ব্যবহারকারী:Anulekha/ঐশ্বর্য রাই

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ঐশ্বর্য রাই

[0]

ঐশ্বর্য রাই বচ্চন[2], (ঐশ্বর্য রাই নামে ১লা নভেম্বর, ১৯৭৩-এ জন্ম, এবং কখনো কখনো সহজ করে অ্যাশ অথবা এঈশ, নামেও ডাকা হয়) একজন ভারতীয় টুলু [3] অভিনেত্রী এবং প্রাক্তন মিস ওয়ার্ল্ড। অভিনয় জগতে পদার্পণ করার আগে তিনি মডেল হিসেবে কাজ করতেন এবং ১৯৯৪ সালে মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব অর্জন করার পর ব্যাপক খ্যাতি লাভ করেন।

সংবাদ মাধ্যমে প্রায়শই বিশ্বের[4][6][8] অন্যতম সুন্দরী মহিলা হিসেবে উল্লেখিত রাই, মণি রত্নমের তামিল ছবি ইরুবর (১৯৯৭) ছবিতে অভিনেত্রী হিসেবে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন এবং প্রথম বানিজ্যিক সাফল্য পান তামিল ছবি জিন্স (১৯৯৮) ছবিতে। তিনি সঞ্জয় লীলা বনসালী পরিচালিতহাম দিল দে চুকে সনম(১৯৯৯)ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেছিলেন।২০০২ সালে বনসালীর পরবর্তী ছবি দেবদাস-এ তিনি অভিনয় করেন। যার জন্য তিনি দ্বিতীয় বার ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল ছিলো তাঁর কর্মজীবনের একটু বাজে সময়। এর পর তিনি অভিনয় করেন ব্লকবাস্টার ছবি ধূম ২(২০০৬)-তে। এই ছবিটা ছিল তাঁর বলিউডের বৃহত্তম অর্থনৈতিক সাফল্য। পরবর্তী সময় তাঁকে গুরু(২০০৭) এবং যোধা আকবর(২০০৮) এ অভিনয় করতে দেখা যায়, যেগুলি ছিলো অর্থনৈতিকভাবে সফল ছবি এবং এই ছবি গুলোতে অভিনয়ের জন্য তিনি সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিতও হন। এইভাবে রাই ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে তাঁর সমকালীন অভিনেত্রীদের মধ্যে এক অন্যতম অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।

সমগ্র কর্মজীবনে রাই চল্লিশটিরও বেশি হিন্দী, ইংরাজি, তামিল, এবং বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন যার মধ্যে আন্তর্জাতিক ছবি ছিলো ব্রাইড এন্ড প্রেজুডিস (২০০৩), দ্য মিস্ট্রেস অফ স্পাইসেস (২০০৫), দ্য লাস্ট লিজিয়ান (২০০৭) এবং দ্য পিঙ্ক প্যান্থার ২ (২০০৯) যেগুলো ছিল ইংরাজি ভাষাতে।


«PreviousNext»

তাঁর দাদার নাম আদিত্য রাই। ইনি বানিজ্যিক নৌ-বহরের (মার্চেন্ট নেভি) একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং দিল কা রিস্তা নামে রাই-এর একটি ছবিও তিনি সহ-প্রযোজনা করেছিলেন। ছোটবেলায় তাঁর মা বাবা মুম্বাইতে চলে আসেন এবং তিনি সান্তা ক্রুজের আর্য বিদ্যা মন্দির উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর এক বছরের জন্য রাই চার্চ গেটের জয় হিন্দ কলেজে পড়াশোনা করেন এবং তারপর তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পড়েন (এইচ এস সি) মাতুঙ্গার রুপারেল কলেজে থেকে। স্কুলে পড়াকালীন তিনি খুব ভালো ছাত্রী ছিলেন এবং পরবর্তীকালে একজন স্থপতী বা আর্কিটেক্ট হবার পরিকল্পনা নিয়ে স্থাপত্যশিল্প বিষয়ে পড়াশোনা করতে শুরু করেছিলেন। তাঁর মাতৃভাষা টুলু[10] হলেও তিনি হিন্দী, ইংরাজি, মারাঠি এবং তামিল ভাষায় সাবলীলভাবেই কথা বলতে পারেন।[12] স্থাপত্যশিল্প নিয়ে পড়াশোনা শুরু করলেও মডেলিং কে জীবিকা হিসেবে গ্রহণ করার জন্য তাঁকে তা ছেড়ে দিতে হয়েছিল।[14] মিস ওয়ার্ল্ড

স্থাপত্যশিল্প নিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি রাই মডেলিংও শুরু করেন। ১৯৯৪ সালে মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় তিনি সুস্মিতা সেনের পরে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন এবং মিস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ড খেতাব অর্জন করেন। ওই একই বছর মিস ওয়ার্ল্ড শিরোনামের সঙ্গে সঙ্গে তিনি মিস ফটোজেনিক পুরস্কারেও সম্মানিত হয়েছিলেন। ঐ অনুষ্ঠানে জয়লাভ করার পর তিনি পড়াশোনা ছেড়ে দেন এবং মিস ওয়ার্ল্ড হিসেবে এক বছর লন্ডনে ছিলেন। তারপর রাই একজন পেশাদার মডেল হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন এবং তারপর বর্তমান পেশা, অভিনয় আরম্ভ করেন। চলচ্চিত্র কর্মজীবন

প্রারম্ভিক কর্মজীবন (১৯৯৭-১৯৯৮)

অভিনেত্রী হিসেবে রাই-এর প্রথম আত্মপ্রকাশ মোহনলাল[16]-এর সাথে মণি রত্নমের তামিল আত্মজীবনীমূলক (বায়োপিক) ছবি ইরুবর (১৯৯৭)-এর মাধ্যমে। বিতর্কিত ছবিটি সমালোচনামুলকভাবে সফল হয়েছিল এবং বহু পুরস্কারও জয় করেছিল। যার মধ্যে ছিলো বেলগ্রেড আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে শ্রেষ্ঠ চলচ্ছিত্র পুরস্কার এবং দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং দুটি দক্ষিণী ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। দীর্ঘকালের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অভিনেতা মোহনলালের বিপরীতে রাই দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তার মধ্যে একটা ছিলো ভূতপূর্ব অভিনেত্রী ও রাজনৈতিবিদ জে. জয়ললিতারজীবনের চলচ্চিত্রায়ন।[18] অর পেয়ার হো গয়া চলচ্চিত্রে ববি দেওলের বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে রাই বলিউডে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন। এই ছবিটিও ওই একই বছরে মুক্তিপেয়েছিল, কিন্তু বক্সঅফিসে[20] খুব একটা সফল হয়নি এবং সমালোচকরা কঠোর ভাবে সমালোচনা করেছিলেন। তবু তাঁর তৃতীয় ছবি এস. শঙ্করের তামিল চলচ্চিত্র জিন্স (১৯৯৮) আর্থিকভাবে সফল হয়, যার দ্বরুন তিনি দক্ষিনের ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরষ্কার জিতে নেন। চলচ্চিত্রটি "পুভুক্কুল" গানটির জন্য ও বিশেষভাবে জনপ্রিয় ছিলো। গানটি রচনা করেছিলেন ভৈরামুথু এবং সঙ্গীত চিত্রায়ানের পুনর্বিবেচনাকালে তাঁকে তুলনা করা হয়েছে বিশ্বের প্রধান স্মৃতিসৌধগুলির সাথে।[22][24] সাফল্য (১৯৯৯-২০০৫)

