বেল আমলা বড় শিবালয় (শিব মন্দির)
বারো শিবালয় মন্দিরটি জয়পুরহাটের বেলআমলা গ্রামে অবস্থিত । বারোটি শিবমন্দির প্রাচীন স্থাপত্য শিল্পের সাক্ষ্য বহন করে আজো দাঁড়িয়ে আছে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]বারো শিবালয়ের সঠিক ইতিহাস লিপিবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া না গেলেও ধারণা করা হয় যে রাজা বল্লাল সেন শিবের উপাসক ছিলেন বলে তিনি এই মন্দির স্থাপন করেন। আবার কারো কারো মতে, ইতিহাস পরিচিত জগৎ শেঠের মতো বিত্তবান ছিলেন রাজীব লোচন মন্ডল নামে এক ধনাঢ্য ব্যক্তি।তিনি ছিলেন ধার্মিক কায়েস্থ ।যিনি ১৭০০ সালে বারো শিবালয় মন্দিরটি নির্মাণ করেন।[১] বেলআমলা হতে প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্য মতে এবং সেখান থেকে সংগৃহীত বিভিন্ন প্রকার চন্ডীমূর্তি, সূর্যমূর্তি, বাসুদেবমুর্তি দেখে ধারণা করা হয় এককালে এখানে জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মাবলীম্বদেরও তীর্থস্থান ছিল। রাজীব লোচন মন্ডলের বংশের অধস্তন জ্ঞানেদ্রনাথ চৌধুরী একসময় এখানকার বিশাল জমিদারির মালিক ছিলেন। পরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্তিক জমিদারি নিলামে উঠার পর থেকে বেলআমলা গ্রামে জমিদারির পতন হয়। পর্যায়ক্রমে গতিনাথ দত্ত চৈধুরী ও তার পুত্র গিরীলাল দত্ত চৌধুরীর সময় জমিদারি সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
উৎসব
[সম্পাদনা]প্রতিবছর ফাগুনমাসের চতুর্দশীতে শিবরাত্রি এ বারো শিবালয় কে ঘিরে পূজা অর্চনা আয়োজিত হয়। শিবরাত্র উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় বিশাল মেলা। মেলায় মানত, শিবদর্শন, গীতা পাঠ, উলুধ্বণি আর ঐতিহ্যবাহী ঢাক ঢোলের বাজনায় সারা এলাকা মুখরিত হয়। এছাড়া মেলায় দেশের সুখ-সমৃদ্ধি ও মানব কল্যাণে শিবঠাকুর কে সন্তুষ্ঠ করতে আলো আধারির মাঝে কীর্তন গানের অনুষ্ঠান করা হয়। মেলায় শাখা-সিদূর, পৈতা, তিলক, পুতির মালা, কাঠের জালি, পুতুল, খেলনা, ঘর সাজানোর জিনিসপত্রসহ, বিভিন্ন প্রকার আসবাব-পত্র বেচা কেনা জমে উঠে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Joypurhat, জাগ্রত জয়পুরহাট :: Jagroto। "বারো শিবালয় মন্দিরের ১২ টি জ্যতিলিঙ্গের নাম"। Jagroto Joypurhat (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৭-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৪।