দ্বিতীয় নাগবর্মা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

দ্বিতীয় নাগবর্মা (খ্রিস্টীয় মধ্য-একাদশ বা মধ্য-দ্বাদশ শতাব্দী) ছিলেন কন্নড় ভাষায় পণ্ডিত এবং পশ্চিম চালুক্য রাজসভার এক বৈয়াকরণ। তিনি ছিলেন প্রাচীন-কন্নড় ভাষার সর্বপ্রথম তিন সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য ও প্রামাণ্য বৈয়াকরণদের অন্যতম (অপর দু’জন হলেন আনুমানিক ১২৬০ খ্রিস্টাব্দের কেশীরাজ ও আনুমানিক ১৬০৪ খ্রিস্টাব্দের ভট্টকলঙ্ক দেব)।[১] দ্বিতীয় নাগদত্তের খ্যাতি ছন্দ, অলংকার শাস্ত্র, কাব্যতত্ত্ব, ব্যাকরণ ও শব্দকোষ সহ কন্নড় সাহিত্যের বিভিন্ন বর্গে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য।[২] গবেষক আর. নরসিংহাচার্যের মতে, এই দিক থেকে বিচার করলে সমগ্র প্রাচীন কন্নড় সাহিত্যে দ্বিতীয় নাগবর্মার স্থান স্বতন্ত্র। তাঁর রচনাবলি এখনও সুলভ এবং সেগুলিকে কন্নড় ভাষা ও তার বিকাশ-সংক্রান্ত গবেষণার কাজে প্রামাণ্য গ্রন্থ বলে গণ্য করা হয়।[২][৩]

চালুক্য রাজা জগদেকমল্ল দ্বিতীয় নাগবর্মাকে ‘কটকাচার্য’ (‘রাজকবি’) ও ‘কটকোপাধ্যায়’ (‘সামরিক শিক্ষক’) উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন।[৪][৫][৬] তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থগুলি হল ব্যাকরণ, ছন্দ ও কাব্যতত্ত্ব-সংক্রান্ত কাব্যালোকন', ব্যাকরণ-সংক্রান্ত কর্ণাটক-ভাষাভূষণ, শব্দকোষ বাস্তুকোষ (বা অভিধানবাস্তুকোষ) এবং বর্ধমানপুরাণ নামে একটি জৈন পুরাণ (মহাকাব্য)।[৪][৫][৬][৭] দ্বিতীয় নাগবর্মার ব্যাকরণের আদর্শটি সংস্কৃত ব্যাকরণের কতন্ত্র ধারা-ভিত্তিক। লেখকও জনৈক শালিবাহন রাজার বিশিষ্ট সংস্কৃত বৈয়াকরণ সর্ববর্মার নামানুসারে নিজেকে ‘অভিনব সর্ববর্মা’ (‘আধুনিক সর্ববর্মা’) নামে অভিহিত করেছেন।[৭][৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Sahitya Akademi (1987), p. 476
  2. Narasimhacharya (1988), p. 65
  3. Pollock (2006), p. 340, p. 349
  4. Narasimhacharya (1988), pp. 64–65, p. 19
  5. Shastri (1955), p. 358
  6. Kamath (2001), p. 115
  7. Sahitya Akademi (1988), p. 1475
  8. Nagaraj (2003), p. 327

উল্লেখপঞ্জি[সম্পাদনা]