১৯৯৯ সালে সঞ্জয় লীলা বনসালীর হাম দিল দে চুকে সনম ছবিতে সলমন খান ও অজয় দেবগনের বিপরীতে রাই অভিনয় করেন। ছবিটিতে রাই তথা নন্দিনী ছিল কেন্দ্রীয় চরিত্র। অন্য একজনকে (সলমন খান) ভালবাসা সত্বেও ছবিটিতে তাঁকে দেবগন চরিত্রটিকে বিবাহ করতে বাধ্য হয়। তার স্বামী তাকে তার আগের ভালোবাসার মানুষটির কাছে পৌঁছে দিতে চাইলেও ঘটনাচক্রে সে স্বামীর প্রতিই আকৃষ্ট হয়ে যায়। রাইয়ের চরিত্র চিত্রায়ন সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করেছিলো, Rediff.com এর একটি পুনর্বিবেচনায়ে বলা হয়েছিল "ঐশ্বর্যকে বরাররের মতই সুন্দরী লাগছিল...ছবিটিতে অভিনয় করার পর তাঁর সর্বব্যাপী প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা আছে, মনীষা কৈরালা যেভাবে খামোশী ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে একজন অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন, তিনিও একই ভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারেন। বহু দৃশ্যে প্রসাধনী ছাড়াই তাঁকে খুবই প্রাণবন্ত লাগছিলো"।[26] ছবিটা ছিলো বলিউডে তাঁর প্রথম বানিজ্যিক সাফল্য এবং এর মাধ্যমেই তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরষ্কার লাভ করেছিলেন। ঐ বছর-ই তিনি সুভাষ ঘাই-এর তাল ছবিতে অভিনয় করেন, যেখানে তিনি মানসি নামের এক গ্রাম্য তরুণীর, ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, যে তার প্রেমিকের দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার পর একজন প্রখ্যাত পপ শিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করে। তার প্রেমিকের ভূমিকায় ছিলেন অক্ষয় খান্না। ভারতে ছবিটি মোটামুটিভাবে সফল হলেও আন্তর্জাতিক দর্শকদের মধ্যে চূড়ান্ত সাফল্য অর্জন করে, বিশেষতঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, যেখানে এটি ছিলো প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র যেটি ভ্যারাইটি-এর বক্স অফিস তালিকার শীর্ষ ২০ তে স্থান পেয়েছিল।[28] ছবিটিতে তাঁর অভিনয়ের প্রশংসা করে Rediff.com লিখেছিলো, "হাম দিল দে চুকে সনম ছবিতে তাঁর অভিব্যক্তি ও অভিনয় ক্ষমতা প্রশংসা পাওয়ার পর, ঐশ্বর্য তাল ছবিতে আরোও বিকশিত হয়েছেন। তাঁকে মেঘলোকে বিরাজিত বলে মনে হয়েছিল এবং তাঁর চরিত্রটি পূর্ববর্তী ছবির থেকে তুলনামূলকভাবে অনেক প্রশান্ত এবং নমনীয় ছিল। যদিও ছবির অধিকাংশ সময়ে তাঁকে ব্যথিত ও দুঃখিত মনে হয়েছে, তিনি এমন একটি মহিলার চরিত্র অতি নিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন যিনি তাঁর বাবার প্রতি খুবই সংবেদনশীল এবং যিনি বাবাকে অপমান করার জন্য তাঁর প্রেমিককে প্রত্যাখ্যান করার আগে দ্বিতীয়বার চিন্তা করেন নি"।[30] এই ছবিতে[32] অভিনয়ের জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার-এর শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কারের জন্য আর একটি মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ২০০২ সালে মনসুর খানের জোশ ছবিতে,শাহরুখ খান এবং চন্দ্রচূড় সিং-এর সাথে অভিনয় করেন, যেখানে তিনি শার্লি নামের একটি ক্যাথলিক মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, যে তার ভাইয়ের শত্রুর ভাইয়ের সাথে ভালবাসায় জড়িয়ে পড়ে। ছবিটি বাণ্যিজিক ভাবে সফল ছিল। সে বছরই পরবর্তী সময়ে তিনি সতীশ কৌশিক পরিচালিত হামারা দিল আপকে পাস হ্যায় ছবিতে অনিল কাপুর-এর বিপরীতে অভিনয় করেন। ছবিটি মাঝারি মাপের সাফল্য পেয়েছিলো এবং চরিত্রটির জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কারের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ঐ বছরের পরের দিকে তিনি আদিত্য চোপড়ার মহব্বতে ছবিতে অমিতাভ বচ্চন এবং শাহরুখ খানের-এর সঙ্গে একটা পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিটি ব্যাপক বাণ্যিজিক সাফল্য লাভ করে এবং বছরের দ্বিতীয় সর্বাধিক আয়কারী ছবি রূপে পরিচিত হয়। এই ছবিটার জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর মনোনয়ন লাভ করেন। ঐ বছরেই পরের দিকে তিনি কান্দুকন্দেন কান্দুকন্দেন নামে একটি তামিল ছবিতে মামুটি,অজিথ কুমার এবং তাবুর সাথে অভিনয় করেন।

২০০২ সালে শাহরুখ খান ও মাধুরী দীক্ষিতের সাথে তিনি সঞ্জয় লীলা বনসালীর দেবদাস ছবিতে অভিনয় করেন, যেটি শরত চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-এর একই নামের জনপ্রিয় উপন্যাস অবলম্বনে তৈরী হয়েছিল। এই ছবিতে তিনি নায়কের চরিত্রে শাহরুখ খানের প্রেমিকা পারোর (পার্বতী) চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ছবিটি কান চলচ্চিত্র উত্সবে দর্শকদের বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করেছিলো।[34] এই ছবিটি ভারত ও বিদেশে সর্বাধিক আয়কারী ছবি হিসেবে পরিচিত হয়েছিল। এদেশে এই ছবিটির আয় ছিলো ৩৯০ মিলিয়ন টাকা।[36][38] ১০টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার সহ দেবদাস বিভিন্ন ধরনের পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিল এবং রাই তাঁর কাজের জন্য দ্বিতীয় বার ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছিলেন। ২০০৩ সালে তিনি ঋতুপর্ণ ঘোষের বাংলা চলচ্চিত্র চোখের বালিতে অভিনয় করেন। এটি ছিলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর একই নামের বিখ্যাত উপন্যাস ভিত্তিক। বিনোদিনী নামক এক যুবতী মহিলার চরিত্রে তাঁকে দেখা যায়, যেখানে বিবাহের পর তার অসুস্থ স্বামীর শীঘ্র মৃত্যুর পর যাকে নিজের পরিস্থিতি একলা মোকাবিলা করবার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়।[40] ওই বছরেই তিনি তাঁর নিজের প্রযোজনার ছবি দিল কা রিস্তায় অর্জুন রামপালের সঙ্গে এবং রোহন সিপ্পির কুছ না কহো-তে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন, যেগুলোর কোনটাই সফল হয়নি।

