বিবাহ নিবন্ধন
![]() | এই নিবন্ধের উদাহরণ এবং দৃষ্টিভঙ্গিসমূহ সম্ভবত বিষয়বস্তুটিকে বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উপস্থাপন করছে না। (December 2016) |
বিবাহ নিবন্ধন বলতে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে সরকারি দলিলে বিবাহের অন্তর্ভুক্তি বোঝায়। বাংলাদেশে সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত কাজি মুসলমানদের বিবাহ নিবন্ধন করে থাকেন। [১]
আইনি বাধ্যবাধকতা
[সম্পাদনা]দেশে বিদ্যমান আইনের দ্বারা নির্ধারিত তথ্যাবলী দিয়ে নির্ধারিত ছকপূরণ করে সরকারিভাবে বিবাহ তালিকাভূক্তি করাই হচ্ছে বিবাহ নিবন্ধন। ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দের খ্রিস্টান ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী, খ্রিস্টানদের জন্য বিবাহ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। একইভাবে মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিস্ট্রেশন) আইন ১৯৭৪ মোতাবেক অনুযায়ী, মুসলমানদের প্রতিটি বিবাহ নিবন্ধন করতে হবে। বাংলাদেশে বিদ্যমান হিন্দু পারিবারিক আইনে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধনের কোনো বিধান নেই। বৌদ্ধ বিবাহ হিন্দু পারিবারিক আইনমতে পরিচালিত হযয়ে থাকে। এ কারণে বৌদ্ধদের ক্ষেত্রেও বিবাহ নিবন্ধনের কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। যে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, সে ক্ষেত্রে বিবাহ নিবন্ধন না-করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।[১]
মুসলমানদের বিবাহ নিবন্ধন
[সম্পাদনা]মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিস্ট্রেশন) আইন ১৯৭৪ মোতাবেক, প্রতিটি বিবাহ নিবন্ধন করতে হবে। বিবাহের দিন বা কোনো কারণে তা সম্ভব না হলে বিবাহের ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। মুসলমানদের ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত কাজি সরকার নির্ধারিত ছকে বিবাহের নিবন্ধন করবেন। যে কাগজে এই নিবন্ধন করা হয় তা-ই কাবিননামা তথা নিকাহনামা নামে পরিচিত। কাবিননামায় যা অবশ্যই থাকবে তা হলো- বিবাহের ও নিবন্ধনের তারিখ, স্বামী ও স্ত্রীর নাম, পরিচয় ও বয়স, বিবাহের সাক্ষীদের নাম ও পরিচয়, বিবাহের দেনমোহরের পরিমাণ এবং তা আদায়ের ও বাকির পরিমাণ, কাজির স্বাক্ষর ও সিলমোহর ইত্যাদি। বিবাহ নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বরপক্ষ নিবন্ধন ফি প্রদান করবে। বিয়ে নিবন্ধনের পর কাজি তথা নিকাহ রেজিষ্টার স্বামী ও স্ত্রীকে কাবিননামার সত্যায়িত কপি প্রদানে বাধ্য। নিবন্ধনের সময় কাজি যাচাই করবেন (ক) স্বামীর বয়স কমপক্ষে ২১ এবং স্ত্রীর বয়স কমপক্ষে ১৮ হয়েছে কি না, বিবাহে স্বামী ও স্ত্রী’র পূর্ণ সম্মতি রয়েছে কি না (গ) বিয়ের সাক্ষীগণ উপস্থিত কি না এবং (ঘ) দেমমোহরের পরিমাণ যথাযোগ্য কি না এবং তার কত অংশ আদায় করা হয়েছে। এসব বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে কাজি নিবন্ধনে অগ্রসর হবেন।[১]
শাস্তির বিধান
[সম্পাদনা]মুসলিম আইন অনুযায়ী, বিবাহ নিবন্ধন না করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিবাহ নিবন্ধন না করলে বিচারক্রমে দুই বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০০০ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড প্রযোজ্য হতে পারে।
নিবন্ধনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান
[সম্পাদনা]খ্রিস্টানদের বিবাহ নিবন্ধন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ "বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় ই-তথ্যকোষ"। ২১ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬।