজমী ছবিটিকে তিনটি স্টার দিয়ে বলেন যে, "যোধা-আকবর ভালো লাগে কারণ ছবিটিতে হৃদয়ের স্পর্শ আছে। এই ছবিতে এমন এক ভালবাসার কথা বলা হয়েছে যা, লিঙ্গ, ধর্ম, সংস্কৃতি সব গন্ডি ভেঙ্গে দেয়--এবং সেই ভারতবর্ষের স্বপ্ন দেখায় যেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা আর সহনশীলতা দুটি জোড়া সম্ভের মতো অবিচলভাবে আমদের রক্ষা করবে।আকবর এবং যোধা সেই লোভনীয় স্বপ্নেরই বহিঃপ্রকাশ।" কাজমী আরো বলেন যে, "যদি ইতিহাসের অন্ধি-সন্ধি ভুলে যাওয়া যায়, তাহলে যোধা আকবর আরো বেশি প্রভাব বিস্তার করবে।"[51] দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস -এর রেচেল সলত্জ মনে করেন যে ছবিটি "খুব দীর্ঘ" এবং এটা কোনো "ইতিহাসের পড়া নয়"। তিনি আরো লক্ষ্য করেন যে," এই সম্রাটের গল্প এবং মুসলমান-হিন্দুর প্রেমকাহিনী বেছে নেওয়ার পিছনে শ্রী গোয়ারিকরের এক বিশেষ উদ্দেশ্য আছে। যেমন আকবর বলতেন, একে অন্যর ধর্ম শ্রদ্ধা করলে হিন্দুস্তান সমৃদ্ধ হবে।' হিন্দুস্তান টাইমস-এর খালিদ মহম্মদ ছবিটিকে ২টি তারা দিয়ে বলেছেন। "ভালো লাগুক আর নাই লাগুক আশুতোষ গোয়ারিকর, যিনি সাধরণত একজন বিবেক-বুদ্ধিপূর্ণ নির্দেশক হিসেবে পরিচিত, এবার ছবির যান্ত্রিক খুঁটিনাটি এবং আবেগের অংশ হিসেব করতে গিয়ে গোলমাল করে ফেলেছেন। বিস্তারিতভাবে খুঁটিনাটি নিয়ে মাথা ঘামিয়ে এখানে লাভ নেই।[54]

পুরস্কার[55]

ফিল্মফেয়ার পুরস্কারসমূহ

শ্রেষ্ঠ ছবি - রনি স্ক্রুওয়ালা এবং আশুতোষ গোয়ারিকর শ্রেষ্ঠ পরিচালক - আশুতোষ গোয়ারিকর শ্রেষ্ঠ অভিনেতা - হৃথিক রোশন শ্রেষ্ঠ গীতিকার - জাভেদ আখতার শ্রেষ্ঠ আবহ সঙ্গীত - এ আর রহমান স্টার স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডস বা পুরস্কারসমূহ

শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র - রনি স্ক্রুওয়ালা এবং আশুতোষ গোয়ারিকর শ্রেষ্ঠ অভিনেতা - হৃথিক রোশন শ্রেষ্ঠ আবহ সঙ্গীত - এ আর রহমান শ্রেষ্ঠ নৃত্য নির্দেশক - "খোয়াজা মেরে খোয়াজা"-র জন্যে রাজু খান শ্রেষ্ঠ পরিচালক - আশুতোষ গোয়ারিকর সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী - ঐশ্বর্য্য রাই বচ্চন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী - ঐশ্বর্য্য রাই বচ্চন শ্রেষ্ঠ অ্যাকশন- রবি দেওয়ান খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা - ইলা অরুণ শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশনা - নিতিন চন্দ্রকান্ত দেশাই শ্রেষ্ঠ গীতিকার - খোয়াজা মেরে খোয়াজা-র জন্যে কাসিফ শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত - এ আর রহমান শ্রেষ্ঠ পুরুষ নেপথ্য গায়ক - খোয়াজা মেরে খোয়াজা-র জন্যে এ আর রহমান শ্রেষ্ঠ স্পেশাল এফেক্ট - পঙ্কজ খন্ডপুর স্টারডাস্ট অ্যাওয়ার্ডস বা পুরস্কাসমূহ

বিজয়ী , বছরের তারকা - হৃথিক রোশন বিজয়ী, স্বপ্নের পরিচালক - আশুতোষ গোয়ারিকর বিজয়ী, নতুন খলনায়ক- নিকিতিন ধীর[56] আইআইএফএ অ্যাওয়ার্ডস বা পুরস্কার

শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র শ্রেষ্ঠ পরিচালক শ্রেষ্ঠ অভিনেতা শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক শ্রেষ্ঠ গীতিকার শ্রেষ্ঠ পুরুষ নেপথ্য গায়ক শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশনা শ্রেষ্ঠ আবহ সঙ্গীত শ্রেষ্ঠ সাজসজ্জা রূপায়ণ শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা শ্রেষ্ঠ রূপসজ্জা ভি শান্তারাম অ্যাওয়ার্ডস পুরস্কারসমূহ

[57] বিজয়ী, শ্রেষ্ঠ পরিচালকের ব্রোঞ্জ অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার - আশুতোষ গোয়ারিকর বিজয়ী, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী - ঐশ্বর্য্য রাই বিজয়ী , শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত - এ.আর. রহমান আন্তর্জাতিক

গোল্ডেন মিনবার আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল মুসলিম চলচ্চিত্রের জন্যে (কাজান, রাশিয়া)[১]

বিজয়ী , শ্রেষ্ঠ ছবি (গ্রাঁ প্রি) - আশুতোষ গোয়ারিকর বিজয়ী , শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার - হৃথিক রোশন 32nd সাও পাওলো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (ব্রাজিল, দক্ষিণ অ্যামেরিকা)[২]

বিজয়ী , দর্শকের বিচারে বিদেশী ভাষায় শ্রেষ্ঠ ছবি - আশুতোষ গোয়ারিকর এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডস

উচ্চমানের কোরিয়গ্রাফির জন্য মনোনয়ন -কিরণ দেওহানস তৃতীয় এশিয়ান ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস বা পুরস্কার

শ্রেষ্ঠ প্রডাকশন ডিজাইনার-এর জন্য মনোনীত - নিতিন চন্দ্রকান্ত দেশাই শ্রেষ্ঠ সুরসৃষ্টির জন্য মনোনীত - এ আর রহমান সঙ্গীত

[58] এই ছবির সঙ্গীতের মধ্যে রয়েছে পাঁচটি গান এবং দুটি যন্ত্রসঙ্গীত মনোনয়ন১৮ই জানুয়ারি ২০০৮-এ এই ছবির সঙ্গীত মুক্তি পেয়েছিলো।

সঙ্গীত গায়ক/গায়িকা(বৃন্দ) দৈর্ঘ্য পাদটিকা আজিম-ও-শান শাহেনশাহ মহম্মদ আসলাম , বনি চক্রবর্তী এবং গোষ্ঠী ৫:৫৪ হৃথিক রোশন এবং ঐশ্বর্য্য রাই -এর উপর চিত্রায়িত জশন এ বাহারা জাভেদ আলি ৫:১৫ হৃথিক রোশন এবং ঐশ্বর্য্য রাই -এর উপর চিত্রায়িত খোয়াজা মেরে খোয়াজা এ আর রহমান (গান:কাসিফ) ৬:৫৬ হায়দর আলি (আরমিন হাজী)(করিম হাজী )হৃথিক রোশন এবং ঐশ্বর্য্য রাই এর উপর চিত্রায়িত ইন লমহো কে সোনু নিগম এবং মধুশ্রী ৬:৩৭ হৃথিক রোশন এবং ঐশ্বর্য্য রাই -এর উপর চিত্রায়িত মন মোহনা বেলা শিন্দে ৬:৫০ হৃথিক রোশন এবং ঐশ্বর্য্য রাই -এর উপর চিত্রায়িত জশন এ বাহারা যন্ত্রসঙ্গীত - বাঁশি ৫:১৫ যন্ত্রসঙ্গীত খোয়াজা মেরে খোয়াজা যন্ত্র-সঙ্গীত- অবি ২:৫৩ যন্ত্রসঙ্গীত

