বাজারজাতকরণ গবেষণা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিপণন এবং অর্থনীতি গবেষণা নিয়ে একটি বই

বাজারজাতকরণ গবেষণা (ইংরেজি: Marketing Research) হলো বাজারজাতকরণের অধীনে পরিচালিত গবেষণা, যা বাজার সম্বন্ধে বাজারজাতকারীকে সম্যক ধারণা দিতে সহায়তা করে। এটি বাজারজাতকরণের অন্যতম একটি সহায়ক কার্যক্রম। সংজ্ঞায়নের দিক থেকে:

-নরেশ কে. মালহোত্রা

বাজারজাতকরণ গবেষণার শ্রেণিবিভাগ[সম্পাদনা]

বাজারজাতকরণ গবেষণা মূলত ২ ভাগে আলোচিত হয়। এর প্রত্যেক ভাগের আবার উপবিভাগ রয়েছে।[১]

  • সমস্যা সনাক্তকরণ গবেষণা
  1. বাজার-সম্ভাব্যতা গবেষণা
  2. বাজার অংশীদারিত্ব গবেষণা
  3. ভাবমূর্তি গবেষণা
  4. বাজারের বৈশিষ্ট্য গবেষণা
  5. বিক্রয় বিশ্লেষণাত্মক গবেষণা
  6. পূর্বাভাস গবেষণা
  7. ব্যবসায়-প্রবণতা গবেষণা
  • সমস্যা সমাধানের গবেষণা
  1. বাজার বিভক্তিকরণ গবেষণা
  2. পণ্য গবেষণা
  3. মূল্য গবেষণা
  4. প্রসার গবেষণা
  5. বণ্টন গবেষণা

বাজারজাতকরণ গবেষণা প্রক্রিয়া[সম্পাদনা]

বাজারজাতকরণ গবেষণা একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়। এই প্রক্রিয়াটি কতিপয় ধারাবাহিক ধাপে সম্পন্ন হয়। নিম্নে এগুলো তুলে ধরা হলো:
ধাপ ১: সমস্যা সনাক্তকরণ
ধাপ ২: সমস্যার প্রেক্ষিতে ধারণার উন্নয়ন
ধাপ ৩: গবেষণা নকশা প্রণয়ন
গবেষণা নকশা প্রণয়ণের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত ধাপগুলো অতিক্রম করতে হয়:

  1. প্রয়োজনীয় উপাত্তের সংজ্ঞা নিরূপণ
  2. মাধ্যমিক উপাত্ত বিশ্লেষণ
  3. গুণগত গবেষণা
  4. পরিমাণগত উপাত্ত সংগ্রহের পদ্ধতি
  5. মাপজোখ ও মাপকাঠি বাছাই
  6. প্রশ্নপত্র নকশায়ন
  7. নমুনা প্রক্রিয়া ও স্যাম্পলের আকার
  8. উপাত্ত বিশ্লেষণের পরিকল্পনা

ধাপ ৪: মাঠকর্ম বা উপাত্ত সংগ্রহ
ধাপ ৫: তথ্য প্রস্তুতকরণ ও বিশ্লেষণ
ধাপ ৬: প্রতিবেদন প্রস্তুতকরণ এবং উপস্থাপন
এই ধাপগুলোর ধারাবাহিক পরিসমাপ্তির মাধ্যমে একটি গবেষণা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। গবেষণা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও গবেষণার প্রাপ্ত ফলাফল নিয়ে কার্যক্রমের সেখান থেকেই সূত্রপাত হয়।

বাজারজাতকরণ গবেষণা নৈতিকতা[সম্পাদনা]

বাজারজাতকরণ গবেষণা সংশ্লিষ্ট থাকে ৪টি পক্ষ। এই পক্ষসমূহের মধ্যে নৈতিক আচরণ একটি সুস্থ সমাজের প্রতি গবেষণা পরিচালনায় সহায়তা করবে। গবেষণাকারী অবশ্যই এমনভাবে গবেষণা পরিচালনা করবেন, যাতে সত্য চিত্রটিই উঠে আসে। মক্কেল যে উদ্দেশ্যে গবেষণা করিয়েছেন, তার উদ্দেশ্য সৎ হবে এবং সমাজের জন্য অকল্যাণকর হবে না। গবেষণার গভীরতা নিশ্চিত করার স্বার্থে তথ্য প্রদানকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী গোপন রাখা হবে। সাড়াদানকারী ভুল তথ্য প্রদান করবেন না। আর জনগণ গবেষণা ফলাফলকে যৌক্তিক অর্থে গ্রহণ করবেন। উন্নত দেশগুলোতে গবেষণা সংশ্লিষ্ট কোড অফ কন্ডাক্ট বা আচরণগত নীতিমালা রয়েছে, যার ভিত্তিতে গবেষণা সংশ্লিষ্ট পক্ষগণ আচরণ করেন এবং গবেষণার নৈতিক সুফল নিশ্চিত করেন। এছাড়াও বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব আচরণগত নীতিমালা মেনে চলে এবং গবেষণাকে সমাজের উপকারী করতে প্রচেষ্টা চালায়। উদাহরণস্বরূপ: আমেরিকান মার্কেটিং এসোসিয়েশন-এর একটি কোড অফ এথিক্স বা নৈতিকতা বিধিমালা রয়েছে।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Marketing Research, an applied orientation", Naresh K. Malhotra, 5th Edition (2009-2010); Prentice Hall, India. আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-২০৩-৩০৪৪-৩. Retrieved on: April 12, 2011.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]