বন্দিবাসের যুদ্ধ
সাত বছরের যুদ্ধের সময়কালীন ভারতবর্ষে হওয়া একটি সিদ্ধান্তমূলক যুদ্ধ ছিল বন্দিবাসের যুদ্ধ। নৌ সহায়তা ও তহবিলের অভাবে ভারাক্রান্ত টমাস আর্থার ডি লাল্লির সেনাবাহিনী তামিলনাড়ুর ভান্দাভাসিতে অবস্থিত দুর্গটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছিল। স্যার আইয়ার কুটের বাহিনী তাদের আক্রমণ করেছিল এবং সিদ্ধান্তমূলকভাবে পরাজিত করেছিল। ফরাসী জেনারেল ডি বুসি ক্যাস্তেলনাউ এবং ফরাসীদের তখন পন্ডিচরিতে সীমাবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল , যেখানে তারা ২২ জানুয়ারী ১৭৬০ সালে আত্মসমর্পণ করেছিল। বন্দিবাস হল ভান্দাভাসির ইংরেজিকৃত উচ্চারণ।[১]
ফরাসী ও ইংরেজদের মধ্যে এটিই ছিল তৃতীয় কর্ণাটকের যুদ্ধ ৷ বাংলা ও হায়দরাবাদে যথেষ্ট পরিমাণে লাভ করার ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের পরে, বন্দিবাসের যুদ্ধে ফরাসীদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল, এবং তাদের পরাজিত করতে পেরেছিল।
লেখক এডুয়ার্ড কাস্টের উনিশ শতকে লেখা অ্যানালস অফ দ্য ওয়ারস্ অফ দ্য এইটটিনথ সেঞ্চুরী বই অনুসারে, ফরাসী সেনাবাহিনীতে ৩০০ ইউরোপীয় অশ্বারোহী, ২,২৫০ ইউরোপীয় পদাতিক, ১,৩০০ সিপাহী (সৈনিক), ৩,০০০ মারাঠা এবং ১৬ টি তোপ ছিল এবং ইংরেজদের কাছে ছিল ৮০ টি ইউরোপীয় ঘোড়া, ২৫০ টি দেশী ঘোড়া, ১,৯০০ ইউরোপীয় পদাতিক, ২,১০০ সিপাহী এবং ২৬ টি তোপ।[২] বন্দিবাসের যুদ্ধে চেটপাট্টু (চেটপেট), তিরুনোমালাই (তিরুভান্নামালাই), তিণ্ডিভানাম এবং পেরুমুক্কাল দখল করা হয়েছিল।[৩]
মানচিত্র
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ হেরিটেজ ইতিহাস – যুদ্ধের তালিকা ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ জুলাই ২০১১ তারিখে, সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৮
- ↑ এডুয়ার্ড কাস্ট (১৮৬২)। অ্যানালস্ অফ দ্য ওয়ারস্ অফ দ্য এইটটিনথ সেঞ্চুরী কমপাইলড ফ্রম দ্য মোস্ট অথেন্টিক হিস্ট্রিস অফ দ্য পিরিয়ড , তৃতীয় খন্ড।
- ↑ জন হেনরি গার্সটিন, লরেন্স অ্যাসাইলাম প্রেস (১৮৭৮)। দক্ষিণ আর্কট জেলার ম্যানুয়াল।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]