[59]

উল্লেখপঞ্জীসমূহ

[60] বহিঃসূত্রাবলী

প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট: 'যোধা আকবর' [61] [62] [63] [64] [65] [66] [67]

[68] [69]

২০০৮-এর চলচ্চিত্র

ভারতীয় চলচ্চিত্র

হিন্দী ভাষার চলচ্চিত্র

উর্দু ভাষার চলচ্চিত্র

জীবনিমূলক চলচ্চিত্র

আশুতোষ গোয়ারিকর নির্দেশিত চলচ্চিত্র

ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী

এ আর রহমানের সঙ্গীত সংকলন






[4] ^ [3] [6] ^ [5] [8] ^ [7] [11] ^ [10] [13] ^ [12] [16] ^ [15] [18] ^ [17] [20] ^ [19] [24] ^ [23] [26] ^ [25] [29] ^ [28] [31] ^ [30] [33] ^ [32] [39] ^ Oneindia.in[38] [42] ^ [41] [44] ^ [43] [46] ^ [45] [47] ^ যোধা আকবর @ পচা টম্যাটো [48] ^ যোধা আকবর [49] ^ মাসান্দের সীদ্ধান্ত : যোধা আকবর [50] ^ যোধা আকবর [51] ^ যোধা আকবর [53] ^ [52] [54] ^ এবং বাকিগুলি ইতিহাস নয়। [56] ^ http://www.bollywoodhungama.com/features/2009/02/16/4855/index.html [57] ^ http://www.indiantelevision.com/aac/y2k8/aac796.php HIDDEN TEXT This section contains tooltips, titles and other text that are usually hidden in the body of the HTML page. This text should be translated to bring the entire page into your language. HTML ATTRIBUTES হিন্দী উর্দু ভারত বর্ষ মহাকাব্যিক ছবি ২০০৮ এর বলিউড চলচ্চিত্র আশুতোষ গোয়ারিকর অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড লাগান হৃথিক রোশন ঐশ্বর্য্য রাই বচ্চন কারজাত মুসলিম মোঘল সম্রাট মহান আকবরের হৃথিক রোশন হিন্দু মারিয়াম-উজ-জামানি ঐশ্বর্য্য রাই এ আর রহমান সাওপাওলো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সব স্টার স্ক্রিন পুরস্কার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার তৃতীয় এশিয়ান ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড দা শার্লট অবজারভার রাজপুত হৃথিক রোশন হিন্দু কুশ আফগানিস্তান বঙ্গোপসাগর হিমালয় নর্মদা নদী মহারাণা প্রতাপ রাজপুত ঐশ্বর্য্য রাই রাজপুত জাহাঙ্গির আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় আকবরনামা পাটনা জেমস টড অন্যালস অ্যান্ড অ্যানটিকুইটিজ অফ রাজস্থান আশুতোষ গোয়ারিকর রাজপুত ইতিহাসকে রদবদল বলির পাঁঠা ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট হৃথিক রোশন জালালুদ্দিন মহম্মদ আকবর ঐশ্বর্য্য রাই যোধা বাই কুলভূষণ খারবান্দা ভারমল সোনু সুদ সুহাসিনী মূলে সাজি চৌধুরী আধাম খান পুনম এস সিনহা হামিদা বানু বেগম দিগ্বিজয় পুরোহিত রাজা ভাগয়ান্ত দাস প্রদীপ শর্মা রাজীব সেহ্গল গুরমিত সিংহ শুন্দী বলরাজ ইউরি বৈরম খান দিশা ভাকানি ইন্দ্রজিত সরকার বীরবল সুধাংশু সিংহ নিকিতিন ধীর রাজেশ বিবেক সুরেন্দ্র পাল রাজা মুরাদ অতাগা খান ইলা অরুণ মহাম অঙ্গ প্রমোদ মৌথো রাজা তদর মল প্রমথেশ মেহতা বিস্সা বাদো মানব নাইক সইদ বদরুল হাসান দিলনাজ ইরানি তেজপাল সিংহ রাজু পন্ডিত ভরত কুমার জস্সী সিংহ উল্লাস বার্ভে আবির আবরার অমন ধালিয়াল শেহজর আলি হেমু সঞ্চিতা কৌর অমিতাভ বচ্চন