বাংলাদেশের উপজাতীয় নৃত্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বাংলাদেশে প্রায় ৫০টি উপজাতি বাস করে।[১] প্রতিটি উপজাতির নিজস্ব সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য রয়েছে। এই সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো তাদের নৃত্যবাংলাদেশের উপজাতীয় নৃত্যগুলো তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস, সামাজিক জীবন এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রতিফলন।

শ্রেণিবিভাগ[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের উপজাতীয় নৃত্যগুলিকে সাধারণত তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যেতে পারে:[২]

  • ধর্মীয় নৃত্য: এই নৃত্যগুলো ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং উৎসবগুলোতে পরিবেশিত হয়। এই নৃত্যগুলোর মাধ্যমে উপজাতিরা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে প্রকাশ করে। উদাহরণস্বরূপ, চাকমা উপজাতির "বৈশাখী নৃত্য" বসন্ত উৎসবের সময় পরিবেশিত হয়। এই নৃত্যটিতে উপজাতিরা তাদের প্রকৃতি দেবতাদের প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশ করে।
  • সামাজিক নৃত্য: এই নৃত্যগুলো বিবাহ, জন্ম এবং মৃত্যুর মতো সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে পরিবেশিত হয়। এই নৃত্যগুলো উপজাতিদের সামাজিক জীবন এবং ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে। উদাহরণস্বরূপ, ত্রিপুরা উপজাতির "নুর নৃত্য" বিবাহের সময় পরিবেশিত হয়। এই নৃত্যটিতে উপজাতিরা তাদের নতুন জীবনের শুরুতে তাদের আনন্দ প্রকাশ করে।
  • আনন্দের নৃত্য: এই নৃত্যগুলো শুধুমাত্র আনন্দের জন্য পরিবেশিত হয়। এই নৃত্যগুলোর মাধ্যমে উপজাতিরা তাদের জীবনের আনন্দ এবং উৎসবকে উদযাপন করে। উদাহরণস্বরূপ, মারমা উপজাতির "বৈসাবি নৃত্য" একটি জনপ্রিয় আনন্দের নৃত্য। এই নৃত্যটিতে উপজাতিরা তাদের সুখ এবং সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করে।

ধর্মীয় নৃত্য[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের উপজাতিরা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস এবং বিশ্বাসকে প্রকাশ করার জন্য নৃত্য ব্যবহার করে। এই নৃত্যগুলি প্রায়শই ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং উৎসবগুলিতে পরিবেশিত হয়।

বাংলাদেশের উপজাতীয় ধর্মীয় নৃত্যের কিছু উদাহরণ হলো:

  • চাকমা উপজাতির বৈশাখী নৃত্য: এই নৃত্যটি বসন্ত উৎসবের সময় পরিবেশিত হয়। এই নৃত্যটিতে উপজাতিরা তাদের প্রকৃতি দেবতাদের প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশ করে।[৩]
  • মারমা উপজাতির বৈসাবি নৃত্য: এই নৃত্যটি একটি জনপ্রিয় আনন্দের নৃত্য। এই নৃত্যটিতে উপজাতিরা তাদের সুখ এবং সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করে।
  • ত্রিপুরা উপজাতির নুর নৃত্য: এই নৃত্যটি বিবাহের সময় পরিবেশিত হয়। এই নৃত্যটিতে উপজাতিরা তাদের নতুন জীবনের শুরুতে তাদের আনন্দ প্রকাশ করে।
  • মণিপুরী উপজাতির লখী নৃত্য: এই নৃত্যটি দেবী লক্ষ্মীর প্রতি উৎসর্গীকৃত। এই নৃত্যটিতে উপজাতিরা তাদের জীবনে সুখ এবং সমৃদ্ধি কামনা করে।
  • সাঁওতাল উপজাতির ঝুমুর নৃত্য: এই নৃত্যটি জুমচাষের সাথে সম্পর্কিত। এই নৃত্যটিতে উপজাতিরা তাদের ফসলের জন্য প্রার্থনা করে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০২২-০৭-২৭)। "ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে চাকমাদের সংখ্যা বেশি"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-০৬ 
  2. "বাংলাদের সমাজ,ইতিহাস ও সংস্কৃতি" (পিডিএফ) 
  3. "উপজাতীয় নৃত্য - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-০৬