বস্তু বিজ্ঞানের জন্য জাতীয় প্রতিষ্ঠান

স্থানাঙ্ক: ৩৬°০৪′২৬″ উত্তর ১৪০°০৭′১৫″ পূর্ব / ৩৬.০৭৩৮৮° উত্তর ১৪০.১২০৭৬° পূর্ব / 36.07388; 140.12076
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বস্তু বিজ্ঞানের জন্য জাতীয় প্রতিষ্ঠান
সেনজেন সাইট
প্রাক্তন নামসমূহ
এনআরআইএম, নিরিম
ধরনস্বাধীন প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান
স্থাপিত২০০১; ২৩ বছর আগে (2001)
সভাপতিকাজুহিতো হাসিমোটো
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ
১,৫০০
অবস্থান, ,
জাপান

৩৬°০৪′২৬″ উত্তর ১৪০°০৭′১৫″ পূর্ব / ৩৬.০৭৩৮৮° উত্তর ১৪০.১২০৭৬° পূর্ব / 36.07388; 140.12076
শিক্ষাঙ্গনসেনজেন, নামিকি, সাকুরা, মেগুরো
ওয়েবসাইটwww.nims.go.jp/eng
মানচিত্র

বস্তু বিজ্ঞানের জন্য জাতীয় প্রতিষ্ঠান, বা, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ম্যাটারিয়ালস্ সায়েন্স (物質・材料研究機構, বাসিতসু-জাইরিয়ো কেনকিউ কিকো) হলো জাপানের একটি স্বাধীন প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান এবং দেশটির বৃহত্তম বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

আজকের এই বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রেটির বৃদ্ধি এবং বিকাশ বেশ কয়েকটি স্থানে বেশ কয়েকটি পর্যায় অতিক্রম করেছে:

১৯৫৬ সালে জাপানের রাজধানী টোকিওর মেগুরোতে "ন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর মেটালস" (এনআরআইএম) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৯ সালে এনআরআইএম সুকুবায় একটি কার্যালয় খোলে। ১৯৯৫ সাল নাগাদ ইনস্টিটিউটটি তার বেশিরভাগ কার্যাবলীই এই স্থানে স্থানান্তরিত করে। মেগুরো ক্যাম্পাস বিদ্যমান রয়েছে, যেটি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর মেটেরিয়ালস সায়েন্সের উত্তরসূরি এনআরআইএম-এর একটি অংশ। ১৯৬৬ সালে টোকিওর তোশিমায় "ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ ইন ইনঅর্গানকম্যাটারিয়ালস্" (এনআইআরআইএম) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭২ সালে সুকুবা বিজ্ঞান নগর গড়ে ওঠার একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে এনআইআরআইএম সুকুবাতে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনাটিকে জাপানের একটি জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রথম স্থানান্তর হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

২০০১ সালে এনআরআইএম এবং এনআইআরআইএমকে একীভূত করে সুকুবাতে একটি স্বাধীন প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এনআইএমএস প্রতিষ্ঠা করা হয়।

শাখা[সম্পাদনা]

এনআইএমএস-এর সাকুরা ক্যাম্পাসের একটি ভবন।

এনআইএমএস-এর ক্যাম্পাসের নাম সেনজেন, নামিকি, সাকুরা এবং মেগুরো। এছাড়াও, জাপানের হিয়োগো প্রশাসনিক অঞ্চলে অবস্থিত SPring-8 সিনক্রোট্রনে এনআইএমএস-এর একটি বিমলাইন স্টেশন রয়েছে। যদিও সমস্ত শাখাতেই বৈজ্ঞানিক গবেষণা কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়, তবে বেশিরভাগ প্রশাসনিক কাজ সেনজেনে করা হয়। প্রায় ১,৫০০ জন গবেষক, প্রকৌশলী এবং প্রশাসনিক কর্মী এই শাখাগুলিতে নিযুক্ত আছেন। সেনজেন, নামিকি এবং সাকুরা শাখা সুকুবা বিজ্ঞান নগর হতে কয়েক কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে - সুকুবা এক্সপ্রেস ট্রেনের মাধ্যমে টোকিও থেকে এক ঘন্টার মধ্যে এখানে যাওয়া যায়। একটি বিনামূল্যের শাটল বাস পরিবহন সুকুবা ক্যাম্পাসের মধ্যে চলাচল করে।

উন্নয়ন[সম্পাদনা]

এনআইএমএস একটি গতিশীল সংস্থা হিসেবে গড়ে উঠেছে; এবং কার্যত প্রতি মাসে নতুন উদ্যোগ চালু করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

  • অক্টোবর ২০০১ -এ বায়োমেটেরিয়ালস সেন্টার, সুপারকন্ডাক্টিং ম্যাটেরিয়ালস সেন্টার, কম্পিউটেশনাল ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স সেন্টার এবং ম্যাটেরিয়ালস ইনফরমেশন টেকনোলজি স্টেশন স্থাপন।
  • এপ্রিল ২০০২ -এ ইস্পাত গবেষণা কেন্দ্র, ইকোমেটেরিয়াল সেন্টার, হাই ম্যাগনেটিক ফিল্ডস সেন্টার এবং উপাদান বিশ্লেষণ কেন্দ্র স্থাপন।
  • জুন ২০০২ -এ জাপানের ন্যানোটেকনোলজি গবেষক নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা।
  • সেপ্টেম্বর ২০০৩ -এ তরুণ বিজ্ঞানীদের জন্য আন্তর্জাতিক কেন্দ্র (আইসিওয়াইএস) প্রতিষ্ঠা।
  • এপ্রিল ২০০৪ -এ সুকুবা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ পিওর অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সায়েন্স বিভাগে ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডক্টরাল প্রোগ্রাম শুরু।
  • মে ২০০৪ -এ হাই ভোল্টেজ ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপি স্টেশন স্থাপন।
  • এপ্রিল ২০০৬ -এ দ্বিতীয় মধ্য-পর্ব আয়োজন শুরু, যা এনআইএমএস-এর উল্লেখযোগ্য পুনর্গঠনের সাথে যুক্ত।
  • অক্টোবর ২০০৭ -এ ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মেটেরিয়ালস ন্যানোআর্কিটেক্টনিক্স (মানা) প্রতিষ্ঠা।

গবেষণা[সম্পাদনা]

এনআইএমএস বাল্ক এবং ন্যানোস্কেল আকারে ধাতু, অর্ধপরিবাহী, সুপারকন্ডাক্টর, সিরামিক এবং জৈব পদার্থের সংশ্লেষণ, চরিত্রায়ন এবং প্রয়োগের উপর জোরালোভাবে জোর দিয়ে বস্তুর গবেষণায় নিবেদিত। পরীক্ষণগুলি ইলেকট্রনিক্স, অপটিক্স, আবরণ, জ্বালানী কোষ, অনুঘটক এবং জৈবপ্রযুক্তি সহ বিস্তৃত পরিসরকে অন্তর্ভুক্ত করে। এখানকার গবেষণার বৈশিষ্ট্য হিসাবে ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপি, উচ্চ-শক্তির কণা বিম এবং উচ্চ চৌম্বকীয় ক্ষেত্রগুলির সাথে যুক্ত কৌশলগুলি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়। বেশিরভাগ গবেষণাই ব্যবহারিক পরীক্ষামূলক, যদিও অন্তত একটি গবেষণা কেন্দ্র তাত্ত্বিক মডেলিংয়ের নিয়ো কাজ করে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]