ব্যবহারকারী:অনিক কুমার/খেলাঘর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

পৃথিবীতে সবথেকে বেশী ভাবতে হয় সম্ভবত নিজেকে নিয়ে কোনোকিছু লিখার সময়। হয়তো দেখা যায়, যে লেখকরা নিজের হাতের কাছে কলম আর খাতা পেলেই নতুন নতুন আইডিয়ার মধ্যে কোনটা বাদ দিয়ে কোনটা লিখবে ওটা ভাবতে থাকে তারাই হয়তো নিজের সম্পর্কে লিখার সময় ভাবতে থাকে যে, কী লিখবে। যদিও আমি লিখতে নয় বরং ভাবতে বেশী ভালোবাসি তবুও সমস্যাটা আমার মধ্যেও দেখা দেয়। ��নিজের সম্পর্কে বলার সময় সর্বপ্রথম না হয় আমার নাম নিয়েই বলি। হয়তো ভাববেন নাম দিয়ে কী আসা যায়। তবুও ভেবে দেখেন, রবীন্দ্রনাথের নাম যদি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর না হয়ে ছলিমুদ্দিন কুদ্দুস আলী জয় হতো তাহলে একটু কেমন কেমন লাগতো না। যাই হোক, আমার নাম অনিক কুমার রাজ। রাজ বলেও ডাকতে পারেন হাজারহোক নামে কী আসা যায়। ��� ��এবার আসি আমার বয়স নিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই হয়তো ভাববেন আমার বয়স জেনে কী হবে তবুও আপনার সাথে আমার যদি কখনো কথা হয় তাহলে আপনি আমাকে তুমি, তুই নাকি আপনি বলে ডাকবেন ওটা অনেকটাই নির্ভর করে আমার বয়সের উপর। (ভাগ্য ভালো আমরা বাঙালী হিসেবে বাংলার মতো একটা ভাষা পেয়েছি যদি অন্য কোনো ভাষায় কথা বলতাম তাহলে হয়তো অনেক সমস্যা হতো। যেমন আমরা জাপানিজ ভাষায় কথা বললে আপনাকে পাঁচবার ভাবতে হতো যে আমাকে কী বলে সম্বোধন করবেন। জাপানিজ ভাষায় সম্বোধন পাঁচটা---অতি সম্মানিত আপনি, সম্মানিত আপনি, তুমি, তুই, নিম্নশেণীর তুই।) যাক এখন আসল টপিকে আসি। আসলে আমি যদি লজিকালি বলি তাহলে আমার বয়স প্রায় ১৩৭২ লক্ষ বিলিয়ন বছর। এখন আপনি হয়তো আবার ভাবতে বসলেন এটা কীভাবে। আসলে পদার্থবিজ্ঞানের ভর-শক্তির মিলিত নিত্যতা অনুযায়ী, আমার বয়স মহাবিশ্বের বয়সের সমান। যদি আপনার বোঝার সুবিধার জন্য বলি তাহলে তাহলে প্রচলিত রীতিতে আমার বয়স প্রায় ১৬ বছর ৮ মাস। যাক বয়স গেলো এখন কী নিয়ে বলা যায়। ��উমম। এখন দেখি আমার মুড নিয়ে বলি। আমার এতক্ষণের ভ্যাদর ভ্যাদর শুনে স্বাভাবিকভাবেই আপনার মনে হতে পারে যে, আমি সবসময় হাশিখুশি আর ফ্রেন্ডলি থাকি। বাট আসলে কিন্তু না। এম-থিওরী পড়ার সময় আমি জেনেছিলাম, এই মহাবিশ্বের সকল কণাই মূলত স্ট্রিং বা শক্তিকণার একেক ধরণের কম্পনের ফল। অপ্রিয় হলেও সত্য আমার পক্ষে আমার ব্রেনের নিউরনের স্ট্রিংগুলোর কম্পন এখনো বোঝা সম্ভব হয়ে উঠে নি। তাই আমি কোনসময় কোন মুডে থাকবো তা বলা মুশকিল কিন্তু অধিকাংশ সময়ই আমি হাশিখুশি, নরমাল আর গাম্ভীর্যতাহীন মোডে থাকি। ����� ��এখন আসি আমার জীবনের লক্ষ্য নিয়ে। সানসিল্কের একটা অ্যাডে বলা হয়েছিলো, জীবন একটাই তাই বলে কী লক্ষ্যও একটা। এইজন্য আমার লক্ষ্য প্রায় ১৪-১৫টা ���� এর মধ্যে যেমন পদার্থবিজ্ঞানী হওয়া, লেখক হওয়া, প্রফেসর হওয়া আছে তেমনি মানবতা নিয়ে কাজ করা, সশস্ত্র বাহিনী উন্নয়নে কাজ করা ইত্যাদী ইত্যাদীও আছে। যদি ডিটারমিনিজম থিওরী সত্যি হয় তাহলে আমি জানি না আমি আমার লক্ষ্যগুলোতে পৌছাতে পারবো কিনা কারণ তখন ওতে অন্য কারো হাত থাকবে। ওহ! ডিটারমিনিজম থিওরী সম্পর্কে বলা হলো না। আসলে ডিটারমিনিজম থিওরী অনুযায়ী, মহাবিশ্ব ও এর অন্তর্গত সবকিছুর ভবিষ্যৎ নির্দিষ্ট করে নির্ধারন করা। উনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে ফরাসী বিজ্ঞানী মার্ক্যুইস দ্য লাপ্লাস থিওরীটার কথা বলেছিলো।।