বকফুল
বকফুল Sesbania grandiflora | |
---|---|
![]() | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
বিভাগ: | Magnoliophyta |
শ্রেণী: | Magnoliopsida |
বর্গ: | Fabales |
পরিবার: | Fabaceae |
উপপরিবার: | Faboideae |
গোত্র: | Robinieae |
গণ: | Sesbania |
প্রজাতি: | S. grandiflora |
দ্বিপদী নাম | |
Sesbania grandiflora (L.) Poiret |
এই ফুলের বাংলা নাম- বক বা বকফুল (বৈজ্ঞানিক নাম: Sesbania grandiflora[১])। ইংরেজি নাম vegetable hummingbird[২]।অন্যান্য নামের মধ্যে অগস্তি , মণিপুষ্প , গাছমুগা , Drigapalaka উল্লেখযোগ্য। এটি Fabaceae পরিবারের অন্তর্গত একটি উদ্ভিদ।
বিবরণ[সম্পাদনা]
অন্যান্য প্রজাতির মধ্যে আছে - Sesban coccinea, Agati grandiflora, Coronilla grandiflora। বকফুলের আদি আবাস মালয়েশিয়া। ক্ষুদ্র আকৃতির পত্রমোচী গাছ। কাণ্ড সরল, উন্নত, ম্লান-বাদামি ও মসৃণ। যৌগিক পত্রটি পালকের মতো এবং আকর্ষণীয়, পত্রিকা আয়তাকৃতি ও গাঢ়-সবুজ। কোমল কলিগুলো বাঁকানো। প্রায় সারা বছরই ফুল ফোটে। ফল লম্বা, প্রায় গোল,বীজ থেকে সহজেই চারা হয়। বৃদ্ধি দ্রুত, এক বছরেই গাছ ফুল ও ফলবতী হয়।[৩]
গুনাগুণ[সম্পাদনা]
বকফুলের বড়া বাংলার মানুষের কাছে একটি পছন্দের খাবার। এর ঔষুধি গুণ আছে প্রচুর । জ্বর, ফোলা ও ব্যাথাবেদনা সারাতে, বাতের ব্যথায় শিকড় চূর্ণ জলের সাথে গুলে ব্যাথা জায়গায় ঘষলে আরাম পাওয়া যায়। চুলকানি-পাঁচড়া সারাতে কম্বোডিয়ায় বাকল চূর্ণ লাগানো হয়। কৃমি ও জ্বর সারাতে পাতার রস খাওয়ানো হয়। গ্যাস্ট্রিক আলসার ও বুক জ্বালা নিরাময়, রাতকানা রোগের ঔষুধ হিসাবে গাছের পাতার রস ব্যবহার করা হয়, করেকোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, চোখের স্নায়ু জোরদার করেবার্ধক্য ও হাড় দুর্বলতা প্রতিরোধ করতে বকফুল পাতার রস উপকারী।[৪]
চিত্রশালা[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Joshi S. G., Medicinal Plants, Medicinal plants, Oxford & IBH Publishing Co. Pvt. Ltd. bks)
- ↑ "Sesbania grandiflora" (ইংরেজি ভাষায়)। ন্যাচারাল রিসোর্সেস কনসারভেশন সার্ভিস প্ল্যান্টস ডেটাবেস। ইউএসডিএ। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ দ্বিজেন শর্মা লেখক; বাংলা একাডেমী ; ফুলগুলি যেন কথা; মে ১৯৮৮; পৃষ্ঠা- ৩০, আইএসবিএন ৯৮৪-০৭-৪৪১২-৭
- ↑ আঃ খালেক মোল্লা সম্পাদিত;লোকমান হেকিমের কবিরাজী চিকিৎসা; আক্টোবর ২০০৯; পৃষ্ঠা- ১৪৬-৪৭