পাদ্রিশিবপুর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

পাদ্রিশিবপুর বাংলাদেশের অন্যতম একটি সুপ্রাচীন ধর্মপল্লী। বাংলাদেশের ক্যাথলিক মন্ডলীর আগমনের সাথে সাথে পর্তুগীজ মিশনারীগন[১] পাদ্রীশিবপুরে এসে খ্রিস্ট ধর্মের যে বীজ প্রায় ৩ শত বৎসর আগে বপন করেছিলেন তা এখন একটি বৃক্ষরূপে দন্ডায়মান। এ খ্রিস্ট ধর্মপল্লী অতি পুরাতন হওয়া সত্ত্বেও এখানে কোন প্রকার ইতিহাস লিখিত আকারে কিংবা কোন প্রকার তথ্যাদি সংরক্ষিতভাবে পাওয়া যায়নি যা দিয়ে একটি পুর্নাঙ্গ ইতিহাস দাঁড় করানো যায়। তবে বাংলাদেশের খ্রিস্টধর্মের বিভিন্ন ইতিহাসের তথ্যাদি বা সূত্র থেকে যেটুকু সংগ্রহ করা হল, তারই বনর্ণা এখানে তুলে ধরা হলো। কথিত আছে সপ্তদশ খ্রিস্টাব্দের গোড়ার দিকে বাংলাদেশের বার ভূঁইয়ার অন্যতম রাজা রাজবল্লব সেন এতদ্বঞ্চলের জমিদার ছিলেন। বাকলা বা বর্তমান বরিশাল জেলার বৃহত্তর দক্ষিণ অঞ্চলের প্রজাগণ অতিশয় দুঃধর্ষ হওয়ায় জমিদার প্রজাদের থেকে কর বা খাজনা আদায় করতে সক্ষম না হওয়ায় তিনি পশ্চিম বঙ্গের (ভারত) হুগলী জেলার ব্যান্ডেল থেকে কয়েকজন পর্তুগীজ বনিকদের চেয়ে পাঠালেন। সেই সময় ব্যান্ডেলে পর্তুগীজদের একটি উপনিবেশ গড়ে উঠেছিল। জানা যায় জমিদারের অনুরোধ ক্রমে ব্যান্ডেল থেকে ৪ জন পর্তুগীজ বণিক তাদের বন্ধুকসহ এখানে আগমন করেন। জমিদার তাদেরকে এখানে বসবাসের জায়গীর হিসাবে একটি তালুক প্রদান করে। তারা জমিদারের পক্ষে কর আদায় করে জমিদারকে দিতেন। এই পর্তুগীজ বণিকেরা ছিলেন রোমান ক্যাথলিক। এই স্থানটি এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলি ছিল প্রধানত হিন্ধুদের বসবাস। তাই জায়গার নাম ছিল একজন হিন্দুদেবতার নামানুসারে শিবপুর। পাদ্রীদের আগমনের পরে এই স্থানটির নাম হয় পাদ্রীশিবপুর।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "এক নজরে পাদ্রীশিবপুর"padreeshibpurup.barisal.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-০২