বীরাঙ্গনা: উইমেন অব ওয়ার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বীরাঙ্গনা: উইমেন অব ওয়ার
বাণিজ্যধর্মী পোস্টার
রচয়িতালিসা গাজী
সামিনা লুৎফা
উদ্বোধনের তারিখ১ মার্চ ২০১৪ (2014-03-01)

বীরাঙ্গনা: উইমেন অব ওয়ার একটি ব্রিটিশ একাঙ্কিকা নাটকবাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বেঁচে যাওয়া ও নির্যাতিতা মহিলাদের না বলা সত্য কাহিনী এতে তুলে ধরা হয়েছে। এ যুদ্ধে দুই লক্ষেরও অধিক মহিলা ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকারে পরিণত হন। যুদ্ধের নায়িকাদের দৃষ্টিভঙ্গীকে বর্ণনাধর্মী নাটকীয় উপস্থাপনার মাধ্যমে উৎসর্গ করা হয়েছে।

কুশীলব[সম্পাদনা]

  • লিসা গাজী - মরিয়ম
  • অমিত রহমান - বহুবিধ লুক্কায়িত চরিত্র
  • পরিচালক: ফিলিজ ওজকান
  • নকশাকার ও অঙ্কনশিল্পী: কেইটলিন অ্যাবট
  • আলোকসজ্জ্বাকার (ইংরেজি সংস্করণ): সালভাতোর স্কোলো
  • আলোকসজ্জ্বাকার (বাংলা সংস্করণ): নাসিরুল হক খোকন
  • ভিডিওগ্রাফার: ফাহমিদা ইসলাম
  • শব্দ চিত্রায়ণ: আহসান রেজা খান
  • আর্টওয়ার্ক: কেইটলিন অ্যাবট (নায়েব উদ্দীন আহমেদের কাছ থেকে মূল স্থিরচিত্র)
  • প্রযোজক: কমলা কালেকটিভের বাফি শার্প
  • ভোকাল: সোহিনি আলম
  • কণ্ঠশিল্পী: ফয়সাল গাজী
  • মূল কবিতা: তারফিয়া জয়জুল্লাহ

কাহিনী ক্ষেত্র[সম্পাদনা]

বীরাঙ্গনা: ওম্যান অব ওয়ার লোককাহিনী কমলার গল্পের বর্ণনার মাধ্যমে শুরু হয়। এরপর এতে গ্রাম্য কিশোরী মরিয়মের গল্প (লিসা গাজী) সম্পর্কে বলা হয়। মরিয়মের সবেমাত্র নতুন বিয়ে হয়েছে ও প্রথম সন্তান আগমনের প্রতীক্ষারত অবস্থায় ছিল। তারপর যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে ও মরিয়ম পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে ধৃত হন। গ্রাম্য জীবন থেকে মরিয়ম আটক হয় ও তাকে নির্যাতন শিবিরে প্রেরণ করা হয়।

তার গল্পে প্রথমদিককার টুকরো স্মৃতিতে সংযুক্তি ছিল: বাড়ীর কাছের পুকুরে সাঁতার শেখা; এলাকার ছেলেকে বিয়ে করা যাকে সে ‘তেঁতুল মানুষ’ নামে ডাকতো; সন্তান ধারনের প্রথম অনুভূতি। শিবিরে থাকাকালে অন্যান্য মহিলাদের সাথে গল্প করার কথা বলেন। তারা প্রত্যেকেই হত্যা, অপহরণ ও ধর্ষণের বিষয়ে নিজেদের দুঃখের কাহিনী তুলে ধরতো।

পটভূমি[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতার লক্ষ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর যুদ্ধ কৌশলের অংশ হিসেবে মহিলারা ধর্ষণের শিকারে পরিণত হন। বীরাঙ্গনা শব্দের অর্থ হচ্ছে - সাহসী নারী বা বীর নারী।[১] হিসেব করে দেখা গেছে যে, দুই লক্ষেরও অধিক নারী ও বালিকা পরিকল্পিতভাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং তাদের বাংলাদেশী সহযোগী কর্তৃক ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার হন। যুদ্ধ শেষ হবার পর হাজার হাজার নারী এবং বালিকাদেরকে নির্যাতন শিবির ও সেনা ব্যারাক থেকে উদ্ধার করা হয়।[২] পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর যুদ্ধ কৌশলের অংশ হিসেবে ধর্ষণ করা হয়।[১] গবেষকেরা বলেছেন, বাংলাভাষী সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদেরকে ভীত-সন্ত্রস্ত করার উদ্দেশ্যে ধর্ষণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এরফলে অগণিত যুদ্ধশিশুর জন্ম হয় ও নির্যাতনের শিকার মহিলাদেরকে সমাজচ্যূত করা হয়। ‘বীরাঙ্গনা’ শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘সাহসী নারী’ বা ‘যুদ্ধের নায়িকা’।[৩]

যখন লিসা গাজীর বয়স ১৭, তখন তার বাবা একটি গল্প শোনাচ্ছিলেন। ১৯৭১ সালের যুদ্ধ শেষ হবার পর তার বাবা রাস্তা পারাপারের সময় নারীপূর্ণ ট্রাকের বহর দেখতে পান। তারা তাদের গ্রামের বাড়ী থেকে ধৃত হন ও নির্যাতন শিবিরে তাদেরকে রাখা হয়েছিল। তাদের অধিকাংশই পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুকালীন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ছিলেন। অবশেষে মুক্ত ও দাঁড়ানো অবস্থায় ঐ ট্রাকগুলোতে তিনি তাদেরকে শয়ে শয়ে দেখেন।[৪]

উন্নয়ন[সম্পাদনা]

‘আমার এ নাটক পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হাজার হাজার নারীর কণ্ঠস্বরকে তুলে ধরেছে। সমাজব্যবস্থা ঐ নারীদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে, তাঁদের গল্পে নীরব ভূমিকা পালন করেছে ও তাঁদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করেছে।

সামাজিকভাবে একটি রক্ষণশীল সমাজে ধর্ষণের কলঙ্ক ও সমষ্টিগত লজ্জ্বা খুবই ব্যাপক ছিল। দূর্দশাগ্রস্ত ঐ নারীরা নির্যাতনের বিষয়ে তুলতে পারেনি। যদি তাঁরা তা করতো তাহলে তাঁরা নিজেদের লোকদের কাছেই অবমাননার শিকারে পরিণত হতো।

এ নাটকটি কেবলমাত্র সাংস্কৃতিকভাবেই গুরুত্ত্বপূর্ণ নয়; বরং শিক্ষাগতভাবেও এর তাৎপর্য রয়েছে। ঐ বীরাঙ্গনারা এখন বয়সের ভারে ন্যূহ ও মৃত্যু তাঁদের দরজায় কাড়া নাড়ছে এবং তাঁদের মৃত্যুর পাশাপাশি তাঁদের গল্পেরও সমাপ্তি ঘটবে।

তাঁরা দীর্ঘকাল নীরব রয়েছেন - বিশ্ববাসীর কাছে এখন তাঁদের গল্প শোনা অত্যন্ত প্রয়োজন।’

- লিসা গাজী, অভিনেত্রী ও বীরাঙ্গনা: ওম্যান অব ওয়ার গ্রন্থের লেখিকা।[১]

বীরাঙ্গনা: ওম্যান অব ওয়ারের ভিত্তি লিসা গাজীর ধারণা ও গবেষণার উপর গড়ে উঠেছে। এছাড়াও, তিনি নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন ও তার রচিত নাটকের অন্যতম নাটক এটি।[৫][৬] ২০১০ সালে গাজী বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে[৪] ২১ বীরাঙ্গনার[৩][৫] সাথে সাক্ষাৎকার নেন[২] ও তাদের পরিচিতি চলচ্চিত্রাকারে সংরক্ষণ করেন।[২]

আগস্ট, ২০১৩ সালে গাজী তার লন্ডনভিত্তিক থিয়েটার ও আর্ট কোম্পানি[৭] কমলা কালেক্টিভকে[২] সাথে নিয়ে ঐ নারীদের কাছে যান। তাদের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে একটি আরএন্ডডি পরিবেশিত নাটকের সূচনা ঘটে। ভিডিওগ্রাফারের সহায়তায় পাঁচ বীরাঙ্গনার বক্তব্যকে ঘিরে তারা তা চলচ্চিত্রায়ণ করে।[২] স্থানীয় নাট্যরচয়িতাকে নিয়ে একাঙ্কিকা নাটক রচনার উপযোগী পাণ্ডুলিপি তৈরিতে অগ্রসর হয়।[৪] তাদেরকে চরিত্রাকারে নাটকে সন্নিবেশন করা হয়।[২] এ নাটকের মাধ্যমে কমলা কালেক্টিভের আত্মপ্রকাশ ঘটে।[৪]

এপ্রিল, ২০১৪ সালে বার্মিংহাম মেইলে গাজী বলেন, ‘আমার নাটক পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হাজার হাজার নারীর কণ্ঠস্বরকে তুলে ধরেছে। সমাজব্যবস্থা ঐ নারীদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে, তাঁদের গল্পে নীরব ভূমিকা পালন করেছে ও তাঁদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করেছে। সামাজিকভাবে একটি রক্ষণশীল সমাজে ধর্ষণের কলঙ্ক ও সমষ্টিগত লজ্জ্বা খুবই ব্যাপক ছিল। দূর্দশাগ্রস্ত ঐ নারীরা নির্যাতনের বিষয়ে নিজেদেরকে তুলতে পারেনি। যদি তা করতো তাহলে তাঁরা নিজেদের লোকদের কাছেই অবমাননার শিকারে পরিণত হতো। এ নাটকটি কেবলমাত্র সাংস্কৃতিকভাবেই গুরুত্ত্বপূর্ণ নয়; বরং শিক্ষাগতভাবেও এর তাৎপর্য রয়েছে। ঐ বীরাঙ্গনারা এখন বয়সের ভারে ন্যূহ ও মৃত্যু তাঁদের দরজায় কাড়া নাড়ছে এবং তাঁদের মৃত্যুর পাশাপাশি তাঁদের গল্পেরও সমাপ্তি ঘটবে। তাঁরা দীর্ঘকাল নীরব রয়েছেন - বিশ্ববাসীর কাছে এখন তাঁদের গল্প শোনা অত্যন্ত প্রয়োজন।’[১]

নির্মাণ[সম্পাদনা]

‘বীরাঙ্গনা: ওম্যান অব ওয়ার’ ফিলিজ ওজকানের পরিচালনায় এবং সামিনা লুৎফা[৫] ও লিজা গাজীর চিত্রনাট্যে নির্মিত হয়েছে।[৮]

এ নাটক নির্মাণে বীরাঙ্গনাদের অন্তর্মুখী অভিব্যক্তিকে বৈষয়িক অনুভূতিরূপে তুলে ধরে তাদের সকল গল্পকে ব্যবহার করা হয়েছে। তাদের অভিজ্ঞতা ছিল যুদ্ধকালীন ও যুদ্ধ-পরবর্তী সময়কালীন।[৭] এটি বীরাঙ্গনাদের ধর্ষণ, আটকানো, নির্যাতনের গল্পকে ঘিরে চিত্রিত। যুদ্ধকালীন যৌন নির্যাতনের শিকারে পরিণত নারীদেরকে তৎকালীন সরকারের সম্মাননা প্রদানের বিষয়ও এতে রয়েছে।[৬]

এতে বাংলা পল্লীগাঁথার অ্যানিমেশন ও ফ্ল্যাশব্যাকের ন্যায় মিশ্র মাধ্যম ব্যবহার করা হয়েছে। শেষদিকে বীরাঙ্গনা মহিলাদের ক্যামেরায় তাদের সরাসরি বক্তব্য ভিডিও ফুটেজে ধারণ করে দীর্ঘসময় দেখানো হয়। এতে সম্মান হারানোর ন্যায় কলঙ্কজনক অধ্যায়ের ফলে তাদের সন্তানদের উপহাসের পাত্র হওয়াসহ শেষকৃত্যে কারও না আসার বিষয়ে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ততার কথা বলা হয়।[৪]

মঞ্চায়ন[সম্পাদনা]

২০১৩ সালে ঢাকায় নির্বাচিত দর্শকমণ্ডলীর কাছ থেকে প্রতিক্রিয়ার জন্যে আরএন্ডডি পরিবেশনা ‘বীরাঙ্গনা: ওম্যান অব ওয়ার’ প্রদর্শিত হয়।[৯]

আগস্টের শেষে ‘বীরাঙ্গনা: ব্রেভ ওম্যান’ শীর্ষক গবেষণা ও উন্নয়নের চলচ্চিত্রায়ণ প্রদর্শনের পর এ পরিবেশনা যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য দেশে চালুর ঘোষণা দেয়।[৭]

মার্চ, ২০১৪ সালে ঢাকার স্বাধীনতা যুদ্ধ যাদুঘরে কমলা কালেক্টিভ তাদের পরিবেশনা প্রথমবারের মতো মঞ্চস্থ করে।[৭] ৯ এপ্রিল লন্ডনে প্রথম নাট্যানুষ্ঠান করে।[৩] ওল্ডহাম, বার্মিংহাম ও লীডসে প্রদর্শনের পূর্বে লন্ডনের লস্ট থিয়েটারে এটি মঞ্চস্থ হয়।[৪]

ডিসেম্বর, ২০১৪ সালে এ পরিবেশনা গুলশান ক্লাব, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জাতীয় যাদুঘর মিলনায়তন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হল, সিরাজগঞ্জের মনসুর হল এবং চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউটে মঞ্চস্থ হয়েছিল।[৫][৯]

সম্মাননা[সম্পাদনা]

‘বীরাঙ্গনা: ওম্যান অব ওয়ার’ লন্ডনভিত্তিক মর্যাদাপূর্ণ থিয়েটার পুরস্কার হিসেবে অফি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। এ নাটকটি ডেফি ঐতিহ্যগত শ্রেণীতে এ নাটককে তালিকায় নেয়া হয়।[৬]

