নিশ
নিশ Ниш (সার্বীয়) | |
---|---|
শহর | |
Град Ниш Grad Niš নিশ শহর | |
নিশের প্যানোরামা নিশ সিটি হল সম্রাট কনস্টানটাইন ও সম্রাজ্ঞী হেলেনার গির্জা | |
ডাকনাম: "দ্বিতীয় রাজধানী"[১] "সাম্রাজ্যিক শহর" | |
লুয়া ত্রুটি মডিউল:অবস্থান_মানচিত্ এর 480 নং লাইনে: নির্দিষ্ট অবস্থান মানচিত্রের সংজ্ঞা খুঁজে পাওয়া যায়নি। "মডিউল:অবস্থান মানচিত্র/উপাত্ত/Serbia" বা "টেমপ্লেট:অবস্থান মানচিত্র Serbia" দুটির একটিও বিদ্যমান নয়।সার্বিয়ার মধ্যে অবস্থান##ইউরোপের মধ্যে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৪৩°১৯′১৫″ উত্তর ২১°৫৩′৪৫″ পূর্ব / ৪৩.৩২০৮৩° উত্তর ২১.৮৯৫৮৩° পূর্ব | |
দেশ | সার্বিয়া |
ভৌগোলিক অঞ্চল | দক্ষিণ সার্বিয়া |
পরিসংখ্যানিক অঞ্চল | দক্ষিণ ও পূর্ব সার্বিয়া |
জেলা | নিশাভা জেলা |
পৌরসভা | ৫ |
প্রথম উল্লেখ | ২য় শতাব্দী খ্রিস্টাব্দ |
অটোমানদের থেকে মুক্তি | ১১ জানুয়ারি ১৮৭৮ |
সরকার | |
• মেয়র | দ্রাগোস্লাভ পাভলোভিচ (SNS) |
• ক্ষমতাসীন দলগুলো | SNS/SPS/SRS |
• আইনসভা | নিশ সিটি অ্যাসেম্বলি |
আয়তন[২] | |
• শহর | ৪২ বর্গকিমি (১৬ বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ৫৯৬.৬ বর্গকিমি (২৩০.৩ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | সার্বিয়ায় ৫১তম |
উচ্চতা | ১৯৫ মিটার (৬৪০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০২২)[৩] | |
• শহর | ১,৭৮,৯৭৬ |
• ক্রম | সার্বিয়ায় ৩য় |
• জনঘনত্ব | ৪,২৬১/বর্গকিমি (১১,০৪০/বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ২,৪৯,৫০১ |
বিশেষণ | নিশলিয়কা (নারী) নিশলিয়া (পুরুষ) |
সময় অঞ্চল | CET (ইউটিসি+১) |
• গ্রীষ্মকালীন (দিসস) | CEST (ইউটিসি+২) |
ডাক কোড | ১৮০০০ |
এলাকা কোড | +৩৮১(০)১৮ |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | SRB |
সরকারিভাষা | সার্বীয়[৪] |
অভিভাবক সাধু | প্রকোপিয়াস অফ স্কাইথোপোলিস[৫] |
ওয়েবসাইট | www |
নিশ (Niš; সার্বীয় সিরিলীয়: Ниш; ) দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের বলকান উপদ্বীপের রাষ্ট্র সার্বিয়ার একটি শহর, যা সার্বিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব ভাগে নিশাভা নদীর তীরে অবস্থিত। মোরাভা-ভার্দার নদী ও নিশাভা নদী - এই যে দুইটি প্রধান সংযোগপথ মধ্য ইউরোপ ও এজীয় অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে, নিশ সেই দুই পথের উপরে দাঁড়িয়ে আছে। মূল শহরে ১ লক্ষ ৮২ হাজার ও বৃহত্তর শহরে ২ লক্ষ ৬০ হাজারের বেশি অধিবাসীবিশিষ্ট নিশ সার্বিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর। প্রশাসনিকভাবে এটি দেশটির নিশাভা জেলার প্রশাসনিক কেন্দ্র।
নিশ একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল পরিবহন কেন্দ্র। উত্তর সার্বিয়া ও বেলগ্রেড থেকে আগত মূল রেলপথটি নিশ শহরে এসে বিভক্ত হয়ে গ্রিসের তেসালোনিকি ও বুলগেরিয়ার সফিয়া শহরের দিকে চলে গেছে। এটি অনেকগুলি সড়কপথেরও সঙ্গমস্থল। এখানে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে, যার নাম নিশের মহান কোনস্তানতিন বিমানবন্দর। এখানে রেলগাড়ি মেরামতের সুবন্দোবস্ত আছে। এটি সার্বিয়ার একটি অগ্রগণ্য শিল্পশহর; এখানে বস্ত্র, চামড়াজাত দ্রব্য, তামাকজাত দ্রব্য, ইলেকট্রনীয় দ্রব্য এবং অস্ত্রশস্ত্র উৎপাদন করা হয়। ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত নিশ বিশ্ববিদ্যালয় এখানে অবস্থিত। শহরটি খ্রিস্টধর্মের সনাতনপন্থী (অর্থোডক্স) মণ্ডলীর একটি ধর্মপ্রদেশের কেন্দ্র। এখানে সার্বীয় সেনাবাহিনীর একটি বিভাগ (কমান্ড) অবস্থান করছে।