২০০৪ সালে জেন অস্টিনের প্রাইড এন্ড প্রেজুডিস অনুকরণে গুরিন্দর চাদ্ডার বলিউড ধাঁচে ছবিটিতে ললিতা বক্সীর চরিত্রে তাঁকে দেখা যায়, যেটি অস্টিনের উপন্যাসের এলিজাবেথ বেনেট চরিত্রটির প্রতিরূপ। ওই ছবিটির পর আসে রাজকুমার সন্তোষীর খাকি, যেখানে তিনি অমিতাভ বচ্চন,অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগন এবং জয়াপ্রদার সাথে অভিনয় করেছিলেন। এই ছবিটিতে তাঁর চলচ্চিত্র জীবনে প্রথমবার তিনি ঋণাত্মক চরিত্রে অভিনয় করেন। সেই বছরই তিনি দ্বিতীয়বার ঋতুপর্ণ ঘোষেররেনকোট ছবিতে অজয় দেবগনের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছবিটি সমালোচকদের দ্বারা বহুল প্রশংসিত হয়েছিল এবং রাই তাঁর অভিনয়ের জন্য সমালোচকদের দ্বারা উচ্চ প্রশংসা লাভ করেছিলেন।[42]

ছবিটি বক্সঅফিসে ব্যার্থ হলেও মাঝারিভাবে সমালোচিত হযেছিল। ঐ বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত তাঁর পরবর্তী অভিনয় পল মায়েদা বার্গেস-এর দ্য মিস্ট্রেস অফ স্পাইসেস উপন্যাস অবলম্বনে চিত্রা ব্যানার্জি দিবাকারুনির পরিচালিত দ্য মিস্ট্রেস অফ স্পাইসেস ছবিতে ডিলান ম্যাকডারমট এর সাথে। ছবিটি সমালোচকদের দ্বারা ঋণাত্মক সমালোচনা লাভ করে এবং আর্থিকভাবে অসফল হয়েছিল। ঐ একই বছরে তিনি শাদ আলীর বান্টি অর বাবলি ছবিতে অতিথি শিল্পী হিসেবে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় সাত মিনিটের একটি গানের দৃশ্য "কাজরা রে"-তে অমিতাভ বচ্চন এবং অভিষেক বচ্চন-এর সাথে অভিনয় করেন।

সাম্প্রতিক কাজ (২০০৬ থেকে বর্তমান)


২০০৬ সালে রাই, জে পি দত্তের উমরাও জান-এ অভিনয় করেন। এটি মির্জা হাদি রুসবা রচিত উর্দু উপন্যাস উমরাও জান আদা (১৯০৫) অবলম্বনে তৈরী হয়েছিল। তিনি উনবিংশ শতকের লক্ষ্ণৌ-এর একই নামের এক সভা নর্তকী ও মহিলা কবির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। রাই এর কাজ সাধারনভাবে গ্রহণযোগ্য হলেও ছবিটি ছিলো সমালোচনামুখর ও অর্থনৈতিকভাবে অসফল। তরণ আদর্শ লিখেছিলেন,"ঐশ্বর্য রাইকে মেঘলোকে বিরাজিত বলে মনে হচ্ছিলো।তাঁকে স্বর্গীয় সুন্দরী লাগছিল এবং তিনি অসম্ভব প্রানবন্ত অভিনয় করেছিলেন। তিনি তাঁর ভাষাময় চোখের মাধ্যমে আবেগকে প্রকাশ করেছিলেন এবং তাঁর অভিনয় প্রথম থেকে শেষ পযন্ত প্রশংসনীয় ছিল।[44] ঐ একই বছর পরবর্তী ছবিতে তাঁকে দেখা যায় এক তুখোড় চোর সুনেহরীর ভূমিকায়, যশরাজ ফিল্মস-এর ধূম ২-তে। সঞ্জয় গান্ধবী পরিচালিত এই ছবিতে তিনি হৃতিক রোশন, অভিষেক বচ্চন, বিপাশা বসু এবং উদয় চোপড়ার মতো একঝাঁক তারকার সাথে অভিনয় করেছিলেন। ছবিটি ব্লকবাস্টার হয়ে দেশের বাজারে ৭৭০ মিলিয়ন টাকা আয় করে ভারতে বছরের সর্বোচ্চ আয়কারী ছবি হিসেবে সমাদৃত হয়েছিল।[46] তাঁর ও হৃতিক রোশনের একটি চুম্বনের দৃশ্যকে কেন্দ্র করে ছবিটি বিতর্কেরও সম্মুখীন হয়।[48] ছবিটিতে রাইয়ের অভিনয় Rediff.com-এ একটা লেখা,"অ্যাশেরর চরিত্রটি কোন গভীরতাবিহীন শুধূমাত্র চাকচিক্যপূর্ণ" সহ বেশিরভাগই ঋণাত্মক সমালোচনা লাভ করেছিল। বিভিন্ন বিপদজনক অভিযানে একজন ধুরন্ধর চোরের সাথী হবার কোনরকম উত্তেজনা তাঁর ব্যবহার ও অভিব্যক্তির মাধ্যমে প্রকাশ পায়েনি। ছবি শুরুর প্রায় ৫০ চলচ্চিত্রে আবির্ভুত হওয়ার দু মিনিট পরে তিনি যখম তাঁর মুখ খোলেন--তিনি ভাবমুর্তিটি নষ্ট করে দেন। তার মধ্যে কোনপ্রকার যৌন আবেদনই ছিলো না এবং আধা ঘন্টা পরে, দর্শকদের মনে এই প্রশ্নটিই জাগে যে এমন ধুরন্ধর চোর কি দেখে তার প্রতি আকৃষ্ট হলো।"[50]। তবুও, এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কারের জন্য তাঁর ছ নম্বর মনোনয়নটি পেয়েছিলেন।

