নেপাল-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক
নেপাল |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
---|
নেপাল – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বলতে নেপাল এবং আমেরিকার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে বোঝায়।
২০১২ সালের ইউএস গ্লোবাল লিডারশিপের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ৪১% নেপালি মানুষ মার্কিন নেতৃত্বকে অনুমোদন দিয়েছে, যার সাথে ১২% অস্বীকৃতি এবং ৪৭% অনিশ্চিত রয়েছে। [১] ২০১২ সালের হিসাবে, নেপালি শিক্ষার্থীরা আমেরিকাতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী বিদেশীদের মধ্যে ১.৩% প্রতিনিধিত্ব করে যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত আন্তর্জাতিক ছাত্রদের একাদশতম বৃহত্তম গ্রুপ গঠন করেছে। [২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৪৭ সালে নেপালের সাথে সরকারী সম্পর্ক স্থাপন করে এবং ১৯৫৯ সালে কাঠমান্ডু দূতাবাস চালু করে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বরাবরই বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল। নেপালকে শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে সহায়তা করা মার্কিন নীতির অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
১৯৫১ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেপালকে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সহায়তায় $ ৭৯১ মিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এর মাধ্যমে বার্ষিক দ্বিপাক্ষিক মার্কিন অর্থনৈতিক সহায়তা $৪০ মিলিয়ন ডলারে পৌছেছে। ইউএসএআইডি নেপালে কৃষিক্ষেত্র, স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, পরিবেশ সুরক্ষা, গণতন্ত্রায়ন, প্রশাসন, এবং জলবিদ্যুৎ উন্নয়নে সহায়তা করে। ইউএসএআইডি নেপালের শান্তি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি গণপরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতিও সমর্থন করেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং নেপালে কর্মরত বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিও এক্ষেত্রে অবদান রাখে। আজ অবধি, নেপালে কর্মরত বহুপক্ষীয় সংস্থাগুলিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবদান $৭২৫ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। সুরক্ষা বাড়ানোর জন্য শান্তিরক্ষী বাহিনী ২০০৪ সালে নেপালে সাময়িকভাবে এর কার্যক্রম স্থগিত করেছিল এবং ২০০৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে নেপাল কর্মসূচি বন্ধ করেছিল।
রাষ্ট্রদূত র্যান্ডি ডব্লিউ. বেরি ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর নেপালে নিযুক্ত হন। তিনি আলাইনা বি. টেপলিটজের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। যিনি এখন শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত।
প্রধান মার্কিন কর্মকর্তারা :
- রাষ্ট্রদূত - রান্ডি ডব্লিউ.বেরি
- মিশনের ডেপুটি চিফ - প্যাট্রিসিয়া এ. মাহোনি
- পরিচালনা বিষয়ক কাউন্সেলর - ক্যাটলিন এম. চো
- ইউএসএআইডি পরিচালক - ডেভিড অ্যাটবেরি
- রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রধান - মাইকেল বি. গোল্ডম্যান
- কনস্যুলার চিফ - প্যাট্রিক ম্যাকনিল
- পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার - সুসান পার্কার-বার্নস
- আঞ্চলিক সুরক্ষা কর্মকর্তা - ক্যারেন এ. লাস
- আঞ্চলিক পরিবেশ অফিসার - ট্রেসি এ. হল
- রাজনৈতিক/সামরিক প্রধান - কেভিন কোস্টানজি
- প্রতিরক্ষা সংযুক্তি - সিওএল গ্রেগরি উইনস্টন
- প্রতিরক্ষা সহযোগিতা অফিস - এমএজে দাউদ এ. লাকমান
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ U.S. Global Leadership Project Report - 2012 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ জুলাই ২০১৫ তারিখে Gallup
- ↑ TOP 25 PLACES OF ORIGIN OF INTERNATIONAL STUDENTS ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে Institute of International Education