ব্যবহারকারী:ARPITAM HALDER

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সাহা ডাইয়ন:

সব চুম্বকের দুটি মেরু থাকে, স্বতন্ত্র ভাবে একটি চুম্বকীয় মেরুকে কখনও পাওয়া যায় নি৷ কিন্তু ঊনবিংশ শতকে কয়েজন বিজ্ঞানীর মনে হয়েছিল যদি ইলেকট্রনের মত কনায় এক রকম বৈদ্যুতিক আধান থাকতে পারে এবং তা বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের উৎস হিসেবেও কাজ করতে পারে তাহলে চুম্বকীয় একমেরু কেন স্বতন্ত্রভাবে থেকে চৌম্বক ক্ষেত্রের উৎস হতে পারে না? এমনকী ১৯৩১ সালে পল ডিরাক একটি গবেষণা পত্রে দেখালেন যে ,তত্বগতভাবে চুম্বকীয় একমেরুর অস্তিত্ব সম্ভব।

এরপর ১৯৩২ সালে নিউট্রন আবিষ্কার হওয়ার পর জানা গেল যে এটার মধ্যেও চৌম্বক ধর্ম বর্তমান। অধ্যাপক মেঘনাদ সাহা অনুমান করেছিলেন যে, সমান প্রাবল্যের দু'টি চুম্বকীয় একমেরুর সমন্বয়ে নিউট্রন গঠিত। একমেরুর প্রাবল্য নির্নয় করবার জন্য সাহা কল্পনা করলেন যে পরস্পরের থেকে সামান্য দূরে রয়েছে এরকম একট বৈদ্যুতিক আধান ও একটি চুম্বকীয় একমেরু নিয়ে একটি জোড় তিনি কল্পনা করলেন এবং দেখালেন যে তড়িৎক্ষেত্র ও চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবে জোড়টি কৌনিক ভরবেগ লাভ করে ৷

এই ভরবেগের মান হল = eg/c

e=বৈদ্যুতিক আধান

g=চৌম্বকীয় একমেরু প্রাবল্য

c=আলোর গতিবেগ

কোয়ান্টাম তত্ত্বকে কাজে লাগিয়ে সাহা সমীকরণ টিকে পূর্নতা দিয়েছিলেন,

সমীকরণটির নতুন রূপ হল,

eg/c=h/4π

h=প্ল্যাংক ধ্রুবক

ডিরাক অবশ্য আগেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পেরেছিলেন,বরাবরই বাঙালিরা একটু পশ্চাদে থেকে যায়, কিন্তু সাহা অনেক সহজ উপায়ে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন।

e , c ও h এর মানকে কাজে লাগিয়ে সহজেই g এর মান পেয়ে গিয়েছিলেন যা প্রায় e এর মানের প্রায় ৭০ গুণ এবং চৌম্বক একমেরুর ভর ইলেকট্রনের ভরের প্রায় ৪৭০০ গুণ। এখান থেকে সাহা নিউট্রনের যে ভর পেয়েছিলেন তা পরীক্ষামূলক মানের প্রায় ১.৫২ গুণ।

অধ্যাপক মেঘনাদ সাহা দ্বারা প্রস্তাবিত এই আধান-একমেরু জোড় কনা পদার্থবিজ্ঞান বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকার কারনে একে "সাহা ডাইয়ন " বলা হয়।