২০০৭ এ তিনি মণি রত্নমের গুরু ছবিতে সুজাতা চরিত্রে অভিনয় করেন। যেটি একজন ভারতীয় ব্যবসায়ী ধীরুভাই আম্বানির জীবনীকেন্দ্রিক বলে ধরে নেওয়া হয়। এটি ছিলো কোন এক ছোট শহরে উচ্চাভিলাষী এক মানুষের পথ থেকে প্রাসাদে পৌঁছনোর কাহিনী যার যাত্রা সমাপ্ত হয়েছিল ভারতের বৃহত্তম সংস্থার মালিক হিসেবে। ছবিটির প্রথম প্রদর্শনী হয় কানাডার টরন্টোর এলগিন থিয়েটার, যার ফলে এটি কানাডায় প্রদর্শিত প্রধান ধারার আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে প্রথম প্রদর্শিত ভারতীয় চলচ্চিত্রে স্বীকৃতি পেয়েছিল।[52][54] বক্সঅফিসে ছবিটি সমালোচকদের দ্বারা বহুল প্রশংসিত হয় ও ভালো আয় করে।[56] রাইয়ের জন্য সমালোচকদের গ্রহনীয়তা ছিলো মিশ্র। যখন দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া থেকে নিখাত কাজমী লিখেছিলেন "চলনসই এবং তাঁর চরিত্রটিতে অভিনয় কোন উন্নতি দেখাতে বিফল হয়েছে", তখন Rediff.com-এর রাজা সেন সেটিকে বলেন, "তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ অভিনয়, বিশেষভাবে যখন তিনি ছবিটির চুড়ান্ত পর্যায়ে তার ওপর সম্পূর্ণ প্রভাব বিস্তার করেন।"[58][60] রাই এই চরিত্রটির জন্য ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে সপ্তম মনোয়ন পান। সেই বছরই তিনি, কিরণজীত আলুওয়ালিয়া (একজন এনআরআই বা অনাবাসী ভারতীয় মহিলা যিনি তাঁর স্বামীর তীব্র হিংস্রতার জন্য তাকে হত্যা করেন)-এর চরিত্রে নবীন অ্যান্ড্রসের পাশে জগ মুন্ধ্রা-র ব্রিটিশ ছবি প্রোভোক্ড-এ-এ অভিনয় করেছিলেন। অর্থনৈতিকভাবে অসফল ও সমালোচকদের দ্বারা সমালোচিত হয়েছিল, যদিও রাই সমালোচকদের দ্বারা ভালো মন্তব্য লাভ করেছিলেন। একই বছর তাঁকে ডগ লেফ্লার-এর মহাকাব্যিক ছবি দ্য লাস্ট লিজিয়ান-এ স্যার বেন কিংস্লে, কলিন ফার্থ এবং থমাস স্যাংগস্টার- এর সাথে কেরালার একজন নারী যোদ্ধা, মীরার ভূমিকায় দেখা যায়। সমালোচকরা ছবিটিকে অসফল বলে ব্যাখ্যা করেন।[62]

২০০৮ সালে হৃতিক রোশনের সাথে তাঁকে দেখা যায় আশুতোষ গোওয়ারিকর-এর ঐতিহাসিক ছবি যোধা আকবর ছবিতে। ছবিটা হলো মুসলমান মুঘল সম্রাট জ্বালালউদ্দীন মহম্মদ আকবরের জীবনের আংশিক কাল্পনিক গদ্দ্যাংশ, যেখানে আকবরের চরিত্রে রোশন ও তাঁর হিন্দু স্ত্রী যোধা বাই-এর চরিত্রে অভিনয় করেন রাই। ছবিটি সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত ও অর্থনৈতিকভাবে সফল হয়েছিল এবং আন্তর্দেশীয় ক্ষেত্রে ৫৯০ মিলিয়ন টাকারও বেশি আয় করেছিলো। ছবিটিতে রাই-এর অভিনয় সমালোচক ও রাজীব মসন্দ-এর লেখা "ঐশ্বর্য রাই চমত্কারভাবে এক গাম্ভীর্যপূর্ণ অভিনয় করেছেন এবং যত বেশী সম্ভব অভিব্যক্তি প্রকাশের জন্য তাঁর চোখকে অত্যন্ত কুশলতার সঙ্গে ব্যবহার করেছেন । এটি তাঁর শ্রেষ্ঠ অভিনয়ের অন্যতম", দ্বারা প্রশংসিত হয়েছিল।[64] চরিত্রটির অভিনয়ের জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার-এর শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরষ্কার-এর জন্য অষ্টম মনোনয়নটি পান। এরপর সেই বছরই তাঁর স্বামী অভিষেক বচ্চন ও শ্বশুর অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তিনি অভিনয় করেন রাম গোপাল বর্মা পরিচালিত ছবি সরকার রাজ ছবিতে যেটি ছিলো বর্মা কতৃক পরিচালিত সরকার-এর পরিশিষ্ট। তিনি এখানে, একটি বড়ো বিদ্যুত উত্পাদক সংস্থার সিইও (প্রধান কার্যকারী আধিকারিক) এর ভূমিকায় যিনি মহারাষ্ট্রের গ্রামাঞ্চলে একটি বিদ্যুত্ উত্পাদন কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দেন, অভিনয় করেন।

২০০৯ সালে হারাল্ড জিউয়ার্টসের গুপ্তচরবৃত্তি কেন্দ্রিক হাস্যরসাত্মক ছবি দ্য পিঙ্ক প্যান্থর ২-এ তাঁকে দেখা যায় অপরাধ-বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ, সোনিয়া সোলানড্রেস-এর ভূমিকায়। পূর্ববর্তী অংশটির মতো এটিও সমালোচকদের দ্বারা ঋণাত্মক মন্তব্য লাভ করেছিল এবং মোটামুটিভাবে বিশ্বব্যাপী বানিজ্য করে ৭৫,৮৭১,০৩২ মার্কিন ডলার আয় করেছিল।[66] ২০০৯ সালের অগাস্ট মাস অবধি তাঁর এস. শঙ্কর[68] পরিচালিত তামিল ছবি এন্ধিরণ-এ রজনীকান্ত-এর বিপরীতে অভিনয় করার কথা ছিল, মণি রত্নমের পরবর্তী ছবি অশকাবনম-এ বিক্রমের সাথে, যেটি একইসঙ্গে হিন্দিতে রাবন নামেও তৈরী হয়, ছবিটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিষেক বচ্চন।[70] এরপর তাঁকে দেখা যাবে সঞ্জয় লীলা বনসালী পরিচালিত গুজারিশ ছবিতে, হৃতিক রোশন[72]-এর বিপরীতে, বিপুল শাহ-এর একশন রিপ্লে-তে অক্ষয় কুমারের বিপরীতে, ফারহান আখতার প্রযোজিত, অভিনয় দেও-এর পরবর্তী ছবিতে এবং বিশাল ভরদ্বাজের পরবর্তী উপস্থাপনায়।[74]

২০০৯ সালে রাই ভারতীয় চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করার জন্য পদ্মশ্রী সন্মানে ভূষিত হন।[76] ওই একই বছর তিনি তাঁর পিতার অসুস্থ্যতার কারণে দ্বিতীয়-সর্বাধিক অর্ডার অফ ফ্রান্স, অরড্রে ডেস আর্টস এট ডেস লেটারস পুরষ্কার গ্রহণে অস্বীকার করেন, কারণ তাঁর বাবা শঙ্কটজনক অসুস্থতায় ভুগছিলেন এবং তিনি তাঁর সমগ্র পরিবারকে নিয়ে পুরস্কার প্রদান অনুস্ঠানে উপস্থিত হতে চেয়েছিলেন।[78] একমাত্র তিনিই অমিতাভ বচ্চন, নন্দীতা দাস এবং শাহরুখ খানের পর চতুর্থ ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি অর্ডার অফ ফ্রান্স-এর জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[80] ২০০৯-এর জুন মাসে ম্যাকাউ-তে অনুষ্ঠিত দশম আন্তর্জাতিক ভারতীয় চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমি পুরস্কারের অনুষ্ঠানে তাঁকে দশকের মহিলা নক্ষত্র-এর সম্মানে ভূষিত করা হয়।

অন্যান্য কাজকর্ম

১৯৯৯ সালে রাই আমীর খান, রানী মুখোপাধ্যায়, অক্ষয় খান্না এবং টুইঙ্কল খান্নার সাথে ম্যাগনিফিসেন্ট ফাইভ নামে একটি বিশ্ব ভ্রমনে যোগদান করেছিলেন।[82] তিনিই প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি ২০০৩ সালে কান চলচ্চিত্র উত্সবে নির্ণায়ক সভার সদস্যপদ লাভ করেন।[84] রাই, দ্য আই ব্যাঙ্ক আসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া, যারা চক্ষু দান-এর জন্য সারা দেশব্যাপী প্রচারকার্য চালায়, তাদের পন্য উপস্থাপক।[86]

২০০৪ সালে তিনি এনডিটিভি-র নববর্ষের একটি বিশেষ পর্বের অনুষ্ঠান জয় জওয়ান-এ জওয়ানদের উত্সাহ দিতে, ১৩,০০০ ফুট উচ্চ এবং বিশ্বের সর্বচ্চো যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন হিমবাহ গিয়েছিলেন।[88] ভারতকে পোলিও মুক্ত করতে ভারত সরকার দ্বারা ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি প্রচার কর্মসূচিতে ২০০৫ সালে তিনি পালস পোলিও-র প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।[90]

২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে রাই হেল্প! টেলিথোন কনসার্ট-এ অন্যান্য বলিউড শিল্পীদের সাথে অনুষ্ঠান প্রদর্শন করেন, ২০০৪ সালের সুনামি ভূমিকম্প কবলিত মানুষদের আর্থিকভাবে সয়াযতার জন্য।[92] ২০০৮ সালে তিনি তাঁর পরিবার-এর সাথে মিলে উত্তর প্রদেশের দৌলতপুর গ্রামে সমাজগত ও শিক্ষাগত দিক থেকে অনগ্রসর মেয়েদের বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তাঁর পরিবার স্কুলটি তাঁর নামেই তৈরী করবেন।[94]

মেলবোর্ন-এ ২০০৬ কমনওয়েলথ গেমস-এর সমাপ্তি উত্সবে ২০১০ সালের কমনওয়েলথ গেমস-এর পক্ষ থেকে আরোও অনেক বলিউড তারকার সাথে তিনি তাঁর অনুষ্ঠান প্রদর্শনের মাধ্যমে ভারতীয় ঐতিহ্যকে সর্বসমক্ষে তুলে ধরেন।[96]

২০০৮ সালের গ্রীষ্মে রাই প্রীতি জিন্টা ও রীতেশ দেশমুখ সহ তাঁর স্বামী ও শ্বশুরের সাথে আনফরগেটেবল ওয়ার্ল্ড টুর (অবিস্মরণীয় বিশ্ব পরিক্রমা)-এ যোগদান করেছিলেন। প্রথম পর্যায়ে তাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, লন্ডন এবং ত্রিনিদাদ ভ্রমণ করেছিলেন। দ্বিতীয় পর্যায়টি ২০০৮ সালের শেষার্ধে সম্পূর্ণ হয়েছিল। অমিতাভ বচ্চনের সংস্থা এবি কর্পোরেশন লিমিটেড ও উইজক্রাফট ইন্টারন্যাশানাল এন্টারটেনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড এই কনসার্টটির আয়োজন করেছিল।[98]

ব্যক্তিগত জীবন


১৯৯৯ সালে ঐশ্বর্য রাই ও বলিউড অভিনেতা সলমন খানের প্রেমপর্বের সুচনা হয়, ২০০১ সালে হওয়া বিচ্ছেদের দিন পর্যন্ত তাঁদের সম্পর্ককে সংবাদ মাধ্যম সর্বদাই প্রচারের আলোয় রেখেছিলো।রাইয়ের উদ্ধৃতি অনুসারে খানের দিক থেকে "অন্যায়ভাবে সুবিধাগ্রহণ (মৌখিক,শারীরিক এবং মানসিক), বিশ্বাসঘাতকতা এবং অসম্মান" সলমনের সাথে তাঁর সম্পর্ক ভঙ্গের কারণ, যদিও খান এ সব কিছুই অস্বীকার করেছেন।[100]পরবর্তীকালে বিবেক ওবেরয়ের সাথে তাঁকে যুক্ত করা হলেও রাই এই সম্পর্কটিকে কখনই স্বীকার করেননি।[102] রাই অভিষেক বচ্চনের সাথে বিবাহ সুত্রে আবদ্ধ হন। তাঁদের সম্পর্ককে নিয়ে বহু জল্পনার পর, ১৪ই জানুয়ারী ২০০৭ তাঁদের বাগদানের তারিখ ঘোষণা করা হয়।ঘোষণাটি অভিষেক বচ্চনের বাবা অমিতাভ বচ্চন[104] দ্বারা স্বীকৃত হয়।২০০৭ সালের ২০শে মে তারিখে দক্ষীণ ভারতীয় হিন্দু বান্ট, যে সম্প্রাদায়ের সাথে রাই যুক্ত, সাম্প্রদায়িক মতে নিয়মে জুড়িটি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সেখানে প্রতিকীভাবে উত্তর ভারতীয় এবং বাঙালি উভয় ধরনের অনুষ্ঠানই হয়েছিল।ব্যক্তিগত উত্সব হিসেবে মুম্বাইতে বচ্চনদের জুহুর বাড়ি প্রতিক্ষায় বিবাহটি অনুষ্ঠিত হয়। বচ্চন এবং রাই পরিবারবর্গের কাছে বিবাহটি ব্যক্তিগত বিষয় হলেও সংবাদ মাধ্যমের যোগদানের ফলে বিষয়টিকে একটি জাতীয় উন্মাদনায় পরিবর্তিত হয়েছিল। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে তাঁদের উত্কৃষ্ট জুটি বলে উধৃত করে।[106][108] রাই তাঁর পরিবারের খুব কাছের মানুষ ছিলেন এবং বিবাহের আগে পর্যন্ত তাদের সাথে মুম্বাইয়ের বান্দ্রাতেই থাকতেন।[110][112]

