ধর্ষকাম যৌন বৈকল্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ধর্ষকাম যৌন বৈকল্য
বিশেষত্বমনোরোগ বিজ্ঞান

ধর্ষকাম যৌন বৈকল্য, হচ্ছে কাউকে প্রচন্ড ব্যথা, যন্ত্রণা এবং নিচু বা হেয় করার মাধ্যমে তার প্রতিক্রিয়া থেকে যৌন উত্তেজনা লাভ করা। [১] ইংরেজি স্যাডিজম এবং স্যাডিস্ট শব্দটি মার্কুইস ডি সাদ নাম থেকে গৃহীত হয়েছে।

সম্পর্কিত পদবাচ্য এবং অবস্থা[সম্পাদনা]

পূর্বোক্ত পদবাচ্য[সম্পাদনা]

ধর্ষকাম যৌনতা পূর্বে ডিএসএম-৩-আর,[২] ডিএসএম-৪,[৩] এবং ডিএসএম-৪-টিয়ারে,[৪] ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে ধর্ষকাম যৌনতাকে যৌনবিকৃতির একটি শ্রেণী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। ডিএসএমের এই সব সংস্করণে ধর্ষকাম যৌনতার সাথে শুধুমাত্র বাস্তব ব্যাথারই সম্পর্ক আছে বলে উল্লেখ করা হয়।(পৃ. ৫৩০). ডিএসএম-৫ এ এই অবস্থাকে ধর্ষকাম যৌন বৈকল্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

যৌন ধর্ষকাম (Sexual sadism) পদবাচ্যটি ডিএসএম-৩ তে যৌনবিকৃতির অবস্থা বলে ব্যবহার করা হয়েছে,[৫] ডিএসএম-৩ উল্লেখ করা হয়েছে, "যৌনবিকৃতি আচরণে কৃত্রিমভাবে সঙ্গীকে বেধে তার সম্মতি নিয়ে তার সাথে যৌন আচরণ করা যায়, যা ক্রীড়নীয় এবং অক্ষতিকর.... তীব্র পর্যায়ের যৌনবিকৃতিমুলক আচরণে সঙ্গীর সম্মতিবিনা এমনভাবে যৌনক্রিয়া করা হয়, যা তার জন্য তীব্র বেদনাদায়ক এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।(পৃ. ২৬৭). ডিএসএম-৩ অনুযায়ী ঘর্ষকামী যৌনতা নির্ধারণ করা যায়, যদিঃ

  1. ব্যক্তি ক্রমাগত এবং ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের যৌন উত্তেজনাকে উপভোগ করার জন্য সঙ্গীর সম্মতি না নিয়ে তাকে কষ্ট দিয়ে উত্তেজনা উপভোগ করতে থাকে
  2. সঙ্গীর সম্মতি নিয়ে তাকে বেঁধে ফেলে কষ্ট দেওয়া এবং এ কাজটি বার বার করা
  3. employs extensive, permanent, or potentially fatal suffering to achieve sexual excitement, regardless of the consent of the other person.

ডিএসএম-২ তে ধর্ষকাম (Sadism) পদবাচ্যটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৬] সারগ্রন্থটিতে, এই অবস্থাকে চিহ্নিত করা হয়েছিল প্রান্তিক যৌনতা হিসেবে। একে বর্ণনা করা হয়েছিল "একজন ব্যক্তির যৌন ক্রিয়া করার সময় উদ্ভটভাবে তার যৌন চাহিদা চরিতার্থ করে।" (পৃ. ৪৪). "যৌনবিকৃতি" পদবাচ্যটির কোনো অস্তিত্ব ডিএসএম-২ তে তখন অবধি ছিল না এবং ডিএসএম-৩ প্রকাশ না হওয়া অবধি এটি নির্ণয়ের কোনো সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড ছিল না।

যৌন ধর্ষকাম (ইংরেজি: sexual sadism) পদবাচ্য ডিএসএম-১ এ প্রান্তিক যৌনতার একটি প্রকরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল।[৭] (পৃ ৩৯) কিন্তু অন্য কোনো প্রান্তিক যৌনতার মত এটিও নির্ণয়ের কোনো সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড তৈরী করা হয় নি।

ধর্ষকামী ব্যক্তি বৈকল্য ধারী মানুষ কোনোরুপ যৌন আগ্রহ প্রকাশ করে না এবং সঙ্গীর সাথে সাথে নিজের প্রতিও সে উদাসীন থাকে। যদি তার অতীতে কোনো হিংস্রতা বা অপরাধের ইতিহাস তার সাথে জড়িত থাকে তবে অনেকে এরুপ ধর্ষকামী হয়ে উঠে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. American Psychiatric Association. (2013). Diagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders (5th ed.). Arlington, VA: American Psychiatric Publishing.
  2. American Psychiatric Association. (1987). Diagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders (3rd ed., revised). Washington, DC: Author.
  3. American Psychiatric Association. (1994). Diagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders (4th ed.). Washington, DC: Author.
  4. American Psychiatric Association. (2000). Diagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders (4th ed., text rev.). Washington, DC: Author.
  5. American Psychiatric Association. (1980). Diagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders (3rd ed.). Washington, DC: Author.
  6. American Psychiatric Association. (1968). Diagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders (2nd ed.). Washington, DC: Author.
  7. American Psychiatric Association. (1952). Diagnostic and Statistical Manual: Mental Disorders. Washington, DC: Author.

টেমপ্লেট:যৌনবিকৃতি