আল বারা বিন মারুর বিন শাখার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৭ নং লাইন: ৭ নং লাইন:


== কিবলা নিয়ে দ্বন্দ ==
== কিবলা নিয়ে দ্বন্দ ==
আল বারা ইবনে মারুর যখন ইসলাম গ্রহণ করেন তখন মুসলমানদের [[কিবলা]] ছিলো [[জেরুসালেম|জেরুজালেমের]] পবিত্র মসজিদ [[বায়তুল মুকাদ্দাস|বাইতুল মাকদাস]]। কিন্তু আল বারা ইবনে মারুর সেই দিকে মুখ ঘুরিয়ে নামাজ পড়তে অস্বীকৃতি জানান। তিনি চাইতেন [[মক্কার শরিফ|মক্কার]] [[কাবা|কাবা ঘর]] যেন কিবলা হয়। তিনি কাবার দিকে মুখ ঘুরিয়ে নামাজ পড়া শুরু করেন। কিন্তু এটা ছিলো তখনকার ইসলামী বিধি বিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন। অন্যান্য সাহাবীরা তাকে নিষেধ করে। কিন্তু আল বারা ইবনে মারুর কারো কথা না শোনায় শেষ পর্যন্ত তা মুহাম্মাদ এর কাছে বিচার দেওয়া হয়। মুহাম্মাদ আল বারা ইবনে মারুর কে বাইতুল মাকদাসের দিকে মুখ ঘুরিয়ে নামাজ পড়তে আদেশ দেন এবং তিনি তা মেনে নেন।<ref name=":0" />
আল বারা ইবনে মারুর যখন ইসলাম গ্রহণ করেন তখন মুসলমানদের [[কিবলা]] ছিলো [[জেরুসালেম|জেরুজালেমের]] পবিত্র মসজিদ [[বায়তুল মুকাদ্দাস|বাইতুল মাকদাস]]। কিন্তু আল বারা ইবনে মারুর সেই দিকে মুখ ঘুরিয়ে নামাজ পড়তে অস্বীকৃতি জানান। তিনি চাইতেন [[মক্কার শরিফ|মক্কার]] [[কাবা|কাবা ঘর]] যেন কিবলা হয়। তিনি কাবার দিকে মুখ ঘুরিয়ে নামাজ পড়া শুরু করেন। কিন্তু এটা ছিলো তখনকার ইসলামী বিধি বিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন। অন্যান্য সাহাবীরা তাকে নিষেধ করে। কিন্তু আল বারা ইবনে মারুর কারো কথা না শোনায় শেষ পর্যন্ত তা মুহাম্মাদের কাছে বিচার দেওয়া হয়। মুহাম্মাদ আল বারা ইবনে মারুর কে বাইতুল মাকদাসের দিকে মুখ ঘুরিয়ে নামাজ পড়তে আদেশ দেন এবং তিনি তা মেনে নেন।<ref name=":0" />


== মৃত্যু ==
== মৃত্যু ==

১৩:২০, ২৯ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আল বারা ইবনে মারুর হলেন মুহাম্মাদ এর একজন সাহাবী। তার প্রকৃত নাম আল বারা এবং ডাকনাম আবু বিশর।[১] আল বারা ইবনে মারুর ছিলেন একজন ধনী সাহাবী। মদীনার অনেক দুর্গ ও উদ্যানের মালিক ছিলেন তিনি। তিনি মৃত্যুর পূর্বে তার সম্পদের এক তৃতীয়াংশ মহাম্মদ কে দান করে যান। মুহাম্মাদ সেই সম্পদ গ্রহণ করেন এবং আল বারা ইবনে মারুর এর পুত্রকে তা উপহার হিসেবে প্রদান করেন।[২]

বংশপরিচয়

আল বারা ইবনে মারুর মদীনার খাজরাজ গোত্রের বনু সালামা শাখায় তার জন্ম। তার বাবার নাম মারুর ইবনে সাখার এবং মায়ের নাম আর রুবাব বিনতে নুমান। তার মা আউস গোত্রের নেতা সাদ ইবনে মুয়াজের ফুফু।[১]

ইসলাম গ্রহণ

আল বারা ইবনে মারুর আকাবার সর্বশেষ বাইয়াতের পূর্বে ইসলাম গ্রহণ করেন। অনেকের মতে তিনি আকাবার প্রথম বাইয়াতে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।

কিবলা নিয়ে দ্বন্দ

আল বারা ইবনে মারুর যখন ইসলাম গ্রহণ করেন তখন মুসলমানদের কিবলা ছিলো জেরুজালেমের পবিত্র মসজিদ বাইতুল মাকদাস। কিন্তু আল বারা ইবনে মারুর সেই দিকে মুখ ঘুরিয়ে নামাজ পড়তে অস্বীকৃতি জানান। তিনি চাইতেন মক্কার কাবা ঘর যেন কিবলা হয়। তিনি কাবার দিকে মুখ ঘুরিয়ে নামাজ পড়া শুরু করেন। কিন্তু এটা ছিলো তখনকার ইসলামী বিধি বিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন। অন্যান্য সাহাবীরা তাকে নিষেধ করে। কিন্তু আল বারা ইবনে মারুর কারো কথা না শোনায় শেষ পর্যন্ত তা মুহাম্মাদের কাছে বিচার দেওয়া হয়। মুহাম্মাদ আল বারা ইবনে মারুর কে বাইতুল মাকদাসের দিকে মুখ ঘুরিয়ে নামাজ পড়তে আদেশ দেন এবং তিনি তা মেনে নেন।[১]

মৃত্যু

ইসলাম গ্রহণের মাত্র ২ মাস পরেই আল বারা ইবনে মারুর মারা যান। মদীনায় মৃত্যুবরণকারী প্রথম সাহাবী তিনি। হিজরতের পর মুহাম্মাদ তার কবরে যান এবং জানাজার নামাজ পড়েন।[২]

তথ্যসূত্র

  1. মাবুদ, মুহাম্মাদ আব্দুল (২০০৮)। আল-বারা' ইবনে মা'রুর। ঢাকা: বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার। পৃষ্ঠা চতুর্থ খন্ড, ১৪। 
  2. মাবুদ, মুহাম্মাদ আব্দুল (২০০৮)। আল-বারা' ইবনে মা'রুর। ঢাকা: বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার। পৃষ্ঠা চতুর্থ খন্ড, ১৭।