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম

রাই সমগ্র বিশ্বে ভারতীয় চলচ্চিত্রের বিশেষ জনপ্রিয় তারকা বলে পরিচিত। ২০০৪ সালে টাইম পত্রিকা "১০০ জন শ্রেষ্ঠ প্রভাবশালী ব্যক্তি"[114]-র একজন হিসেবে তাঁকে মনোনীত করে এবং ২০০৩ সালে টাইম পত্রিকার এশিয়া সংখ্যার প্রচ্ছদে তাঁকে দেখা যায়।[116] ২০০৪ সালের অক্টোবর মাসে লন্ডনে-এর মাদাম তুসোর মোমের সংগ্রহশালায় তাঁর মোমের তৈরী মূর্তি প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়।[118] তাঁর শ্বশুর অমিতাভ বচ্চনের পর তিনি হলেন ষষ্ঠ ভারতীয় এবং দ্বিতীয় বলিউড তারকা যিনি এই সন্মান লাভ করেন। ২০০৫ এর ২রা জানুয়ারী, তাঁকে নিয়ে ৬০ মিনিটের একটা রেখাচিত্র তৈরী হয়, যেখানে বলা হয় 'কমপক্ষে হাজারের বেশি ওয়েবসাইট, ইন্টারনেট ভোট এমনকি জুলিয়া রবার্টসের মত অনুসারে"তিনি ছিলেন "বিশ্বের সর্বাপেক্ষা সুন্দরী মহিলা"।[119] সে বছরই তিনি অ্যান্ডি ম্যাকডোয়েল, ইভা লঙ্গোরিয়া এবং পেনেলোপ ক্রুজের সাথে লো'অরিয়াল-এর বিশ্বব্যাপী পণ্য প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃত হন। সেই একই বছরে নেদ্যারল্যান্ডস-এর একটি বিশেষ ধরনের টিউলিপ ফুলের "ঐশ্বর্য রাই" নামে নামকরণ করা হয়। রাই-ই প্রথম ভারতীয় যিনি লেট শো উইথ ডেভিড লেটারম্যান এর মতন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন এবং প্রথম বলিউড ব্যাক্তিত্ব যিনি অপরাহ-র "উইমান অ্যাক্রস দ্য গ্লোব" অংশে আবির্ভূত হয়েছিলেন।২০০৫ সালে হার্পার্স এন্ড কুইন্স-এর বিশ্বের সর্বাধিক সুন্দরী ১০ জন মহিলার তালিকায় তাঁকে নবম স্থানে রাখা হয়।[123] ২০০৯ সালে মার্থা স্টিউওয়ার্টসের উপস্থাপনা মার্থা-তে তাঁকে দেখা যায়।[125] একই বছর টায়রা ব্যাঙ্কস-এর সঞ্চালনায় দ্য টায়রা ব্যাঙ্কস শো-তে তাঁকে দেখা যায়।[127]

পুরস্কার এবং মনোনয়ন

[128] ফিল্মের তালিকা

বছর নাম ভাষা ভূমিকা পাদটিকা ১৯৯৭ ইরুবর তামিল পুষ্পা/কল্পনা অর পেয়ার হো গয়া হিন্দী আশি কাপুর ১৯৯৮ জিন্স তামিল মধূমিতা বিজয়িনী, ফিল্মফেয়ার পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী দক্ষিণ ১৯৯৯ আ অব লট চলে হিন্দী পূজা হাম দিল দে চুকে সনম হিন্দী নন্দিনী বিজয়িনী, ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরষ্কার রাভওই চান্দামামা তেলুগু বিশেষ উপস্থিতি তাল হিন্দী মানসী নির্বাচিত, ফিল্মফেয়ারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার ২০০০ মেলা হিন্দী চম্পাকলি অতিথি শিল্পী হিসেবে কান্দুকন্দেন কান্দুকন্দেন তামিল মীনাক্ষী বালা জোশ হিন্দী শার্লি হামারা দিল আপকে পাস হ্যায় হিন্দী প্রীতি বিরাট নির্বাচিত, ফিল্মফেয়ারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার ঢাই অক্ষর প্রেম কে হিন্দী সাহিবা গ্রেওয়াল মোহব্বতে হিন্দী মেঘা নির্বাচিত,ফিল্মফেয়ারে শ্রেষ্ঠ সহ অভিনেত্রী-র পুরস্কার ২০০১ আলবেলা হিন্দী সনিয়া ২০০২ হাম তুমহারে হ্যায় সনম হিন্দী সুমন অতিথি শিল্পী হিসেবে হাম কিসী সে কম নহি হিন্দী কমল রস্তোগী ২৩ শে মার্চ ১৯৩১: শহীদ হিন্দী বিশেষ উপস্থিতি দেবদাস হিন্দী পার্বতী (পারো) বিজয়িনী, ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরষ্কার শক্তি: দ্য পাওয়ার হিন্দী স্বভুমিকায় বিশেষ উপস্থিতি "ইশক কমিনা" গানটিতে ২০০৩ চোখের বালি বাংলা বিনোদিনী দিল কা রিশ্তা হিন্দী টিয়া শর্মা কুছ না কহো হিন্দী নম্রতা শ্রীবাস্তব ২০০৪ ব্রাইড এন্ড প্রেজুডিস ইংরাজি ললিতা বকশী খাকী হিন্দী মহালক্ষী কিউ...!হো গয়া না হিন্দী দিয়া মালহোত্রা রেনকোট হিন্দী নীরজা নির্বাচিত, ফিল্মফেয়ারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার ২০০৫ শব্দ হিন্দী অন্তরা বশিষ্ঠ/তমন্না বান্টি অউর বাবলি হিন্দী বিশেষ উপস্থিতি "কাজরা রে" গানটিতে মিস্ট্রেস অফ স্পাইসেস ইংরাজি টিলো ২০০৬ উমরাও জান হিন্দী উমরাও জান ধূম ২ হিন্দী সুনেহরি নির্বাচিত, ফিল্মফেয়ারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার ২০০৭ গুরু হিন্দী সুজাতা নির্বাচিত, ফিল্মফেয়ারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার প্রোভক্ড ইংরাজি হিন্দী কিরনজীত আলুওয়ালিয়া দ্য লাস্ট লিজিয়ন ইংরাজি মীরা ২০০৮ যোধা আকবর হিন্দী যোধা বাই নির্বাচিত, ফিল্মফেয়ারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার সরকার রাজ হিন্দী অনিতা রাজন ২০০৯ দ্য পিঙ্ক প্যান্থর ২ ইংরাজি সোনিয়া সোলানড্রেস ২০১০ এন্ধিরান তামিল শর্মিলী চিত্রগ্রহণ চলছে রাভনা তামিল চিত্রগ্রহণ চলছে রাবন হিন্দী চিত্রগ্রহণ চলছে একশান রিপ্লে হিন্দী চিত্রগ্রহণ চলছে গুজারিশ হিন্দী চিত্রগ্রহণ চলছে আরো দেখুন

ভারতীয় চলচ্চিত্রাভিনেত্রীদের তালিকা বচ্চন পরিবার তথ্যসূত্র

[129] বহিঃসূত্রাবলী

[130] [131]

[132] [133] [134]

[135]

[136]

