বৈঠামনিথি মুদুম্বাই কোথাইনায়কি আম্মাল

বৈঠামনিথি মুদুম্বাই কোথাইনায়াকি আম্মাল, যিনি ভাই মু কো নামে সমধিক পরিচিত, ছিলেন একজন ভারতীয় লেখক, ঔপন্যাসিক এবং সাংবাদিক যিনি প্রথম মহিলা যিনি একটি তামিল ম্যাগাজিনের সম্পাদকীয় বোর্ডের অংশ ছিলেন। তিনি ১১৫টি বই লিখেছেন এবং একটি মাসিক তামিল পত্রিকা জগনমোহিনী প্রকাশ করেছেন।

কোথাইনায়াকি ছিলেন তামিল ভাষার প্রথম মহিলা লেখক যিনি গোয়েন্দা উপন্যাস লিখেছিলেন। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন এবং সমাজসেবা, সঙ্গীত রচনা, এবং কথাসাহিত্য লেখার মতো ক্ষেত্রে পারদর্শী ছিলেন। কোথাইনয়াকিও ছিলেন একজন নারীবাদী এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি সমসাময়িক লেখকদের দ্বারা "কথাসাহিত্যের রানী" হিসাবে সমাদৃত হন। </link> তবে তামিল সাহিত্যের ইতিহাস সম্পর্কিত বইগুলিতে কোথাইনায়াকি কখনোই ভালভাবে স্বীকৃত ছিলেন না।

জীবন

কোথাইনয়াকি ১৯০১ সালের ১ ডিসেম্বর তামিলনাড়ুর তৎকালীন চিংলেপুট জেলার নির্ভালুর গ্রামে একটি ধর্মপ্রাণ বৈষ্ণব পরিবারে এন এস ভেঙ্কটাচারি এবং পাট্টম্মালের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। মহান সন্তান সাধু অন্ডালের নামানুসারে তার নাম রাখা হয়েছিল কোঠাই। তার এক বছর বয়সে তার মা মারা যান এবং তারপরে তাকে বিভিন্ন আত্মীয়স্বজন লালনপালন করেন।

তিনি নারীমুক্তি এবং সামাজিক সংস্কারের সমর্থক ছিলেন এবং এটি তার লেখক হওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে জাগিয়ে তোলে। কোথাইনায়কির প্রথম নাটক, ইন্দিরা মোহনা ১৯২৪ সালে নোবেল প্রেস দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল। তিনি দ্য হিন্দু, স্বদেশমিত্রন (তামিল) এবং নিউ ইন্ডিয়াতে তার নাটকের জন্য প্রশংসনীয় পর্যালোচনা পেয়েছিলেন। তার প্রথম নাটকের সাফল্য কোথাইনয়াকিকে তার সাহিত্য যাত্রা চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেছিল। তিনি পড়তে এবং লিখতে শিখেছিলেন, তার বন্ধু পট্টম্মালের সাহায্যে। তার অনেক নাটকে সামাজিক সংস্কারের বিষয়বস্তু বিদ্যমান ছিল, যা বহুবার মঞ্চস্থ হয়েছিল। তার নাটকগুলোর মধ্যে, অরুণোদয়ম, বৎস কুমার এবং দয়ানিধি জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। কোঠানায়কী বেশ কিছু ছোটগল্প, তিনটি নাটক এবং দুটি বইও প্রকাশ করেছেন।