২য় শতাব্দীতে প্রকাশিত টলেমির ভূগোল নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রাচীন রোমান যুগে এখানে নাইসুস নামের একটি গুরুত্বপূর্ণ লোকালয় ছিল, এবং তারও আগে এখানে সম্ভবত একটি কেল্টীয় বসতি ছিল। নিশাভা নদীর ডান তীরে যে পুরাতন দুর্গটি আছে, সেটি এই প্রাচীন রোমান লোকালয়টিতে নির্মিত হয়েছিল। ঐ দুর্গের প্রাচীরের নিচে রোমান সম্রাট ২য় ক্লাউদিউস গথ জাতির এক সেনাবাহিনীকে পরাজিত করেন।[৬] এখানেই ৪র্থ শতকের রোমান সম্রাট কোনস্তানতিন জন্মগ্রহণ করেন (আনুমানিক ২৮০ খ্রিস্টাব্দে)। এছাড়া ৩য় কোনস্তানতিউস, কোনস্তানস, ভেত্রানিও, ইউলিয়ান, ১ম ভালেন্তিনিয়ান, ভালেন্স ও ১ম ইউস্তিন নামক রোমান সম্রাটরাও হয় এখানে জন্ম নেন বা এটিকে তাদের আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহার করেন।[৭]
রোমানদের পতনের পর এটি পর্যায়ক্রমে হুন (৫ম শতাব্দী), বুলগার (৯ম শতাব্দী), মজিয়ার (হাঙ্গেরীয়, ১১শ শতাব্দী), বাইজেন্টীয় (১১৭৩), সার্বীয় (১২শ শতাব্দীর শেষভাগে) ও উসমানীয় তুর্কিদের (১৩৭৫ খ্রিস্টাব্দ) করায়ত্ত হয়। এরপর প্রায় ৫ শতাব্দী ধরে, বিশেষ করে ১৫শ শতক থেকে ১৮৭৮ সাল অবধি প্রায় পুরোটা জুড়ে শহরটি উসমানীয় সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল ও ইস্তাম্বুল থেকে হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। ১৮০৯ সালে সার্বীয়রা প্রথম বিদ্রোহ করে কিন্তু জেগারের যুদ্ধে তুর্কিদের কাছে পরাজিত হয়। ১৮৭৭ সালে শহরটি সার্বীয় সেনাবাহিনী বিজয় করে নেয় ও ১৮৭৮ সালে বার্লিনের শান্তিচুক্তিতে এটিকে সার্বিয়ার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ১৯০১ সাল পর্যন্ত নিশ সার্বিয়ার রাজধানী ছিল। এরপর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়েও শহরটি সাময়িকভাবে সার্বিয়ার রাজধানী ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে জার্মানরা শহরটি দখল করেছিল। যুদ্ধে বোমাবর্ষণে বহু ভবন ধ্বংস হয়ে যায়। যুদ্ধোত্তর নির্মাণকাজে শহরের তুর্কি-বাইজেন্টীয় শৈলীর ভবনগুলির সিংহভাগ হারিয়ে যায়।
নিশে ৫ম শতাব্দীতে নির্মিত একটি বাইজেন্টীয় ভূ-গর্ভস্থ গুপ্তকক্ষ আছে। এখানে একটি জাতীয় জাদুঘর ও একটি জনস্বাস্থ্য জাদুঘর আছে। মেদিয়ানা জাদুঘরে সংরক্ষিত স্থানীয় পুরাতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলির প্রদর্শনী আছে। আরো আছে ১৮৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় নাট্যশালা। শহরের ঠিক পূর্বে নিশকা বানিয়া স্পা (ঔষধি গুণযুক্ত খনিজ পানির ঝর্ণা) অবস্থিত, যেখানে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করা হয়। ২০১৩ সালে নিশ শহরে সম্রাট কোনস্তানতিনের খ্রিস্টধর্মকে সুরক্ষাদানকারী মিলান অধ্যাদেশটির ১৭০০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়।[৮]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Protić, Stojan। Niš-Second Capital। Niš: Prosveta।
- ↑ Ilić, Zlata, সম্পাদক (২০২১)। Statistical Yearbook of the City of Niš 2019 (পিডিএফ)। Niš। আইএসএসএন 1452-0796।
- ↑ টেমপ্লেট:Serbian census 2022 Book 2
- ↑ "Статут Града Ниша" [নিশ শহরের সংবিধি] (পিডিএফ) (সার্বীয় ভাষায়)। City of Niš। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "ST PROCOPIUS"।
- ↑ Ljubomirović, Irena V.। "Naissus: A review of political and economic circumstances in the city from the 1st to the 5th century"। Zbornik radova Filozofskog Fakulteta u Prištini – ResearchGate-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Traces of Empire: Serbia's Roman Heritage"। Balkan Insight (ইংরেজি ভাষায়)। অক্টোবর ২৪, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১৬, ২০২০।
- ↑ "Moderate Patriarch Sets New Course for Serb Church"। IPS News। ফেব্রুয়ারি ১, ২০১০। ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।