প্রজন্ম জেড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

জেনারেশন জেডঃ

১৯৯০ এর শেষের দিকে এবং ২০০০ এর শুরুর দিকের প্রজন্মকে জেনারেশন জেড নামে ডাকা হয়। ১৯৯৭ থেকে ২০১২ পর্যন্ত জন্ম নেওয়া সবাই জেনারেশন জেড এর সদস্য। ২০২০ সালের হিসাবে জেনারেশন জেড এর জ্যেষ্ঠ সদস্যের বয়স হল ২৩ আর সর্বকনিষ্ঠজনের বয়স এবার ৮ হবে। এই প্রজন্মের কিছু অংশ পড়ালেখা শেষ করেছে এবং কিছু অংশ কাজ করা শুরু করেছে।

এই জেনারেশনকে Gen z, iGeneration, Gen Tech, Gen Wii, Homeland Generation, Net Gen, Digital Natives, Plurals, and Zoomers নামেও ডাকা হয়। কারণ, এই প্রজন্মটি ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে বড় হয়েছে । এবং এরা হচ্ছে সত্যিকারের DIGITAL NATIVEদের প্রথম প্রজন্ম। জেনারেশন জেড প্রযুক্তি, ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে বেড়ে ওঠে, যা তাদের মাঝে মাঝে প্রযুক্তি-আসক্ত, অসাম্প্রদায়িক বা "সামাজিক ন্যায়বিচারের যোদ্ধা" হিসাবে দাঁড় করায়। তাদের জীবনের প্রথম দিক থেকেই তারা ইন্টারনেট, সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এবং মোবাইল সিস্টেমে প্রকাশ করেছে। যার ফলে এই hypercognitive জেনারেশন বিভিন্ন তথ্য, তথ্যের উৎস সংগ্রহ, ক্রস-রেফারেন্স এবং virtual ও offline জীবনের সাথে একইরকমভাবে স্বাচ্ছন্দ্যময়।

পুরো বিশ্বে জেনারেশন জেডের প্রভাব প্রসারিত হচ্ছে।"প্রভাবশালী" (influencer) শব্দটি তৈরির অনেক আগে, তরুণরা এর প্রবণতা তৈরি করে এবং ব্যাখ্যা দিয়ে সেই সামাজিক ভূমিকা পালন করেছিল। এখন নতুন প্রজন্মের প্রভাবশালীরা হবেন Gen Zer’s বা জেনারেশন জেড এর সদস্যরা। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তরুণ-তরুণীদের সিংহভাগ হচ্ছে জেনারেশন জেড। এদের বয়স সীমা ৭ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রজন্মের তরুণ-তরুণীর সংখ্যা ৬ কোটি ১০ লক্ষ যা পুরো জনসংখ্যার 27%। তারা এমন একটা সময়ে জন্মগ্রহণ করেছে যখন বিশ্বজুড়ে পুরোদমে ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু হয়ে গিয়েছে। তাদের বয়স যখন দশ তখন থেকে তারা স্মার্টফোন সম্পর্কে জানে এবং ব্যবহার করে আসছে। এরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে অভ্যস্ত। জেনারেশন ওয়াই অর্থাৎ মিলেনিয়াল থেকে তারা আলাদা এই কারণে মিলেনিয়ালরা বড় হবার পরে ইন্টারনেট এর শুরুটা দেখেছে। তারা এর সাথে পরিচিত হয়েছে। কিন্তু জেনারেশন জেড একদম বাচ্চা বয়স থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে বেড়ে উঠেছে। জেনারেশন জেড হচ্ছে ইতিহাসে সবচেয়ে কনিষ্ঠ, সবচেয়ে নৃতাত্ত্বিক-বৈচিত্র্যময় এবং বৃহত্তম প্রজন্ম।

জেনারেশন জেড তাদের বাবা মায়ের মতো কেনাকাটা করে না। তাদের চিন্তা-ভাবনা আলাদা। জেনারেশন জেড ব্রান্ড, লেবেল, কর্পোরেশন এগুলোকে গুরুত্ব দেয় না। তাদের চিন্তা থাকে নিজেদের মতো করে কিছু করা। প্রায় অর্ধেক জেনারেশন জেড প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা ব্যবসা করার সুযোগ পেলে বা নিজের মতো কিছু করার সুযোগ পেলে চাকরি ছেড়ে দেবে।বিভিন্ন ব্রান্ড বা প্রতিষ্ঠান যখন বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড প্রমোট করে সেটা তাদের আকৃষ্ট করে। তারা তখন বেশি টাকা দিয়ে সেই ব্রান্ডের পণ্য ক্রয় করে থাকে। যেমন- বাংলাদেশে ব্রান্ডগুলো অনেক সময় দুঃস্থদের সাহায্য করার বিভিন্ন প্রজেক্ট হাতে নেয় বা কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হয়ে তাদের সেই প্রজেক্ট প্রমোশন করে থাকে। ব্যাপারটা এরকম।

তারা টিভিতে পণ্য ও সেবার বিজ্ঞাপন দেখে অভ্যস্ত না। তারা সেকেন্ডহ্যান্ড জিনিস কিনে ব্যবহার করতে অভ্যস্ত, ইন্টারনেট ইনফ্লুয়েন্সার তাদের জন্যে বিশাল গুরুত্বপূর্ণ। তারা পণ্য বা সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে তাদের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের মতামতকে গুরুত্ব দেয় যাকে ইংরেজিতে Word of Mouth Marketing বলা হয়ে থাকে।

জরিপের উপর ভিত্তি করে জেনারেশন জেড এর আচরণগুলি একটি উপাদানে নোঙ্গর করে আর তা হল: সত্যের জন্য এই প্রজন্মের অনুসন্ধান।

Generation Z এর কিছু বৈশিষ্ট্য হচ্ছেঃ

‘Undefined ID’: Expressing individual truth. স্বতন্ত্র সত্য প্রকাশ করা।

‘Communaholic’: Connecting to different truths. বিভিন্ন সত্যের সাথে সংযোগ স্থাপন।

‘Dialoguer’: Understanding different truths. বিভিন্ন সত্য বোঝা।

‘Realistic’: Unveiling the truth behind all things. সমস্ত কিছুর পিছনে সত্য উন্মোচন করা।

1. তাদের মিডিয়া ব্যবহারের অভ্যাসগুলি আগের যেকোনো প্রজন্মের পৃথক।এমনকি তাদের পূর্ববর্তী প্রজন্মের থেকেও।

2. They prefer cool products over cool experiences.

3. উদ্যোগী এবং প্রযুক্তি-বুদ্ধি দুটি জেনারেশন জেড বৈশিষ্ট্য।

4.তারা প্রচারাভিযানের সাড়া দেয়।

5. They want to co-create culture—and they do.

বয়স্ক প্রজন্মগুলো মনে করে সামাজিক গণমাধ্যম, বাইরে বেড়াতে যাওয়া এবং ইন্টারনেটই ৮-২৩ বছর বয়সী জেড প্রজন্মের সদস্যদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অথচ নিউজবাইটের গবেষণায় দেখা গেছে, তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- পরিবার, শিক্ষা এবং জীবন সঙ্গী বা সঙ্গিনী; এই বিষয়গুলো।

বয়স্করা এদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে নৈরাশ্যবাদী হলেও এরা নিজেদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী। এদের ৫৯ শতাংশই মনে করে তাদের ভবিষ্যত জীবন খুব ভালো হবে।

আর মাত্র ৪১% মনে করে তাদের ভবিষ্যত খারাপ হবে। অথচ বেবি বুমারস প্রজন্মের ৫৪% নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে হতাশ ছিলেন।

Gen Z'er দের বেশিরভাগের বাবা-মা'ই Generation X বা slackers, cynical, demographic দল নামে পরিচিত । যাদের জন্ম ১৯৬৫ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে