বাংলা (মদ)
প্রকার | পাতিত অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় |
---|---|
উৎপত্তির দেশ | ভারত |
উৎপত্তির অঞ্চল | পশ্চিমবঙ্গ |
রং | স্বচ্ছ |
উপাদান | জল, দানাশস্য |
বাংলা [১] হল একটি পাতিত অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়। এটি ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে উদ্ভূত হয়েছে। বাংলা প্রধানত জল ও ইথানল সহযোগে তৈরি। ঐতিহ্যগতভাবে, এটি প্রবর্তিত হওয়ার পর থেকে মোলাস ও চাল থেকে পাতন করে তৈরি করা হয়। তবে বর্তমানে গাঁজানো খাদ্যশস্য থেকে বাংলা উৎপাদন করা হয়। বোতল-বন্দি করার আগে ৩-৭ দিনের জন্য ইস্পাতের ট্যাঙ্কে রাখা হয়, মদকে পরিপক্ক করে তুলতে।
এই পানীয় বিক্রি করার জন্য সরকারি অনুমোদিত দোকান (লাইসেন্সধারী কাউন্টার) আছে। উল্লেখযোগ্য বাংলা মদের নাম হল ডায়নামিক,সাকে, রয়্যাল চয়েস, উড়ান, ক্যাপ্টেন, পিনকন বাংলা নম্বর ওয়ান, টারজান, দাদা, ওয়ান্ডার ইত্যাদি।[২]
উপকরণ
[সম্পাদনা]জোয়ার, বাজরা, গম এর মতো শস্যদানা থেকে বাংলা মদ তৈরি করা হয়।তবে অনেক সময় ভাত দিয়েও তৈরি করা হয়।
বিপণন
[সম্পাদনা]২০১৫ সালের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ৪৮% বাজার এখনও আইএমএফএল-এর দখলে। ৩৯% দেশি মদের কব্জায়। ১১% বিয়ার ও বাকি ২% ওয়াইন ও অন্যান্য সুরার দখলে। কিন্তু বাজারে দেশি মদের দখল যে ভাবে বাড়ছে, তাতে এই হিসেব অন্যরকম হওয়ার দিকে হাঁটছে বলে অনেকের ধারণা।[২]
২০১৫ সালে হুইস্কি, ভদকা, জিন, রাম-এর মতো ভারতে তৈরি বিদেশি মদের (ইন্ডিয়া মেড ফরেন লিকার বা আইএমএফএল) বিক্রি যেখানে ১৭ শতাংশ কমেছে, সেখানে দেশি বা বাংলা মদের বিক্রি বেড়েছে ২০ শতাংশ। দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের আবগারি রাজস্বের সিংহভাগই আসছে তুলনায় সস্তার বাংলা মদ থেকে। ২০১৪-’১৫ অর্থবর্ষে সেই অঙ্ক ছুঁয়েছে ৩,৬০০ কোটি টাকা। [২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "বাংলা মদের বাংলা বাজার"। kolkata24x7.com। ৩ জুলাই ২০১৬। ১০ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৮।
- ↑ ক খ গ "কুলীন হওয়ার দৌড়ে এতদিনের ব্রাত্য বাংলা"। আনন্দবাজার পত্রিকা। ৫ জুন ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৮।