প্রতিক্রিয়া[সম্পাদনা]

রেডহটকারি.কম বলে যে, ‘বীরাঙ্গনা: ওম্যান অব ওয়ার নির্মাণের ফলে শতশত হাজারো হাজারো মহিলাকে ঐ সময়ে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ ও নির্যাতনে শক্ত ও প্রয়োজনীয় ভিত্তি এনে দিয়েছে। আকরাম খান বলেন, এ নাটকটি শুধুমাত্র সাংস্কৃতিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ নয়; বরং শিক্ষাগতভাবেও সমধিক গুরুত্ত্বপূর্ণ - ইতিহাসের পর্দায় ঢেকে যাওয়া নৃশংসতাকে পুনরায় উন্মোচন করেছে।’[৮]

‘দ্য পাবলিক রিভিউজের’ ক্রিস্টোফার হং কর্তৃক নাটকটি ৩.৫/৫ রেট পায় ও তিনি বলেন, ‘... এটি নিন্দা জানাতে কার্পণ্য করেনি বরং যা করতে বলা হয়েছে তা তাঁদের অর্জিত গল্প বলার দিকে সাধারণ দৃষ্টিপাত করেছে।’[১০]

দ্য ডেইলি স্টারের সৌরভ দে বলেন, ‘৬০-মিনিটের নাটকটি বেশ জোড়ালো ছিল। এতে কৃত্রিমতা বা অপ্রয়োজনীয় বিষয়কে উপস্থাপন করা হয়নি ও অভিনয়শৈলীর কোন স্থানেই দর্শকদেরকে বিরক্তির পর্যায়ে নিয়ে যায়নি। এ পরিবেশনা দেশের বিভিন্ন অংশে মঞ্চস্থ করার ফলে বীরাঙ্গনারা তাঁদের প্রাপ্য সম্মান ফিরে পাবেন বলে বিশ্বাস করেন। কমলা কালেক্টিভ নিশ্চিতভাবেই ইতিহাসের উপেক্ষিত চতুর্থ বিষয়টি তাদের শিল্পকলার অংশ হিসেবে ধরে তুলতে স্বার্থকতা দেখিয়েছেন।’[৯]

দ্য গার্ডিয়ানের তাহমিমা আনাম একে ‘একটি শক্তিশালী নতুন নাটক ... যুগান্তকারী পরিবেশনা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।[৪] দ্য স্টেজ একে ‘উজ্জ্বল ও প্রভাবিত বিষয়’ বলে।[১১] ওয়ান ওয়ার্ল্ডের ড্যানিয়েল নেলসন বলেন, ‘এটি বুদ্ধিমত্তাশৈলীতে ভাবনার প্রয়োগ ও মৃত্যুদণ্ডতুল্য কাহিনীতুল্য।’[১২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Harrowing war story at The Drum in Aston"। Birmingham: Birmingham Mail। ১৪ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৫ 
  2. Gazi, Leesa (৩১ মার্চ ২০১৪)। "Birangona: Will the World Listen?"The Huffington Post। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৫ 
  3. Sinha, Kounteya (২৫ মার্চ ২০১৪)। "Play in UK tells of Bengali women raped by Pakistani army during 1971 war"। India: The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৫ 
  4. Anam, Tahmina (১৪ এপ্রিল ২০১৪)। "Bangladesh's Birangona women: 'Tell the world our story'"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৫ 
  5. "Komola Collective stages a series of shows of Birangona"। Bangladesh: New Age। ২০ ডিসেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৫ 
  6. Chatak, Hasan Mansoor (২২ ডিসেম্বর ২০১৪)। "Komla Collective pays tribute to Birangonas"। Dhaka: Dhaka Tribune। ২৮ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৫ 
  7. Dey, Saurav (২৮ আগস্ট ২০১৪)। "Bangladesh's Birangona women: 'Tell the world our story'"। Bangladesh: The Daily Star। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৫ 
  8. "The Komola Collective: 'Birangona: Women of War', 9th April - 19th May 2014"Redhotcurry.com। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৫ 
  9. Dey, Saurav (১৯ ডিসেম্বর ২০১৪)। "Komola Collective stages Birangona: Women of War"। Bangladesh: The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৫ 
  10. Hong, Christopher (১১ এপ্রিল ২০১৪)। "Birangona: Women Of War – Lost Theatre, London"The Public Reviews। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৫ 
  11. "Birangona: Women of War"The Stage। ১৭ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৫ 
  12. Nelson, Daniel (১১ এপ্রিল ২০১৪)। "Birangona: Women Of War – Lost Theatre, London"One World। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৫ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]