নেপাল অলিম্পিক জাদুঘর
স্থাপিত | ১৯৯৪ |
---|---|
অবস্থান | বি৫ গেট, দশরথ রঙশালা স্টেডিয়াম, নেপাল জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা, কাঠমুন্ডু, নেপাল |
স্থানাঙ্ক | ২৭°৪২′২০″ উত্তর ৮৫°১৭′২০″ পূর্ব / ২৭.৭০৫৬০৫° উত্তর ৮৫.২৮৯০১১° পূর্ব |
প্রতিষ্ঠাতা | চিতিজ অরূণ শ্রেষ্ঠ |
সভাপতি | চিতিজ অরূণ শ্রেষ্ঠ |
Area | ১২.৫ একর (৫১,০০০ মি২) /১৪৫টি গ্যালারি |
নেপাল অলিম্পিক জাদুঘর নেপালের একমাত্র ক্রীড়া জাদুঘর যা রাষ্ট্রপতি চিতিজ অরুণ শ্রেষ্ঠ ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৯ সাল থেকে কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত অষ্টম দক্ষিণ এশীয় গেমস চলাকালীন সময় পর্যন্ত নেপাল অলিম্পিক জাদুঘর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধীনে ছিল। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এবং নেপাল অলিম্পিক কমিটির সাথে এই জাদুঘর সরাসরি যুক্ত। নেপালে ক্রীড়া ও খেলাধুলার মান বিকাশে ভূমিকা রাখার জন্য এই জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছিল। ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ক্রীড়া সামগ্রী সংরক্ষণের প্রাথমিক লক্ষ্য নিয়ে এই জাদুঘরের যাত্রা শুরু হয়। এটি বর্তমানে নেপালের জাতীয় সম্পদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজন ক্রীড়া উৎসুক নেপালির কাছে এই জাদুঘরটি একটি ক্রীড়া সংস্থার চেয়ে কম কিছু নয়। এক সময়কার নেওপালি ঐতিহাসিক জিনিস এবং ক্রীড়া নথিপত্র সংরক্ষণ করে এটি সাধারণ মানুষদের মধ্যে অলিম্পিক গেম এর প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে। এটি স্পষ্ট যে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠার পর থেকে নেপাল অলিম্পিক জাদুঘর নানা উত্থান-পতন সত্ত্বেও নেপালি ক্রীড়া পরিষেবার বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে জড়িত ছিল।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
বর্তমান নেপাল অলিম্পিক জাদুঘর ২৩শে জুন ১৯৯৫ সালে স্পোর্টস নেপাল অলিম্পিক মিউজিয়াম (এনওএম) নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। জাদুঘরটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) এবং নেপাল অলিম্পিক কমিটির (এনওসি) অনুমোদিত ও সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করে। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে নেপাল অলিম্পিক জাদুঘর (এনওএম) রাখা হয়েছিল।[১]
লক্ষ্য[সম্পাদনা]
এই জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠার একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ নেপালি ক্রীড়া সম্পর্কিত বিভিন্ন সামগ্রী ও বিষয় সংরক্ষণ এবং তা এক জায়গায় একত্রীত করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্তভাবে প্রদর্শন করা।
সংগ্রহ[সম্পাদনা]
নেপালে বর্তমান অবধি বিদ্যমান ক্রীড়া সম্পর্কিত উপকরণগুলির মূল্য এবং সংখ্যা যথেষ্ট বড় ও সমৃদ্ধ। এসব সামগ্রী নেপাল অলিম্পিক জাদুঘরে প্রদর্শন করা হয়। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব দুর্লভ ক্রীড়া সামগ্রীকে জোগাড় করতে বেগ পেতে হয়েছিল কর্তৃপক্ষের। দুর্ভাগ্যক্রমে, বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ উপকরণগুলিই অসংরিক্ষত অবস্থায় আছে এবং বিনা যত্নে মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৯।