ব্যবহারকারী:আলোর প্রদীপ/খেলাঘর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আলোর প্রদীপ সংগঠনের ইতিকথা


+--------------


“শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড”এই কথাটি সবজন বিদিত। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি, কোন কালে/যুগে উন্নতির চরম শিখরে উঠতে পারেনা। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি তত বেশি উন্নত,এ কথা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু বতমানে আমাদের দেশে শিক্ষার হার উন্নতির দিকে ধাবিত হলেওতা জনসংখ্যার মোট আনুপাতিক হারে খুবই নগন্য। ঠিক তেমনি সোনাতলা উপজেলার কাবিলপুর গ্রামেও এর ব্যতিক্রম নয়। তাছাড়া অধিকাংশ শিক্ষাথী প্রাথমিক পযায়ে ঝড়ে পড়ছে। এর অন্যতম প্রধান কারন দারিদ্র্যতা। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, গ্রামের অধিকাংশ শিক্ষাথীকে শুধুমাএ অথের অভাবে প্রাথমিক পযায়ে ঝড়ে পড়তে হচ্ছে। এসব সাবিক দিক বিবেচনায় আমরা গ্রামের কতিপয় শিক্ষিত যুবকরা এ সমস্যা প্রতিকারের উদ্যাগ গ্রহন করি। আর এ উদ্যাগের প্রতিফলিত রুপ হচ্ছে “আলোর প্রদীপ”নামক সামাজিক উন্নয়নমুলক সংগঠন।অএ সংগঠনটি গ্রামেরদরিদ্র্য শিক্ষাথীদের প্রাথমিক সমাপনি পযন্ত শিক্ষাক্ষেত্রে যাবতীয় ব্যয়ভার বহন এবং তাদের দেখাশুনার উদ্দেশ্য নিয়ে “সুন্দর জীবনের প্রত্যায়ে’এই মন্ত্রদীপ্ত শ্লোগানকে বুকে ধারন করে গত ১১/১০/২০০৮ইং তারিখ হতে মাএ দুজন সদস্যর ২/=(দুই টাকা) পুজি নিয়ে অ-আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। সংগঠনটি তার নিজ আদশবলে ধীরে ধীরে অত্র এলাকায় একটিসম্মানজনক নিজস্ব অবস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।

 সংগঠনের আথিক বিষয়ঃ-

সংগঠন কোন ব্যাক্তির একক বা কোন সরকারি/বেসরকরী প্রতিষ্ঠানের অথ্ দ্বারা পরিচালিত হয় না।অত্র সংগঠনের প্রত্যেক সদস্য মাসে ১০/=(দশ টাকা) দান করে। মূলত এই দানের অথ্ দ্বারাই সংগঠনের সকল কায্ক্রম পরিচালিত হয়।{যাত্রা শুরুতে সাপ্তাহিক ২/=(দুই টাকা)দানের পরিমান নিধারিত থাকলেও পরবতীতে তা মাসিক ১০/=(দশ টাকা)করা হয়}।তবে সংগঠন কোন ঋণসেবা কায্ক্রম পরিচালনা করে না ।

সংগঠনের সারবিক পরিকল্পনাঃ-

সংগঠনটি মূলত গ্রামের অসহায় দারিদ্র্য শিক্ষাথীদের কল্যানের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও পরবতীতে এ বিষয়টির সহিত আরো বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়।

পরিকল্পনা নিম্নরুপঃ-

১।নিরক্ষতা দূরীকরন। ২।সচেতনতামূলক পরিবেশ তৈরিকরন। ৩।মাদক প্রতিরোধে কায্কর ভূমিকা গ্রহন। ৪।দারিদ্র্য বিমচনে বিভিন্ন আত্নকম্সংস্থান ও কমমূখী শিক্ষার ব্যাবস্থা করা। ৫।বাল্য বিবাহ রোধ করা। ৬।শিশুশ্রম প্রতিরোধ করা।

সংগঠনের কায্ক্রম পরিচালনাঃ-

“আলোর প্রদ্বীপ”সম্পূন অ-রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবামূলক সংগঠন।এর অন্তরের মূলবাণীই হচ্ছে জনসেবা।সংগঠন তার নিজস্ব আদশবলে নিজস্ব গঠনতন্ত্রানুসারে পরিচালিত। সংগঠনের সাবির্ক কার্যক্রমে কোন প্রতিষ্ঠান, সংঘ বা ব্যক্তির কতৃত্ব কোনভাবেই গ্রহণ যোগ্য নয়। সংগঠন প্রাথমিকভাবে এলাকাভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সংগঠন মূলত বর্তমানে ৩টি উপ-কমিটি দ্বারা সাবির্ক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।   সংগঠন পরিচালনাঃ-

সংগঠন পরিচালনার জন্য ১৫সভ্যবিশিষ্ট একটি কাযপরিষদ আছে। এছাড়াও ১০ সভ্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ(এ সংখ্যা পরিবতনশীল) এবং সাবিক কাযক্রম পরিচালনার জন্য ৫টি উপ-কমিটিরয়েছে।সংগঠন পরিচালনার জন্য কাযপরিষেদর সদস্যগন সাধারন সদস্যদের প্রত্যেক্ষ ভোটে নিবাচিত। উপদেষ্টা পরিষদ কাযপরিষদ কতৃক মনোনিত এবং উপ-কমিটিগুলো কাযপরিষদ ও চেয়ারম্যান কতৃক গঠিত। কাযপরিষদ সংগঠনের গঠনতন্রানুসারে সংগঠন পরিচালনা করে। সাধারন সদস্যদের প্রত্যেক্ষ ভোটে নিবাচিত কাযপরিষদের মেয়াদ ২ বছর। উপদেষ্টা পরিষদের মেয়াদ ৩ বছর এবং উপ-কমিটিগুলোর মেয়াদ ২বছর। বতমানে ৪থ কাযপরিষদ সংগঠন পরিচালনা করছে। এছাড়াও সংগঠনকে সহযোগীতার লক্ষ্য একটি “কিশোর স্বেচ্ছাসেবী দল”রয়েছে।যা সংগঠনের মূল অংশ নয়।