পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন
গঠিত | ১৯৯৯ |
---|---|
সদরদপ্তর | ঢাকা, বাংলাদেশ |
যে অঞ্চলে কাজ করে | বাংলাদেশ |
দাপ্তরিক ভাষা | বাংলা |
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন বাংলাদেশ সরকারের অধীনস্থ একটি কমিশন যা পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য গঠন করা হয়েছিল।[১][২] ১৯৯৯ সালে গঠিত কমিশনটি প্রয়োজনীয় আইনের অভাবে কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে।[৩][৪]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির সাথে সামঞ্জস্য রেখে ১৯৯৯ সালে পার্বত্য পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়।[৫] সরকার ২০০১ সালে চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন প্রণয়ন করে। আইনে বলা হয়েছিল যে আদালতের সিদ্ধান্তগুলি দেওয়ানি আদালতের রায়ের মতো হবে এবং কোথাও চ্যালেঞ্জ করা যাবে না।[৫] এই আইনে কমিশনকে কাজ করার জন্য একগুচ্ছ নিয়ম প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয় এবং ২০১৯ সাল পর্যন্ত সরকার তা করেনি।[৫] সরকার ২০১৩ সালে এই আইন সংশোধন করে যা পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের কমিশনারের ক্ষমতা হ্রাস করে এবং ২০০১ সালে চট্টগ্রাম জমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনে থাকা ছয় মাসের মধ্যে কমিশনের জন্য বিধি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা সরিয়ে দেয়।[৬] কমিশনে প্রায় ২৩,০০০ অভিযোগ নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।[৫]
কমিশনের নেতৃত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক। বিপুল সংখ্যক মামলা সত্ত্বেও কমিশন নিয়মের অভাবে জমি বিরোধের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত দেয়নি।[৭][৮] ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটি সার্কিট হাউসে কমিশনের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার-উল-হকের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।[৯] ২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের বিক্ষোভকারীরা কমিশনের আইন সংশোধনের দাবিতে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ঘেরাও করে।[১০]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Uddin, Mohammad Moin (২০১৯), Singh, Mahendra Pal; Kumar, Niraj, সম্পাদকগণ, "Settlement of Indigenous Land Disputes by the CHT Land Dispute Resolution Commission of Bangladesh: Challenges and Possible Solutions", The Indian Yearbook of Comparative Law 2018, The Indian Yearbook of Comparative Law (ইংরেজি ভাষায়), Singapore: Springer, পৃষ্ঠা 251–278, আইএসবিএন 978-981-13-7052-6, ডিওআই:10.1007/978-981-13-7052-6_11, সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৮
- ↑ "'Cooperation from all quarters needed to resolve CHT land disputes'"। Dhaka Tribune। ২০১৯-১২-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৮।
- ↑ "DCs seek nod to start survey, lease out land"। The Independent। Dhaka। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৮।
- ↑ "CHT land commission yet to get rules of business"। The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৯-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৮।
- ↑ ক খ গ ঘ "Land Disputes in Cht: 22,000 complaints gather dust"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৮-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৮।
- ↑ "Cabinet approves draft CHT Land Dispute Resolution Commission Act"। Dhaka Tribune। ২০১৩-০৫-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৮।
- ↑ "CHT land commission still ineffective"। New Age (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৮।
- ↑ "On the settlement of land disputes in the CHT"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১২-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৮।
- ↑ "CHT Land Dispute Resolution Commission holds meeting - National"। The Daily Observer। ২০১৮-০২-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৮।
- ↑ Elahi, Fazle। "Protesters lay siege to Rangamati council over land rights"। bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৮।