বিষয়বস্তুতে চলুন

ফ্রাশরের তেক্কে

স্থানাঙ্ক: ৪০°২১′৩৬″ উত্তর ২০°২৫′৪৩″ পূর্ব / ৪০.৩৬০১° উত্তর ২০.৪২৮৭° পূর্ব / 40.3601; 20.4287
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(ফ্রাশার তেকে থেকে পুনর্নির্দেশিত)
ফ্রাশরের তেক্কে
স্থানীয় নাম
আলবেনীয়: Teqeja e Frashërit
স্থানাঙ্ক৪০°২১′৩৬″ উত্তর ২০°২৫′৪৩″ পূর্ব / ৪০.৩৬০১° উত্তর ২০.৪২৮৭° পূর্ব / 40.3601; 20.4287
অবৈধ উপাধি

ফ্রাশরের তেক্কে (আলবেনীয়: Teqeja e Frashërit), যা নাসিবি তাহির বাবা তেক্কে নামেও পরিচিত, দক্ষিণ আলবেনিয়ার গিরোকাস্ত্র অঞ্চলের ফ্রাশর গ্রামে অবস্থিত একটি বেকতাশি তীর্থস্থান এবং তেক্কে। এটি ১৭৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং আলবেনিয়ার একটি স্বীকৃত সাংস্কৃতিক নিদর্শন[]

এই তেক্কে আলবেনীয় জাতীয় জাগরণ-এর সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে এবং ১৯শ শতকের শেষভাগে এটি ছিল আলবেনিয়ার অন্যতম সম্মানিত ও সমৃদ্ধ তেক্কে।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

তাকইয়া বা তুর্কিতে তেক্কে ছিল ইসলামি আধ্যাত্মিকতা ও তত্ত্বচর্চার কেন্দ্র, যা প্রচলিত ইসলাম থেকে কিছুটা ভিন্ন পথের অনুসরণে জনপ্রিয় বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হতো।[]

এই তেক্কে প্রতিষ্ঠিত হয় আলি পাশার সময়ে। স্থানীয় কবি ও সুফি নাসিবি তাহির বাবা ১৮১৫ বা ১৮২৫ সালে মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষে ফিরে এসে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।[][] তাঁর মৃত্যুর (১৮৩৫) পর তাঁর কবরের ওপর একটি তুরবে নির্মিত হয়, যা পরবর্তীতে তীর্থস্থানে পরিণত হয়। এরপর তাঁর পুত্র ইউসুফ স্কেন্দারাসি তেক্কের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

১৮৪৬-১৯০২ সালের মাঝে বাবা আলুশির নেতৃত্বে এটি শুধু একটি সুফি আধ্যাত্মিক কেন্দ্রই ছিল না, বরং আলবেনীয় জাতীয়তাবাদের ঘাঁটিতেও পরিণত হয়। নাইম, আব্দুল এবং সামি ফ্রাশরির মতো নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্বরা এই তেক্কের প্রভাব অনুভব করেন।

১৮৭৮ সালের ৩০ মে আলবেনীয় কমিটি অফ ইয়ানিনা-এর একটি সভা এই তেক্কেতে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সান স্তেফানো চুক্তির বিরোধিতা করে প্রিজরেন লীগের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।[]

তেক্কে তখন উসমানীয় শাসনের অধীনে আলবেনীয় ভাষার বই বিতরণ ও জাতীয়তাবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করত, যা তৎকালীন আইনে নিষিদ্ধ ছিল।

২০শ শতকের ঘটনা

[সম্পাদনা]

বাবা জেইনেল আবেদিন ছিলেন একজন সম্মানিত বেকতাশি নেতা, যিনি মিহাল গ্রামেনো-সহ অনেক স্বাধীনতাকামীকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। তিনি তেক্কেতে অতিথিদের সন্ন্যাসী বেশে রাখতেন যাতে উসমানীয় সৈন্যদের চোখে পড়ে না।

১৯১৪ সালে জোগ্রাফোসের নেতৃত্বাধীন গ্রিক বাহিনী তেক্কেটি ধ্বংস করে। পরে ১৯২৩ সালে আলবেনীয়-আমেরিকানদের সাহায্যে এটি পুনর্গঠিত হয়।

১৯২১ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় বেকতাশি কংগ্রেসে ফ্রাশরের তেক্কে বাবা মুস্তাফা কেরেজি দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করে। ১৯৩০ সালে বেকতাশি ব্যবস্থার পুনর্গঠনের পর এটি একটি গ্যুশাতা বা প্রশাসনিক জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

সমাজতান্ত্রিক যুগ ও পুনর্গঠন

[সম্পাদনা]

কমিউনিস্ট আলবেনিয়ায় ১৯৬৭ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ধর্ম নিষিদ্ধ থাকায় তেক্কেটি কার্যক্রম বন্ধ করে, তবে আব্দুল ফ্রাশরির দেশপ্রেমমূলক অবদানের কারণে ধ্বংস করা হয়নি। ১৯৯৫ সালে এটি পুনরায় সংস্কার করা হয় এবং প্রতি বছর ৫ সেপ্টেম্বর তীর্থ উৎসব পালিত হয়।[]

ফ্রাশরের তেক্কেতে কর্মরত বেকতাশি পীরগণ[]

[সম্পাদনা]
  • বাবা তাহির নাসিবি স্কেন্দারাসি (১৮১৫–১৮৩৫)
  • ইউসুফ স্কেন্দারাসি (১৮৩৫–১৮৪৬)
  • বাবা আলুশি (১৮৪৬–১৯০২)
  • বাবা আবেদিন ইব্রো (১৯০৩–১৯১৩)
  • বাবা শেমে (১৯১৩–১৯২৯)
  • বাবা মুস্তাফা কেরেজি (১৯৩০–১৯৩৩)
  • বাবা মুরাতি (১৯৩৪–১৯৪১)
  • বাবা আবাজ হিলমি (১৯৪২–১৯৪৫)
  • বাবা মেহমেত জাইকাই (১৯৪৫–১৯৫৯)
  • বাবা দরবিশ জেমাল শকেম্বি (১৯৬০–১৯৬৭)
  • পারপরিম স্কেন্দারাসি (১৯৯৫–বর্তমান, প্রশাসক হিসেবে)

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Religious buildings with the "Culture Monument" status"। Republic of Albania National Committee for Cult। ৬ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১০ 
  2. Elsie, Robert (২০১৯)। The Albanian Bektashi। I.B. Tauris। পৃষ্ঠা 189। আইএসবিএন 978-1-78831-569-2 
  3. Oliver Jens Schmitt (২০১০), Religion und Kultur im albanischsprachigen Südosteuropa 
  4. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Norris নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  5. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; KBB নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি