সাচার রথ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বিমল বাউল (আলোচনা | অবদান)
নতুন পৃষ্ঠা: =====উৎপত্তি ===== এই রথ ও জগন্নাথ ধাম প্রতিষ্ঠা নিয়ে কথিত আছে যে,...
 
বিমল বাউল (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন, বিষয়বস্তু যোগ, তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন, বিষয়শ্রেণী
১২ নং লাইন: ১২ নং লাইন:
১২৭৫ বাংলা সনের ১৩ আষাঢ়ে প্রতিষ্ঠিত এ রথ ও জগন্নাথ ধামে প্রতিবছরের আষাঢ় মাসে ব্যাপক আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় রথযাত্রার উৎসব। পাকিস্তান আমলে তৎকালীন পূর্ব বঙ্গের সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য এ সাচার রথ উৎসবে আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্য সহ পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চল হতে হাজার হাজার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এ রথযাত্রায় অংশ নিত। এ রথ যাত্রাকে ঘিরে অগনিত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ঘটত এক মহামিলন আর মহা উৎসব।
১২৭৫ বাংলা সনের ১৩ আষাঢ়ে প্রতিষ্ঠিত এ রথ ও জগন্নাথ ধামে প্রতিবছরের আষাঢ় মাসে ব্যাপক আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় রথযাত্রার উৎসব। পাকিস্তান আমলে তৎকালীন পূর্ব বঙ্গের সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য এ সাচার রথ উৎসবে আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্য সহ পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চল হতে হাজার হাজার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এ রথযাত্রায় অংশ নিত। এ রথ যাত্রাকে ঘিরে অগনিত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ঘটত এক মহামিলন আর মহা উৎসব।
<ref>জগন্নাথ রথ দর্শনে</ref>
<ref>জগন্নাথ রথ দর্শনে</ref>

=====তথ্যসূত্র =====

০৭:৪৫, ১২ জুন ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

উৎপত্তি

এই রথ ও জগন্নাথ ধাম প্রতিষ্ঠা নিয়ে কথিত আছে যে, প্রায় দেড়শত বছর পুর্বে সাচার বাবু বাড়ির জমিদার গঙ্গা গোবিন্দ সেন ভারতে হিন্দু তীর্থস্থান পুরীতে জগন্নাথ দর্শনে গেলে, জগন্নাথ গঙ্গা গোবিন্দকে দর্শন দেননি। বরং পুরীর দরজা-জানালা গুলো আপনা আপনি বন্ধ হয়ে যায়। দর্শন লাভে ব্যর্থ হয়ে পরম ধার্মিক গঙ্গা গোবিন্দ সেন দর্শন লাভের আশায় পুরীর বাহিরে আমরন-অনশন শুরু করে দেয়। অনশনের কয়েকদিন অতিবাহিত হলে গঙ্গা গোবিন্দ সেন স্বপ্নাদিষ্ট হন যে, এ স্থানে জগন্নাথ গঙ্গা গোবিন্দ সেনকে দর্শন না দিয়ে তাঁর সাচারের বাড়ির সম্মুখের দীঘিতে ভাসমান নিম কাঠ আকৃতিতে দর্শন দিবেন। স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে গঙ্গা গোবিন্দ সেন নিজ বাড়ি ফিরে আসেন এবং ক’দিন পর উক্ত দীঘিতে স্নান করার সময় আকস্মিক ভাবে ভাসমান নিম কাঠ আকৃতিতে জগন্নাথ দর্শন লাভ করেন। [১]

নামকরণ

অলৌকিক ভাবে দর্শন প্রাপ্ত এ নিম কাঠ দ্বারা জগ্ননাথ, বলরামশুভদ্রা এ তিনজনের তিনটি মূর্তি তৈরি হয়। গঙ্গা গোবিন্দ সেনের নেতৃত্বে তৎকালীন বঙ্গের বিখ্যাত নির্মাতা কারিগর রামকান্ত নিম কাঠ খোদাই পদ্ধতিতে মূর্তি গুলো তৈরি করেন। বলরাম জগন্নাথের বড় ভাই এবং শুভদ্রা ছোট বোন। জগন্নাথ ধামের ক’গজ সম্মূখে নিম কাঠের সাহায্যেই ১২টি চাকার উপর প্রায় ৪০ ফুট উচুঁ বিশিষ্ট অভিনব কারুকার্য খচিত রথ নির্মিত হয়। নিম কাঠে খোদাই পদ্ধতিতে বিভিন্ন আকর্ষনীয় মূর্তি তৈরি করা হয়। এসব মূর্তির মাঝে চুল বেঁধে রেখে বউ কে কাধে তুলে রাখা, পুরুষের প্রস্রাব পানে উদ্যত্ব যুবতী ষাড়ের উপর গাভী চড়ায় ও মাকে ছেলে ধর্ষন করছে ইত্যাদি নিখুত মূর্তি গুলো সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। অর্থ্যাৎ সত্য, দ্বাপর ত্রেতাকলিযুগের ঘটমান মানুষের আচরনের বিভিন্ন অংকিত স্মৃতি নিয়ে এ রথ নির্মিত হয়। [২]

পালন

১২৭৫ বাংলা সনের ১৩ আষাঢ়ে প্রতিষ্ঠিত এ রথ ও জগন্নাথ ধামে প্রতিবছরের আষাঢ় মাসে ব্যাপক আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় রথযাত্রার উৎসব। পাকিস্তান আমলে তৎকালীন পূর্ব বঙ্গের সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য এ সাচার রথ উৎসবে আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্য সহ পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চল হতে হাজার হাজার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এ রথযাত্রায় অংশ নিত। এ রথ যাত্রাকে ঘিরে অগনিত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ঘটত এক মহামিলন আর মহা উৎসব। [৩]

তথ্যসূত্র
  1. চাঁদপুর কন্ঠ
  2. চাঁদপুর বার্তা
  3. জগন্নাথ রথ দর্শনে