নিতিন চন্দ্রকান্ত দেশাই আশুতোষ গোয়ারিকর কারজাত স্বদেশী বাজার দ্য শার্লট অবজারভার রটেন টম্যাটোজ দ্য টাইমস লাগান সীসিল বি. ডিমিলী রাজীব মাসান্দ সিএনএন-আইবিএন বিবিসি দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া দ্য ন্যু ইয়র্ক টাইমস খালিদ মহম্মদ হিন্দুস্তান টাইমস ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার রনি স্ক্রুওয়ালা আশুতোষ গোয়ারিকর ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ নির্দেশকের পুরস্কার আশুতোষ গোয়ারিকর ফিল্ম ফেয়ার শ্রেষ্ঠ তামিল অভিনেতার পুরস্কার জিতে নেন (তামিল) হৃথিক রোশন ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ গীতিকারের পুরস্কার জাভেদ আখতার ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ আবহ সঙ্গীত এ আর রহমান শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জন্য স্টার স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডস রনি স্ক্রুওয়ালা আশুতোষ গোয়ারিকর স্টার স্ক্রিন শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার হৃথিক রোশন স্টার স্ক্রিন শ্রেষ্ঠ আবহ সংগীতের পুরস্কার এ আর রহমান স্টার স্ক্রিন শ্রেষ্ঠ নির্দেশকের পুরস্কার আশুতোষ গোয়ারিকর ঐশ্বর্য্য রাই স্টার স্ক্রিন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার ঐশ্বর্য্য রাই স্টার স্ক্রিন শ্রেষ্ঠ খলনায়কের পুরস্কার ইলা অরুণ স্টার স্ক্রিন শ্রেষ্ঠ গীতিকারের পুরস্কার কাসিফ স্টার স্ক্রিন শ্রেষ্ঠ সংগীতকারের পুরস্কার এ আর রহমান স্টার স্ক্রিন শ্রেষ্ঠ পুরুষ নেপথ্যগায়কের পুরস্কার এ আর রহমান হৃথিক রোশন আশুতোষ গোয়ারিকর আইআইএফএ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার আইআইএফএ শ্রেষ্ঠ নির্দেশকের পুরস্কার আইআইএফএ শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার আইআইএফএ শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালকের পুরস্কার আইআইএফএ শ্রেষ্ঠ গীতিকারের পুরস্কার আইআইএফএ শ্রেষ্ঠ পুরুষ নেপথ্য গায়কের পুরস্কার আইআইএফএ শ্রেষ্ঠ কলা নির্দেশকের পুরস্কার আইআইএফএ শ্রেষ্ঠ আবহ সংগীতের পুরস্কার আইআইএফএ শ্রেষ্ঠ পোষাকের পুরস্কার আইআইএফএ শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা আইআইএফএ শ্রেষ্ঠ রূপসজ্জা আশুতোষ গোয়ারিকর ঐশ্বর্য্য রাই এ আর রহমান আশুতোষ গোয়ারিকর হৃথিক রোশন আশুতোষ গোয়ারিকর এ আর রহমান বনি চক্রবর্তী হৃথিক রোশন ঐশ্বর্য্য রাই জাভেদ আলী হৃথিক রোশন ঐশ্বর্য্য রাই এ আর রহমান কাসিফ হায়দর আলি হৃথিক রোশন ঐশ্বর্য্য রাই সনু নিগম মধুশ্রী হৃথিক রোশন ঐশ্বর্য্য রাই হৃথিক রোশন ঐশ্বর্য্য রাই Anulekha (আলাপ) ০৮:২৯, ১৪ আগস্ট ২০১০ (ইউটিসি)

  1. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; bollywoodhungama নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  2. "Jodhaa Akbar wins Audience Award at Sao Paulo International Film Fest"। Business of Cinema। ২০০৮-১১-০৩।  অজানা প্যারামিটার |accesdsate= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)