নয়াকৃষি
নয়াকৃষি বা নতুন কৃষি আন্দোলন হলো বাংলাদেশের একটি কৃষি আন্দোলন যা পশ্চিমা কীটনাশক এবং জেনেটিক্যালি পরিবর্তিত বীজ ব্যবহারের বিরোধিতা করে।[১]
কীটনাশক কোম্পানির প্ররোচনায় ফসলের বর্ধনে কৃষিতে কীটনাশক ব্যবহারের ভয়ংকর অভ্যাসের মাধ্যমে পরিবেশ, প্রাণ ও প্রাণবৈচিত্রের যে ক্ষতি করা শুরু হয়েছে তা অবিলম্বে বন্ধ করার লক্ষ্যে নয়াকৃষি আন্দোলন শুরু হয়।[২]
স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত উদ্বেগ ছাড়াও এই আন্দোলন জৈব কৃষিকাজকে উৎসাহিত করে[৩] এটি স্বনির্ভরতা তৈরি ও পশ্চিমা উন্নয়ন সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে বাংলাদেশকে দূরে সরিয়ে রাখার মনোভাব নিয়ে কাজ করে।[৪]
নয়াকৃষি মহিলাদের সহায়তা করার উপর বিশেষ জোর দিয়েছে, এর দরিদ্র মহিলা-নেতৃত্বাধীন পরিবারগুলিতে গবাদিপশু সরবরাহের একটি কর্মসূচি রয়েছে যা একটি বাছুর জন্ম না হওয়া পর্যন্ত রাখা হয়, এবং তারপর মূল প্রাণীটি অন্য একটি পরিবারকে দেওয়া হয়।[৩] এছাড়াও স্থানীয় বিভিন্ন ধরনের ফসল থেকে বীজ সংগ্রহের জন্য মহিলাদের বিশেষ বীজ নেটওয়ার্কের একটি সংগঠন রয়েছে।[৪]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Bangladesh: the seeds of change"। UNESCO Courier। জানুয়ারি ২০০১। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-২৩।
- ↑ Rothenberg, David (২০০৫)। Writing the world: on globalization। MIT Press। পৃষ্ঠা 226। আইএসবিএন 978-0-262-18245-4।
- ↑ ক খ "To measure poverty, you may have to go chak"। The Hindu Business Line। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-২৩।
- ↑ ক খ Reed, Ananya Mukherjee (২০০৮)। Human Development and Social Power: Perspectives from South Asia। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 129–131। আইএসবিএন 978-0-415-77552-6।