নিরঞ্জন রায়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

নিরঞ্জন রায় (মৃত্যু ২০১১) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি অভিনেতা। তিনি গঙ্গা (১৯৫৯) ও মেঘে ঢাকা তারা (১৯৬০) চলচ্চিত্র দুটির জন্য আলোচিত হয়েছিলেন।

জীবনী[সম্পাদনা]

নিরঞ্জন রায় আশুতোষ কলেজ থেকে পড়াশোনা করেন। ছাত্রজীবনে বলিবিল্ডার হিসেবে পদক জিতেছিলেন। পরবর্তীতে জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়ের "মাস থিয়েটার্স" নাট্যদলে যোগ দেন।[১] মহাশ্বেতা দেবীর লেখা "প্রেমতারা" উপন্যাসের নাট্যরূপে নিরঞ্জনের অভিনয় প্রসংশা কুড়ায়।[১]

রাজেন তরফদারের "গঙ্গা" চলচ্চিত্রে প্রথম নায়ক হয়ে আসেন নিরঞ্জন রায়। এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন নবাগতা সন্ধ্যা রায়। চলচ্চিত্রটি ব্যাপকভাবে সফল হয় এবং নিরঞ্জন রায়ের অভিনয় আলোচনায় আসে। পরের বছরই ঋত্বিক ঘটকের "মেঘে ঢাকা তারা" চলচ্চিত্রে নীতার প্রেমিক হিসেবে আবির্ভূত হন নিরঞ্জন। ছবিটি বাংলা চলচ্চিত্রের সর্বকালের সেরা পাঁচটির একটি।

এরপর তিনি অভিনয় করেছেন পার, বাতাসী প্রভৃতি চলচ্চিত্রে। উত্তম কুমারের যুগের গ্রাসে তলিয়ে যান নিরঞ্জন। কমে যেতে থাকে তার কাজ। মেঘে ঢাকা তারার পর তেমন কোনো বড় কাজ তিনি পাননি। কয়েকটি পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন, পরে জীবিকার তাগিদে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করেই সংসার চালাতে হয়েছে।

২০১১ সালে কলকাতায় নিরঞ্জন রায় মৃত্যুবরণ করেন।

চলচ্চিত্র তালিকা[সম্পাদনা]

  • নদী (১৯৫৯)
  • মেঘে ঢাকা তারা (১৯৬০)
  • রক্ত পলাশ (১৯৬২)
  • রাজদ্রোহী (১৯৬৬)
  • মজলি দিদি (১৯৬৭)
  • বন্যজ্যোৎস্না (১৯৬৯)
  • এই করেছ ভালো (১৯৭০)
  • আজকের নায়ক (১৯৭২)
  • টুসি (১৯৭৮)
  • দৌরাত্ম্য (১৯৭৯)
  • দূর (১৯৭৯)
  • বাতাসী (১৯৮০)
  • আজ কাল পরশুর গল্প (১৯৮১)
  • পার (১৯৮৪)
  • চপাড় (১৯৮৬)
  • ইতওয়া (১৯৮৮)
  • প্রতিপক্ষ (১৯৮৮)
  • ওরা চারজন (১৯৮৮)
  • আত্মজা (১৯৯০)
  • শিল্পী (১৯৯৪)
  • নির্জন দ্বীপ (১৯৯৭)
  • মনসুর মিঞার ঘোড়া (২০০০)

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সব চরিত্রেই দক্ষ"archives.anandabazar.com। আনন্দবাজার পত্রিকা। ৭ মে ২০১২। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]