[137] [138]

১৯৭৩ সালে জন্ম

ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া বিজয়িনীরা

ভারতীয় হিন্দুসমূহ

ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতারা

ভারতীয় মহিলা মডেলরা

জীবিত ব্যক্তি

১৯৯৪-এ মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিনিধিবর্গ

মিস ওয়ার্ল্ড বিজয়ীনিরা

পদ্মশ্রী প্রাপকগণ

মাঙ্গালোরের লোকজনেরা

মুম্বাইয়ের লোকজনেরা

তামিল অভিনেতারা

মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী

ম্যাঙ্গালোরের অধিবাসীরা

ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার বিজয়ীরা

টুলু জাতির লোকজনেরা














পিএনবি:ایشوریہ راۓ










[2] ^ [1] [4] ^ "বিশ্বের সর্বাপেক্ষা সুন্দরী মহিলা?"cbsnews.com ২৭শে অক্টোবর, ২০০৭ সালে পুনরুদ্ধারকৃত [6] ^ [5] [8] ^ [7] [10] ^ [9] [12] ^ [11] [14] ^ [13] [16] ^ [15] [18] ^ [17] [20] ^ [19] [22] ^ [21] [24] ^ [23] [26] ^ [25] [28] ^ [27] [30] ^ [29] [32] ^ [31] [34] ^ [33] [36] ^ [35] [38] ^ [37] [40] ^ [39] [42] ^ [41] [44] ^ [43] [46] ^ [45] [48] ^ [47] [50] ^ [49] [52] ^ [51] [54] ^ [53] [56] ^ [55] [58] ^ [57] [60] ^ [59] [62] ^ [61] [64] ^ [63] [66] ^ [65] [68] ^ [67] [70] ^ [69] [72] ^ [71] [74] ^ [73] [76] ^ [75] [78] ^ [77] [80] ^ [79] [82] ^ [81] [84] ^ [83] [86] ^ [85] [88] ^ [87] [90] ^ [89] [92] ^ [91] [94] ^ [93] [96] ^ [95] [98] ^ [97] [100] ^ [99] [102] ^ [101] [104] ^ [103] [106] ^ [105] [108] ^ [107] [110] ^ [109] [112] ^ [111] [114] ^ [113] [116] ^ [115] [118] ^ [117] [121] ^ [120] [123] ^ [122] [125] ^ [124] [127] ^ [126] HIDDEN TEXT This section contains tooltips, titles and other text that are usually hidden in the body of the HTML page. This text should be translated to bring the entire page into your language. HTML ATTRIBUTES টুলু ভাষা মিস ওয়ার্ল্ড মডেল (মানুষ) মণি রত্নম ইরুবর জিন্স (চলচ্চিত্র) বলিউড হাম দিল দে চুকে সনম সঞ্জয় লীলা বনসালী ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার দেবদাস (২০০২ সালের চলচ্চিত্র) ধূম ২ গুরু (২০০৭ সালের চলচ্চিত্র) যোধা আকবর হিন্দী ভাষা ইংরাজি ভাষা তামিল ভাষা বাংলা ভাষা ব্রাইড এন্ড প্রেজুডিস দ্য মিস্ট্রেস অফ স্পাইসেস (চলচ্চিত্র) দ্য লাস্ট লিজিয়ন দ্য পিঙ্ক প্যান্থর ২ মাঙ্গালোর দিল কা রিশ্তা মুম্বই সান্তা ক্রুজ (মুম্বাই) জয় হিন্দ কলেজ চার্চগেট রুপারেল কলেজ উচ্চ মাধ্যমিক (বিদ্যালয়) শংসাপত্র স্থাপত্যবিদ টুলু ভাষা হিন্দী ইংরাজি ভাষা মারাঠি ভাষা তামিল ভাষা স্থাপত্ববিদ্যা মিস ইন্ডিয়া সুস্মিতা সেন মিস ইন্ডিয়া মিস ওয়ার্ল্ড লন্ডন মণি রত্নম তামিল ভাষা ইরুবর মোহনলাল এফইএসটি (বেলগ্রেড) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার দক্ষিণ মোহনলাল জে. জয়ললিতা বলিউড অর পেয়ার হো গয়া ববি দেওল এস. শঙ্কর জিন্স (চলচ্চিত্র) ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরষ্কার দক্ষিণ পুভুক্কুল বৈরামুথু সঞ্জয় লীলা বনসালী হাম দিল দে চুকে সনম সলমান খান অজয় দেবগন Rediff.com মনীষা কৈরালা খামোশী: দ্য মিউজিকাল ফিল্মফেয়ারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার সুভাষ ঘাই তাল (চলচ্চিত্র) অক্ষয় খান্না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্যারাইটি (পত্রিকা) Rediff.com ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার মনসুর খান জোশ (২০০২-এর চলচ্চিত্র) শাহরুখ খান চন্দ্রচুড় সিং সতীশ কৌশিক হামারা দিল আপকে পাস হ্যায় অনিল কাপুর ফিল্মফেয়ারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার আদিত্য চোপড়া মহব্বতে অমিতাভ বচ্চন শাহরুখ খান ফিল্মফেয়ারে শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রীর পুরস্কার কান্দুকন্দেন কান্দুকন্দেন মামুটি অজিত কুমার তাবু (অভিনেত্রী) শাহরুখ খান মাধুরী দীক্ষিত সঞ্জয় লীলা বনসালী দেবদাস (২০০২-এর চলচ্চিত্র) শরত চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দেবদাস কান চলচ্চিত্র উত্সব ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার ফিল্মফেয়ারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার ঋতুপর্ণ ঘোষ চোখের বালি (চলচ্চিত্র) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দিল কা রিশ্তা অর্জুন রামপাল রোহন সিপ্পী কুছ না কহো অভিষেক বচ্চন গুরিন্দর চাধা ইংরাজি ভাষা প্রাইড এন্ড প্রেজুডিস যেন অসটেন ব্রাইড এন্ড প্রেজুডিস মার্টিন হেন্ডারসন এলিজাবেথ বেনেট রাজকুমার সন্তোষী খাকী অমিতাভ বচ্চন অক্ষয় কুমার অজয় দেবগন জয়াপ্রধা ঋতুপর্ণ ঘোষ রেনকোট অজয় দেবগন শব্দ (চলচ্চিত্র) ত্রিকোণ প্রেম সঞ্জয় দত্ত জায়েদ খান পল মায়েদা বার্গেস দ্য মিস্ট্রেস অফ স্পাইসেস (চলচ্চিত্র) মিস্ট্রেস অফ স্পাইসেস চিত্রা ব্যানার্জি দিবাকারুনী ডায়লান ম্যাকডারমট শাদ আলী বান্টি অর বাবলি কাজরা রে অমিতাভ বচ্চন অভিষেক বচ্চন ঐশ্বর্য রাই এবং রজনীকান্ত পেরুর মাচু পিকচু-তে গিয়েছিলেন এন্ধিরণ-এর একটা গানের দৃশ্যের জন্য জে পি দত্ত উমরাও জান (২০০৬-এর চলচ্চিত্র) উর্দ্দু ভাষা উমরাও জান আদা মির্জা হাদি রুসওয়া লক্ষ্ণৌ তরণ আদর্শ যশ রাজ ফিল্মস ধূম ২ সঞ্জয় গাধবি হৃতিক রোশন অভিষেক বচ্চন বিপাশা বসু উদয় চোপড়া হৃতিক রোশন Rediff.com মণি রত্নম গুরু (২০০৭-এর চলচ্চিত্র) ধীরুভাই অম্বানি গরিব থেকে ধনী হয়ে ওঠার ঘটনা এলগিন এবং উইন্টার গার্ডেন থিয়েটার টরন্টো কানাডা নিখাত কাজমী দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া Rediff.com জগ মুন্ধ্রা প্রোভোক্ড (চলচ্চিত্র) কিরনজিত আলুওয়ালিয়া নবীন এনদ্রুস ডগ লেফলার মহাকাব্যিক চলচ্চিত্র দ্য লাস্ট লিজিয়ান স্যার বেন কিংসলে কলিন ফার্থ থমাস স্যাংস্টার হৃতিক রোশন আশুতোষ গোওয়ারিকর যোধা আকবর মুঘল সাম্রাজ্য জ্বালালউদ্দিন মহম্মদ আকবর হিন্দু যোধা বাই রাজীব মাসান্দ ফিল্মফেয়ারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার অভিষেক বচ্চন অমিতাভ বচ্চন রাম গোপাল বর্মা সরকার রাজ সরকার (চলচ্চিত্র) প্রধান কার্যকারী আধিকারিক মহারাষ্ট্র হারাল্ড জোআর্ট দ্য পিনক প্যান্থর ২ রজনীকান্ত এন্ধিরান এস. শঙ্কর বিক্রম (অভিনেতা) মণি রত্নম অশোকাবনম রাবণ অভিষেক বচ্চন সঞ্জয় লীলা বনসালী গুজারিশ হৃতিক রোশন বিপুল শাহ একশন রিপ্লে (চলচ্চিত্র) অক্ষয় কুমার ফারহান আখতাঁর বিশাল ভরদ্বাজ পদ্ম শ্রী আদেশ (সাজসজ্জা) অড্রে দেস আর্টস এট দেস লেটারস অমিতাভ বচ্চন নন্দিতা দাস শাহরুখ খান আদেশ (সাজসজ্জা) ২০০৯ আইফা পুরষ্কার মাকাউ আমীর খান রানী মুখোপাধ্যায় অক্ষয় খান্না টুইনঙ্কাল খান্না কান চলচ্চিত্র উত্সব চক্ষু দান সিয়াচেন হিমবাহ জওয়ান নববর্ষ এনডিটিভি পালস পোলিও ভারত সরকার শিশু-ব্যাধিবিশেষ ভারতবর্ষ ২০০৪ সুনামি ভূমিকম্প বলিউড বচ্চন পরিবার উত্তর প্রদেশ ২০০৬ কমনওয়েলথ গেমস মেলবর্ণ ২০১০ কমনওয়েলথ গেমস প্রীতি জিন্তা রীতেশ দেশমুখ ঐশ্বর্য রাই তাঁর স্বামী অভিষেক বচ্চনের সাথে আইফা পুরষ্কার-এ(২০০৭)। সলমন খান বিবেক ওবেরয় অভিষেক বচ্চন অমিতাভ বচ্চন দক্ষিণ ভারতীয় বান্ট (প্রজাতি) উত্তর ভারতীয় বাঙালী লোকজন জুহু মুম্বই উত্কৃষ্ট জুটি বান্দ্রা টাইম (পত্রিকা) লন্ডন মাদাম তুসদ-এর মোমের সংগ্রহশালা অমিতাভ বচ্চন ৬০ মিনিট ল'অরিয়াল এন্ডি ম্যাকডোয়েল ইভা লঙ্গোরিয়া পেনেলোপ ক্রুজ টিউলিপ দ্য নেদ্যারল্যান্ডস ডেভিড লেটারম্যানের সাথে লেট শো বলিউড দ্য অপরাহ উইনফ্রে শো হার্পার্স এন্ড কুইন মার্থা স্টিওয়ার্ট মার্থা (টিভি শৃঙ্খলা) দ্য টায়েরা বাঙ্কস শো টায়েরা বাঙ্কস ইরুবর তামিল ভাষা অর পেয়ার হো গয়া হিন্দী ভাষা জিন্স (চলচ্চিত্র) ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার দক্ষিণ আ অব লট চলে হাম দিল দে চুকে সনম ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরষ্কার রাভয়ী চান্দামামা তেলুগু ভাষা তাল (চলচ্চিত্র) ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার মেলা (২০০০-এর চলচ্চিত্র) কান্দুকন্দেন কান্দুকন্দেন জোশ (২০০০-এর চলচ্চিত্র) হামারা দিল আপকে পাস হ্যায় ফিল্মফেয়ারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরষ্কার ধাই অক্ষর প্রেম কে মহব্বতে ফিল্মফেয়ারে শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রীর পুরস্কার আলবেলা হাম তুম্হারে হ্যায় সনম হাম কিসিসে কম নহি (২০০২-এর চলচ্চিত্র) ২৩শে মার্চ ১৯৩১: শহীদ দেবদাস (২০০২-এর চলচ্চিত্র) ফিল্মফেয়ারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার শক্তি (২০০২-এর চলচ্চিত্র) চোখের বালি (চলচ্চিত্র) বাংলা ভাষা দিল কা রিশ্তা কুছ না কহো ব্রাইড এন্ড প্রেজুডিস ইংরাজি ভাষা খাকী কিউ...! হো গয়া না কিউ...! হো গয়া না রেনকোট (চলচ্চিত্র) ফিল্মফেয়ারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার শব্দ (চলচ্চিত্র) বান্টি অর বাবলি কাজরা রে দ্য মিস্ট্রেস অফ স্পাইসেস (চলচ্চিত্র) উমরাও জান (২০০৬-এর চলচ্চিত্র) ধূম ২ ফিল্মফেয়ারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার গুরু (২০০৭-এর চলচ্চিত্র) ফিল্মফেয়ারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার প্রভক্ড (চলচিত্র) কিরনজীত আহলুওয়ালিয়া দ্য লাস্ট লেজীয়ন যোধা আকবর মারিয়াম-উজ-জামানি ফিল্মফেয়ারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার সরকার রাজ দ্য পিঙ্ক প্যান্থর ২ এন্ধিরান রাবনা (চলচ্চিত্র) রাবণ একসন রিপ্লে (চলচ্চিত্র) গুজারিশ ভারতীয় চলচ্চিত্রাভিনেত্রীদের তালিকা বচ্চন পরিবার পিএনবি:ایشوریہ راۓ Anulekha (আলাপ) ০৮:৫৫, ২৭ অক্টোবর ২০১০ (ইউটিসি)