নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা থেকে পুনর্নির্দেশিত)
নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা
চেয়ারম্যান পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড
কাজের মেয়াদ
ডিসেম্বর ২০১৩ – মার্চ ২০২১
পূর্বসূরীবীর বাহাদুর উশৈ সিং
উত্তরসূরীমোসাম্মৎ হামিদা বেগম
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1956-03-01) ১ মার্চ ১৯৫৬ (বয়স ৬৮)
রাঙ্গামাটি জেলা, পূর্ব পাকিস্তান
নাগরিকত্ববাংলাদেশ বাংলাদেশ
দাম্পত্য সঙ্গীঅনামিকা ত্রিপুরা
প্রাক্তন শিক্ষার্থী
পুরস্কাররাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক


নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা এনডিসি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান । তিনি ১৬ জুন, ২০১১ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি পরবর্তীতে ডিসেম্বর ২০১৩ থেকে ফেব্রুয়ারী ২০২১ পর্যন্ত তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড (সিএইচটিডিবি) -এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে অবসরে যান। [১]

শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে বিএ অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, ঢাকা থেকে ২০০৫ সালে এবং সু্ইডিশ ন্যাশানাল ডিফেন্স কলেজ, স্টকহোম থেকে ২০০৬ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ঢাকা কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ১৯৮২ সালের ব্যাচের পুলিশ ক্যাডারের একজন সদস্য।পশ্চিমা গোলার্ধে ১৯৯৪ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন “অপারেশন আপহোল্ড ডেমোক্রেসি ইন হাইতি” -তে বাংলাদেশের প্রথম মিশন ডেপুটি কন্টিনজেন্ট কমান্ডার হিসেবে চাকুরিকালীন তিনি অসাধারণ কর্মদক্ষতার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের "কমান্ডারস অ্যাওয়ার্ড ফর পাবলিক সার্ভিস” পদক লাভ করেন। তিনি ১৯৯৫ সালে 'জাতিসংঘ মিশন হাইতি' (ইউএনএমএইচএ) -এর সাথেও কাজ করেন এবং জাতিসংঘ পদক লাভ করেন।

নব ​​বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনে কমান্ডিং, কর্মী ও নির্দেশনামূলক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দু’বার বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশ কো-অপারেটিভ সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং "গোয়েন্দা বিভাগ” -এর এডিটর-ইন-চীফ ছিলেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তিনি ২০০৭ সালের মার্চ মাসে জাতীয় প্রকল্প পরিচালক, পুলিশ সংস্কার প্রোগ্রাম (পিআরপি) হিসাবে নিযুক্ত হন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান না করা পর্যন্ত উক্ত পদে ২০১০ সালের ০৬ অক্টোবর পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ১৬ জুন, ২০১১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ডিসেম্বর ২০১৩ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড (সিএইচটিডিবি) -এর চেয়ারম্যান পদে প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ২০১৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্ট (আইসিআইএমডিডি), এর চেয়ারম্যান, গভর্নর বোর্ড নির্বাচিত হন। ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্ট, একটি আন্তঃসরকার আঞ্চলিক সংগঠন যা ১৯৮৩ সালে ৮(আট) আঞ্চলিক সদস্য যথা - আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত, নেপাল, ভুটান, চীন, মায়ানমার এবং বাংলাদেশ -কে নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সচিবের পদমর্যাদায় তিন বছরের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডর চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করে। তিনি বর্তমানে ১৯ মার্চ ২০১৮ তারিখে উক্ত পদে যোগ দেন। বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড শীর্ষস্থানীয় সংস্থা।

তিনি সেমিনার, গোল টেবিল সভা, সম্মেলন, অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময় ইত্যাদি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে লিখে থাকেন। তিনি বিশ্বে ছয়টি মহাদেশের অনেক দেশ ভ্রমণ করেছেন।[২]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

তার বাবার নাম বরেন্দ্র কুমার ত্রিপুরা এবং মা নন্দা ত্রিপুরা। তিনি বিবাহিত এবং দুই পুত্রের জনক।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়"chtdb.portal.gov.bd। ১৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. "পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড"chtdb.portal.gov.bd। ২ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২০