ধাবা, মধ্যপ্রদেশ
অবস্থান | ধাবা, মধ্যপ্রদেশ, ভারত |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ২৪°২৯′৫৭.৬″ উত্তর ৮২°০০′৩৫.০″ পূর্ব / ২৪.৪৯৯৩৩৩° উত্তর ৮২.০০৯৭২২° পূর্ব |
ধরন | বসতি |
ইতিহাস | |
প্রতিষ্ঠিত | ৮০,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ[১] |
সংস্কৃতি | মধ্য পুরা প্রস্তর যুগ[১] |
স্থান নোটসমূহ | |
খননের তারিখ | ২০১১–১২ |
অবস্থা | ধ্বংসাবশেষ |
মালিকানা | সরকারি |
জনসাধারণের প্রবেশাধিকার | হ্যাঁ |
ধাবা হল ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে শোন নদী তীরবর্তী মধ্য পুরা প্রস্তর যুগীয় একটি প্রত্নক্ষেত্র। কার্বন ১৪ পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফল অনুসারে, বসতিটির নির্মাণ কাজ প্রায় ৮০,০০০ বছর শুরু হয়েছিল। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়, কর্ণাটক বিশ্ববিদ্যালয়, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে ২০১১ খ্রিস্টাব্দে ধাবা গ্রামে প্রাগৈতিহাসিক বসতিটি আবিষ্কার করেছিল। খননকার্যের সময় পাথরের দ্বারা নির্মিত ক্ষুদ্রাকৃতির অস্ত্র আবিষ্কৃত হয়েছে।[১]
প্রত্নতত্ত্ব
[সম্পাদনা]ধাবা গ্রামের প্রত্নক্ষেত্রটি সোন নদীর বাম (উত্তর) তীরবর্তী প্লাইস্টোসিন পাললিক টিলা ও অসংহত কোয়ার্টজাইট বোল্ডার এবং পচনশীল শেল বেডরকের সমন্বয়ে গঠিত। প্রত্নক্ষেত্রের তিনটি স্থানে খননকার্য পরিচালিত হয়েছিল। ভারত, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় মোট ৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জরিপ অন্বেষণ ও খননের একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল। ধাবায় প্রথম ২০১১-২০১২ খ্রিস্টাব্দে খনন করা হয়েছিল, যেখানে ভারতের মধ্য পুরা প্রস্তর যুগের সংস্কৃতি আবিষ্কৃত হয়েছিল। ধাবা প্রত্নক্ষেত্রটি পূর্ব ও পশ্চিমের একই ধরনের প্রত্নতত্ত্বের সঙ্গে সংযুক্ত অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু হিসাবে কাজ করে।[১]
প্রত্নতাত্ত্বিকরা দাবি করেন যে প্রত্নক্ষেত্রে পাওয়া সরঞ্জামগুলি 'লেভালোইস কৌশল — পাথর ছোট ছোট করে ভেঙে অস্ত্র তৈরির করার একটি প্রাথমিক পদ্ধতি — ব্যবহৃত হয়েছিল। সরঞ্জামগুলি ৮০,০০০[২] থেকে ৬৫,০০০[৩] বছর আগে পলিতে চাপা পড়েছিল। নব্য পলল স্তরগুলি থেকে পাওয়া সরঞ্জামগুলিতে আরও উন্নত কৌশলের সঙ্গে আকার দেওয়া হয়েছিল।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ Haslam, Michael; Harris, Clair; Clarkson, Chris; Pal, J.N.; Shipton, Ceri; Crowther, Alison; Koshy, Jinu; Bora, Janardhana; Ditchfield, Peter; Ram, Harindra Prasad; Price, Kathryn; Dubey, A.K.; Petraglia, Michael (মে ২০১২)। "Dhaba: An initial report on an Acheulean, Middle Palaeolithic and microlithic locality in the Middle Son Valley, north-central India" [ধাবা: উত্তর-মধ্য ভারতের মধ্য শোন উপত্যকায় একটি আচিউলীয়, মধ্য পুরা প্রস্তর যুগীয় ও মাইক্রোলিথিক এলাকার একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন]। কোয়াটারনারি ইন্টারন্যাশনাল। ২৫৮: ১৯১–১৯৯। ডিওআই:10.1016/j.quaint.2011.09.007।
- ↑ Desikan, Shubashree (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "Early humans lived in northern India 80,000 years ago"। The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০২৩।
- ↑ Clarkson, Chris; Petraglia, Michael (২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "Stone tools show humans in India survived the cataclysmic Toba eruption 74,000 years ago"। The Conversation (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০২৩।
- ↑ Ramesh, Sandhya (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "Indians likely survived super-destructive Toba volcano 74,000 years ago: Study"। ThePrint (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০২৩।