বিক্ষিপ্ত উদ্বাসন বিদ্যা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বিক্ষিপ্ত উদ্বাসন বিদ্যা (Diaspora studies) খ্রিস্টীয় ২০শ শতকের শেষভাগে প্রতিষ্ঠিত একটি উচ্চশিক্ষায়তনিক জ্ঞানের ক্ষেত্রে যাতে বিক্ষিপ্তভাবে উদ্বাসিত নৃগোষ্ঠীগত জনসমষ্টিসমূহ নিয়ে গবেষণা করা হয়। এইসব জনসমষ্টিকে প্রায়শই বিক্ষিপ্ত উদ্বাসিত জাতি নামে ডাকা হয়। জবরদস্তি, জাতিবিদ্বেষ বা বর্ণবাদ, ক্রীতদাসপ্রথা, বহিস্করণ, যুদ্ধ (বিশেষত জাতীয়তাবাদী সংঘাত), ইত্যাদি কারণে জোরপূর্বক বসতি স্থানান্তরের ধারণাটি বিক্ষিপ্ত উদ্বাসন পরিভাষাটির মধ্যে নিহিত আছে।

উচ্চশিক্ষায়তনিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ[সম্পাদনা]

  • বিক্ষিপ্ত উদ্বাসন ও অতি-সাংস্কৃতিক বিদ্যার আন্তর্জাতিক ইনস্টিটিউট (International Institute for Diasporic and Transcultural Studies, IIDTS) — একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান যা ফ্রান্সের লিওঁ নগরীর জঁ মুলাঁ বিশ্ববিদ্যালয়, সাইপ্রাস বিশ্ববিদ্যালয়, চীনের কুয়াংচৌ প্রদেশের সুন ইয়াত-সেন বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাজ্যের লিভারপুল হোপ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট। এটি বিশ্বের সর্বত্র বিক্ষিপ্ত উদ্বাসিত সম্প্রদায়গুলির সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিত্বের (ও আত্ম-প্রতিনিধিত্বের) উপর মনোযোগ নিবিষ্টকারী এবং শাস্ত্রাতিক্রমী পদ্ধতিতে কর্মরত নিবেদিত গবেষণা জালকব্যবস্থা। প্রতিষ্ঠানটি একটি ত্রিভাষিক গবেষণা সাময়িকী প্রকাশের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা দান করে, যার নাম ট্রানসটেক্সট-ট্রান্সকালচার: আ জার্নাল অভ গ্লোবাল কালচারাল স্টাডিজ (Transtext(e)s-Transcultures: A Journal of Global Cultural Studies)[১]
  • দিল্লির নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিদ্যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ক একটি শক্তিশালী গবেষণা কর্মসূচী বিদ্যমান, যার নাম ডায়াস্পোরা অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকেরা উচ্চশিক্ষায়তনিক গবেষকদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা জালিকাব্যবস্থা পরিচালনা করেন, যাতে আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিক্ষিপ্ত উদ্বাসনের উপর মনোযোগ নিবদ্ধ করা হয় এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একটি উপাদান হিসেবে বিক্ষিপ্ত উদ্বাসনকে অধ্যয়ন করা হয়। এই ব্যবস্থাটির নাম অর্গানাইজেশন ফর ডায়াস্পোরা ইনিশিয়েটিভস। এই ব্যবস্থাটি একটি গবেষণা সাময়িকীও প্রকাশ করে থাকে।
  • ইন্দোনেশিয়াতে অবস্থিত গোলোং গিলিগ ইনস্টিটিউট অভ জাভানিজ ডায়াস্পোরা স্টাডিজ (Golong Gilig Institute of Javanese Diaspora Studies, "জাভার বিক্ষিপ্ত উদ্বাসন বিদ্যার গোলোং গিলিগ ইনস্টিটিউট")

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Transtext(e)s-Transcultures website"। ২০১৬-১০-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২৪